বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাস্তা নয় যেন কৃষকের মাঠ

তোফায়েল হোসেন জাকির: প্রায় পৌনে ২ কিলোমিটারজুড়ে গ্রামীণ মেঠোপথ। শিক্ষার্থীসহ কয়েক গ্রামের মানুষের চলাচলে একমাত্র ভরসা এই রাস্তাটি। কিন্তু চলার পথে দুর্ভোগই যেনো তাদের নিত্যসঙ্গী। বর্ষায় জমে থাকে হাঁটুপানি ও কাঁদা। আর শুকনো মৌসুমে ধুলাবালিতে নষ্ট হয় জামা-কাপড়। একটু দৃষ্টি দিলে মনে হয় না এটি একটি সড়ক। দেখতে যেনো কৃষকের মাঠ।

সম্প্রতি গাইবান্ধা সদর উপজেলার লেংগা বাজার থেকে এমপির বাজার পর্যন্ত দেখা গেছে এই কাঁচা রাস্তাটির বেহাল দৃশ্য। এ পথের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে শতশত গর্ত ও হাঁটুকাঁদা। তবুও সীমাহীন ভোগান্তি নিয়ে এই পথে চলতে হচ্ছে মানুষদের।

স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের ব্যস্ততম গ্রামীণ এই রাস্তাটি দিয়ে রিকশাভ্যানসহ শতশত হালকা যানবাহ চলাচল করে। আর লেংগা বাজারে ৭টি সরকারি বেসরকারি স্কুল-কলেজ, মাদরাসা রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ সহস্রাধিক মানুষ এই কাঁচা রাস্তা দিয়েই চলতে হয়। এতে করে রাস্তাজুড়ে কাঁদা-পানি আর ধুলাবালিতে নানা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে এ অঞ্চলের মানুষেরা। এছাড়া ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনাও। ইতোমধ্য রাস্তাটি যেনো মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে চরম অতিষ্ঠে ক্ষুব্ধ হচ্ছেন ভুক্তভোগিরা।

মারুফ মিয়া নামের এক শিক্ষার্থী বলে, আমি লেংগা বাজারস্থ একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করি। তবে বাড়ি থেকে স্কুলে যাওয়ার পথে এই সড়কে অনেক কষ্ট পেতে হয়। কখনও উল্টে পড়ে ভিজে যায় বইখাতা। আবার কখনও ধুলাবালিতে জামা-কাপড় নষ্ট হয়। এমন পরিস্থিতিতে এখন আর স্কুলে যেতে ইচ্ছে হয় না।

সিদ্দিক আলী নামের এক ব্যক্তি বলেন, দীর্ঘদিনের এই কাঁচা রাস্তা দিয়ে চলতে গিয়ে অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এটি কার্পেটিং অথবা হেরিংয়ের জন্য দাবি জানানো হলেও আজও তা বাস্তবায়ন হয়নি।

স্থানীয় সংবাদকর্মী ময়নুল ইসলাম বলেন, লেংগা বাজার থেকে এমপির বাজার পর্যন্ত প্রায় পৌনে দুই কিলোমিটার এই কাঁচা রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অবগত করানো হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন অতিবাহীত হলেও এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

এ বিষয়ে লক্ষীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ জানান, ওই রাস্তাটিসহ এ ইউনিয়নের বিভিন্ন কাঁচা রাস্তা উন্নয়ন কল্পে সংশ্লিষ্টকে জানিয়েছেন। বরাদ্দ পেলে কাজ করবেন।

জনপ্রিয়

রাস্তা নয় যেন কৃষকের মাঠ

প্রকাশের সময়: ০৬:২৪:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৩

তোফায়েল হোসেন জাকির: প্রায় পৌনে ২ কিলোমিটারজুড়ে গ্রামীণ মেঠোপথ। শিক্ষার্থীসহ কয়েক গ্রামের মানুষের চলাচলে একমাত্র ভরসা এই রাস্তাটি। কিন্তু চলার পথে দুর্ভোগই যেনো তাদের নিত্যসঙ্গী। বর্ষায় জমে থাকে হাঁটুপানি ও কাঁদা। আর শুকনো মৌসুমে ধুলাবালিতে নষ্ট হয় জামা-কাপড়। একটু দৃষ্টি দিলে মনে হয় না এটি একটি সড়ক। দেখতে যেনো কৃষকের মাঠ।

সম্প্রতি গাইবান্ধা সদর উপজেলার লেংগা বাজার থেকে এমপির বাজার পর্যন্ত দেখা গেছে এই কাঁচা রাস্তাটির বেহাল দৃশ্য। এ পথের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে শতশত গর্ত ও হাঁটুকাঁদা। তবুও সীমাহীন ভোগান্তি নিয়ে এই পথে চলতে হচ্ছে মানুষদের।

স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের ব্যস্ততম গ্রামীণ এই রাস্তাটি দিয়ে রিকশাভ্যানসহ শতশত হালকা যানবাহ চলাচল করে। আর লেংগা বাজারে ৭টি সরকারি বেসরকারি স্কুল-কলেজ, মাদরাসা রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ সহস্রাধিক মানুষ এই কাঁচা রাস্তা দিয়েই চলতে হয়। এতে করে রাস্তাজুড়ে কাঁদা-পানি আর ধুলাবালিতে নানা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে এ অঞ্চলের মানুষেরা। এছাড়া ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনাও। ইতোমধ্য রাস্তাটি যেনো মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে চরম অতিষ্ঠে ক্ষুব্ধ হচ্ছেন ভুক্তভোগিরা।

মারুফ মিয়া নামের এক শিক্ষার্থী বলে, আমি লেংগা বাজারস্থ একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করি। তবে বাড়ি থেকে স্কুলে যাওয়ার পথে এই সড়কে অনেক কষ্ট পেতে হয়। কখনও উল্টে পড়ে ভিজে যায় বইখাতা। আবার কখনও ধুলাবালিতে জামা-কাপড় নষ্ট হয়। এমন পরিস্থিতিতে এখন আর স্কুলে যেতে ইচ্ছে হয় না।

সিদ্দিক আলী নামের এক ব্যক্তি বলেন, দীর্ঘদিনের এই কাঁচা রাস্তা দিয়ে চলতে গিয়ে অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এটি কার্পেটিং অথবা হেরিংয়ের জন্য দাবি জানানো হলেও আজও তা বাস্তবায়ন হয়নি।

স্থানীয় সংবাদকর্মী ময়নুল ইসলাম বলেন, লেংগা বাজার থেকে এমপির বাজার পর্যন্ত প্রায় পৌনে দুই কিলোমিটার এই কাঁচা রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অবগত করানো হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন অতিবাহীত হলেও এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

এ বিষয়ে লক্ষীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ জানান, ওই রাস্তাটিসহ এ ইউনিয়নের বিভিন্ন কাঁচা রাস্তা উন্নয়ন কল্পে সংশ্লিষ্টকে জানিয়েছেন। বরাদ্দ পেলে কাজ করবেন।