গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের মেয়ে অনিকা চৌধুরী। গিয়েছিলেন আমেরিকায়। সেখানে লুইজিয়ানা স্টেট ইউনিভার্সিটির হেল্থ সাইন্স সেন্টারে চিকিৎসা শাস্ত্রে পিএইচডি গবেষণার জন্য ফুল ফ্রী ফান্ডেড স্কলারশিপ পেলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে তার বাবা গোবিন্দগঞ্জ মহিলা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক আফজাল হোসাইন।
স্বজনরা জানায়, অনিকা চৌধুরী গত ২০১৯ সনে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ থেকে ডাক্তারী কোর্স এমবিবিএস সম্পূর্ণ করেছে। বর্তমানে সে ঢাকার বেসরকারি চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠান পপুলার মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
আনিকা সম্প্রতি আমেরিকার লুইজিয়ানা স্টেটের স্বনামধন্য শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান লুইজিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ের হেল্থ সাইন্স সেন্টারে বায়োমেডিকেলের হৃদ ও রক্তনালীর বিষয়ে বৃত্তি সহ বিনা পয়সায় পিএইচডি গবেষণার সুযোগ পেয়েছেন।
তারা আরও জানায়, ৫ বছর মেয়াদি এই পিএইচডি গবেষণা প্রোগ্রামের জন্য আনিকা আগামী ২২ জুলাই আমেরিকা গমন করবেন।
এবিষয়ে আনিকা চৌধুরী বলেন, বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন মূলত মেডিক্যাল কলেজে অধ্যয়নের শুরু থেকেই। আমার ইচ্ছা ছিলো যুক্তরাষ্ট্র বা যুক্তরাজ্য থেকে উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করা। তখন থেকেই ভালো ফলাফলের চেষ্টা ও রিসার্চে মনোনিবেশ করা। যখন যা প্রয়োজন হয়েছে, নিজেকে সেভাবেই প্রস্তুত করেছি।
তিনি আরও বলেন, প্রচেষ্টার পাশাপাশি পরিবার থেকেও সবসময় সাপোর্ট পেয়েছি। আমার বাবা এবং আমার স্বামী যিনি নিজেও নিউইয়র্কের স্টোনিব্রুক ইউনিভার্সিটিতে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ পিএইচডি করছেন সব থেকে বেশি প্রেরণা যুগিয়েছেন।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আনিকা বলেন, পড়াশোনা শেষ করে আমরা সাধারণত ভালো জব বা বিসিএসের দিকে যাই, এর বাইরেও অনেক সুযোগ সুবিধা অপেক্ষা করছে। আমরা যদি দৃষ্টিটাকে একটু উঁচু করি তাহলে বিশ্বে আমাদের অনেক ভালো কিছু অবদান রাখতে পারবো। আমরা যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছি আমাদের সামর্থ্য ও যোগ্যতা অনুযায়ী চেষ্টা করে যেতে হবে।
এদিকে মেধাবী এই মেয়ের সাফল্যে পিতা অধ্যাপক আফজাল বলেন, মেডিকেল সায়েন্স ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে এরকম বৃত্তি পাওয়া একটু কষ্ট সাধ্য। আমি মনে করি পরিশ্রম এর পাশাপাশি মানুষের দোয়া ও মহান আল্লাহর অশেষ কৃপা আমার মেয়েকে এতটা পথ পাড়ি দিতে সক্ষম করেছে। তিনি এজন্য সৃষ্টি কর্তার প্রতি শোকরিয়া আদায় করেন। একই সাথে মেয়ে যাতে সাফল্যের সাথে উচ্চ শিক্ষা পিএইচডি সম্পূর্ণ করে দেশের চিকিৎসা সেবায় অবদান রাখতে পারে।

করেসপন্ডেন্ট, জাগো২৪.নেট, গাইবান্ধা 

















