বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভবন আছে, ডাক্তার নেই

মো. রফিকুল ইসলাম: সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বর্তমান অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবুল হাসান মাহমুদ আলী এমপি কর্তৃক উদ্বোধনের পরও কার্যক্রম নেই দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের।
মা ও শিশু হাসপাতাল গরিব মানুষের একটি আস্থার নাম। হাসপাতালের ভবন আছে। আছে রোগীদের বেড। প্রচুর রোগীও আছে, আছে চিকিৎসকদের জন্য আবাসিক ভবনও। নেই শুধু চিকিৎসক ও চিকিৎসা সরঞ্জাম। এ অবস্থা বিরাজ করছে উপজেলার আলোকঝাড়ি ইউনিয়নে স্থাপিত ১০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র।
দিনাজপুর স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে ২০১৪ সালের ১০ মে কাজ শুরু হয়ে ২০১৬ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি কাজ শেষে উদ্বোধন করা হয়। দীর্ঘ ৭ বছর ধরে নেই কোন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।
সরেজমিনে দেখা যায়, শুধুমাত্র নরমাল ডেলিভারি করতে একজন পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা, একজন নার্সিং অ্যাটেন্ডমেন্ট, একজন ফার্মাসিস্ট, পাহারাদার ও ঝাড়ুদার রয়েছে। সিজিয়ারিয়ানের নেই কোন ব্যবস্থা। এছাড়াও দেখা মেলেনি কোন চিকিৎসকের। ভবনে অধিকাংশ স্থানে দেখা দিয়েছে ফাঁটল, বৈদ্যুতিক নিম্নমানের তারের কারনে শর্টসার্কিটের মত ঘটনা ঘটেছে।
সেবা নিতে আসা ভুক্তভোগী রহিমা খাতুন জানান, এখানে আসিয়া কোন লাভ নাই। শুধুমাত্র চেকআপ ছাড়া কিছুই করা যায় না।
সেবা নিতে আসা আরেক ভুক্তভোগী মুন্না বলেন, আমার ছেলের অনেক জ্বর, চিকিৎসা নিতে বাইরে যাচ্ছি। কি আর বলব! এটা নামেমাত্র মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র কিন্তু কামের নয়।
পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক আরফান সিরাজ বলেন, এখানকার বৈদ্যুতিক তার খুবই নিম্নমানের ও ভবনের বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। বৈদ্যুতিক বিভিন্ন সরঞ্জাম নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সহযোগিতায় ভবনের কিছু  অংশ মেরামত করেছি।
উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সীমা নাথ বলেন, এখানে জনবল না থাকার কারণে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে। তারপরেও আমাদের  যতটুকু জনবল আছে তা দিয়ে সাধ্যমত সেবা দেয়ার চেষ্টা করছি। এই হাসপাতালে প্রতিমাসে ৮-১০ জনের স্বাভাবিক প্রসব হয়।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অতিরিক্ত কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান হারুন জানান, আমরা চিকিৎসকের চাহিদা পাঠিয়েছি। আশা করছি ৪৫তম বিসিএস’র চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হবে। এ চিত্র শুধু খানসামা উপজেলায় নয়। দেশের সব খানেই এ পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
জনপ্রিয়

ভবন আছে, ডাক্তার নেই

প্রকাশের সময়: ০৪:০২:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ অক্টোবর ২০২৩
মো. রফিকুল ইসলাম: সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বর্তমান অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবুল হাসান মাহমুদ আলী এমপি কর্তৃক উদ্বোধনের পরও কার্যক্রম নেই দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের।
মা ও শিশু হাসপাতাল গরিব মানুষের একটি আস্থার নাম। হাসপাতালের ভবন আছে। আছে রোগীদের বেড। প্রচুর রোগীও আছে, আছে চিকিৎসকদের জন্য আবাসিক ভবনও। নেই শুধু চিকিৎসক ও চিকিৎসা সরঞ্জাম। এ অবস্থা বিরাজ করছে উপজেলার আলোকঝাড়ি ইউনিয়নে স্থাপিত ১০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র।
দিনাজপুর স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে ২০১৪ সালের ১০ মে কাজ শুরু হয়ে ২০১৬ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি কাজ শেষে উদ্বোধন করা হয়। দীর্ঘ ৭ বছর ধরে নেই কোন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।
সরেজমিনে দেখা যায়, শুধুমাত্র নরমাল ডেলিভারি করতে একজন পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা, একজন নার্সিং অ্যাটেন্ডমেন্ট, একজন ফার্মাসিস্ট, পাহারাদার ও ঝাড়ুদার রয়েছে। সিজিয়ারিয়ানের নেই কোন ব্যবস্থা। এছাড়াও দেখা মেলেনি কোন চিকিৎসকের। ভবনে অধিকাংশ স্থানে দেখা দিয়েছে ফাঁটল, বৈদ্যুতিক নিম্নমানের তারের কারনে শর্টসার্কিটের মত ঘটনা ঘটেছে।
সেবা নিতে আসা ভুক্তভোগী রহিমা খাতুন জানান, এখানে আসিয়া কোন লাভ নাই। শুধুমাত্র চেকআপ ছাড়া কিছুই করা যায় না।
সেবা নিতে আসা আরেক ভুক্তভোগী মুন্না বলেন, আমার ছেলের অনেক জ্বর, চিকিৎসা নিতে বাইরে যাচ্ছি। কি আর বলব! এটা নামেমাত্র মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র কিন্তু কামের নয়।
পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক আরফান সিরাজ বলেন, এখানকার বৈদ্যুতিক তার খুবই নিম্নমানের ও ভবনের বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। বৈদ্যুতিক বিভিন্ন সরঞ্জাম নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সহযোগিতায় ভবনের কিছু  অংশ মেরামত করেছি।
উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সীমা নাথ বলেন, এখানে জনবল না থাকার কারণে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে। তারপরেও আমাদের  যতটুকু জনবল আছে তা দিয়ে সাধ্যমত সেবা দেয়ার চেষ্টা করছি। এই হাসপাতালে প্রতিমাসে ৮-১০ জনের স্বাভাবিক প্রসব হয়।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অতিরিক্ত কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান হারুন জানান, আমরা চিকিৎসকের চাহিদা পাঠিয়েছি। আশা করছি ৪৫তম বিসিএস’র চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হবে। এ চিত্র শুধু খানসামা উপজেলায় নয়। দেশের সব খানেই এ পরিস্থিতি বিরাজ করছে।