রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইছামতি নদীর তীরে ভাসমান সবজির বাগান

মো. রফিকুল ইসলাম: ইছামতি নদীর জায়গায় ভাসমান সবজি চাষ করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন মোস্তাকিম ইসলাম নামে এক যুবক। দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ছাতিয়ানগড় গ্রামের ঝাপুপাড়া এলাকায় ইছামতি নদীর অন্তত ৫ শতক জমিতে ভাসমান সবজি চাষ করেছেন। দীর্ঘদিন যাবৎ অনাবাদী পড়ে থাকা নদীর অংশকে কাজে লাগিয়েছেন যুবক মোস্তাকিম ইসলাম। নদীর জায়গায় বাঁশের মাচায় বেড তৈরি করে বিভিন্ন প্রকার শাক-সবজি চাষ করছেন। স্বল্প পুঁজিতে শুরু করা এ উদ্যোগই এখন তাকে আর্থিকভাবে লাভবান করেছে।

সরজমিন দেখা গেছে, কৃষক যুবক মোস্তাকিম ইসলাম তার লাউ ক্ষেতে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছেন। নদীর তীরে বাঁশের মাচা ও টবে মাটি দিয়ে লাউসহ বিভিন্ন প্রকার সবজি চাষ করেছেন। তিনি জানান, নদীর এই ফাঁকা স্থানকে কাজে লাগানোর চিন্তা থেকেই পরীক্ষামূলক সবজি চাষ শুরু করি। এসব সবজি পরিবারের চাহিদা মেটানোর পর তা বাজারে বিক্রি করতে পারছি। এতে আয়ও ভালোই হচ্ছে। এতে সবমিলিয়ে অন্তত এক হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। এ পর্যন্ত সাড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকার লাউ বিক্রি হয়েছে।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মমিনুল বিন আমিন বলেন, কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে তাকে বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে এবং নিয়মিত প্রযুক্তিগত পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। তার এ উদ্যোগ দেখে এলাকার অন্যান্য ব্যক্তিরাও ভাসমান সবজি চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইয়াসমিন আক্তার বলেন, অনাবাদী ও পরিত্যক্ত জমি চাষাবাদে উৎসাহ দিতে আমরা নিয়মিত কৃষকদের সহযোগিতা করছি। ভাসমান কৃষি এই অঞ্চলে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করছে। প্রযুক্তিগত দিকনির্দেশনা ও উৎপাদন বৃদ্ধির বিষয়ে নিয়মিত কৃষি বিভাগের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

জনপ্রিয়

ইছামতি নদীর তীরে ভাসমান সবজির বাগান

প্রকাশের সময়: ০২:২৮:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫

মো. রফিকুল ইসলাম: ইছামতি নদীর জায়গায় ভাসমান সবজি চাষ করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন মোস্তাকিম ইসলাম নামে এক যুবক। দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ছাতিয়ানগড় গ্রামের ঝাপুপাড়া এলাকায় ইছামতি নদীর অন্তত ৫ শতক জমিতে ভাসমান সবজি চাষ করেছেন। দীর্ঘদিন যাবৎ অনাবাদী পড়ে থাকা নদীর অংশকে কাজে লাগিয়েছেন যুবক মোস্তাকিম ইসলাম। নদীর জায়গায় বাঁশের মাচায় বেড তৈরি করে বিভিন্ন প্রকার শাক-সবজি চাষ করছেন। স্বল্প পুঁজিতে শুরু করা এ উদ্যোগই এখন তাকে আর্থিকভাবে লাভবান করেছে।

সরজমিন দেখা গেছে, কৃষক যুবক মোস্তাকিম ইসলাম তার লাউ ক্ষেতে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছেন। নদীর তীরে বাঁশের মাচা ও টবে মাটি দিয়ে লাউসহ বিভিন্ন প্রকার সবজি চাষ করেছেন। তিনি জানান, নদীর এই ফাঁকা স্থানকে কাজে লাগানোর চিন্তা থেকেই পরীক্ষামূলক সবজি চাষ শুরু করি। এসব সবজি পরিবারের চাহিদা মেটানোর পর তা বাজারে বিক্রি করতে পারছি। এতে আয়ও ভালোই হচ্ছে। এতে সবমিলিয়ে অন্তত এক হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। এ পর্যন্ত সাড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকার লাউ বিক্রি হয়েছে।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মমিনুল বিন আমিন বলেন, কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে তাকে বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে এবং নিয়মিত প্রযুক্তিগত পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। তার এ উদ্যোগ দেখে এলাকার অন্যান্য ব্যক্তিরাও ভাসমান সবজি চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইয়াসমিন আক্তার বলেন, অনাবাদী ও পরিত্যক্ত জমি চাষাবাদে উৎসাহ দিতে আমরা নিয়মিত কৃষকদের সহযোগিতা করছি। ভাসমান কৃষি এই অঞ্চলে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করছে। প্রযুক্তিগত দিকনির্দেশনা ও উৎপাদন বৃদ্ধির বিষয়ে নিয়মিত কৃষি বিভাগের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।