গাইবান্ধার বিস্তৃর্ণ মাঠজুড়ে নজর কারছে শাসা ফসলের ক্ষেত। এ ক্ষেতে ঝুলছে কৃষকের স্বপ্ন। স্বপ্নের এই শসা প্রতিকেজি ৭ টাকা দামে বিক্রি করছে কৃষকরা। দাম কম হলেও তবুও লাভ থাকছে তাদের।
সোমবার (২৪ মে) দুপুরে গাইবান্ধার ধাপেরহাট ইউনিয়নের গঙ্গা নারায়ণপুর এলায় দেখা যায় কৃষকদের শাসা বিক্রির ব্যস্ততা। এসময় ব্যাপারীরা সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে শসা কিনে তা পাঠাচ্ছিলেন রাজধানী ঢাকায়।
জানা যায়, কৃষি নির্ভশীল জেলা গাইবান্ধা। এ জেলার বিস্তৃর্ণ মাঠজুড়ে নজর কারছে কৃষি ফসলে। এরই অংশ হিসেবে কৃষকরা চাষ করছে শাসা। এ ক্ষেতের জাঙ্গিলায় ঝুলছে কৃষকের স্বপ্ন। আর স্বপ্নের এই শসা ফসল তুলে বিক্রি করছে কৃষকরা।দাম খুব বেশী নয়, প্রতিকেজি শসা পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৭ টাকা দামে। তবু লাভ থাকছে কৃষকদের। কারণ, গত বছর এইদিনে প্রতিকেজি শসা বিক্রি হতো ৩ দামে। এ বছর অতিরিক্ত দাবদাহ বা গরম বেশী হওয়া শসার চাহিদা বেড়েছে অনেকটাই। পুষ্টিগুণ সম্বৃদ্ধ এ শাসা বিক্রি করে লাভবান হচ্ছে কৃষকরা। তারা পাইকারি বাজারে ৭ টাকা কেজি বিক্রি করলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর তা কিনে বিক্রি করেছে প্রতিকেজি ১০ থেকে ১২ টাকা পর্যন্ত।

ধাপেরহাট এলাকার গঙ্গা নারায়ণপুর গ্রামের কৃষক সুজা মিয়া জানান, এ বছরে এক বিঘা জমিতে শাসা আবাদ করেছেন। এতে প্রায় ১০০ থেকে ১৩০ মণ ফলন পাওয়া যাবে। এতে খরচ হয় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। অনায়াসে এটি লাভজনক ফসল।
আরেক কৃষক ডিপটি মিয়া বলেন, দুই সপ্তাহ আগে প্রতিমণ শসা বিক্রি করা হত এক হাজার ৪০০ টাকা। সেটি দাম কমে বিক্রি করা হচ্ছে ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা দামে।
তিনি আরও বলেন, শসার দাম যখন বেশী থাকে, তথন উৎপাদন হয় কম। আর উৎপাদন বেশী হলে দাম কমতে থাকে। তবে গত বছরের এইদিনে দাম ২-৩ টাকা কেজি দামে শসা বিক্রি করছিলেন কৃষকরা। এবারে গরম বেশী থাকায় শাসার দাম রয়েছে বেশী।

পাইকারি ব্যবসায়ী আতিক প্রধান বলেন, কৃষকদের কাছ থেকে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা মণ দরে শসা কেনা হচ্ছে। এসব শসা ট্রাক লোড দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে।
গাইবান্ধা কৃষি বিভাগের উপ পরিচালক মাসুদুর রহমান জানান, চলতি মৌসুমে জেলায় ৩০০ হেক্টর জমিতে কৃষকরা চাষ করছে শসা। ইতোমধ্যে এ ফসল বিক্রিও করতে শুরু করেছে তারা। তাদের লাভবান করতে প্রণোদনা দেওয়াসহ সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।
তোফায়েল হোসেন জাকির 


















