তোফায়েল হোসেন জাকির: পোশাক শিল্পের ইতিহাসের এক শোকাবহ ঘটনা সাভারের রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি। সেইদিনে এ ভবনটির ধ্বংশ স্তুপের নিচে পড়ে আহত হয়েছিলেন গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার পশ্চিম দামোদরপুর গ্রামের আফরোজা বেগম। অবশেষে ব্র্যাকের সহায়তায় তাকে ঠাঁই করে দেওয়া হলো পাকা ঘরে।
রোববার (২৯ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার পশ্চিম দামোদরপুর গ্রামের বাড়িতে আফরোজাকে পাকা ঘর হস্তান্তর করা হয়। একই সঙ্গে তাকে দেওয়া হয় এক লাখ ৬০ হাজার টাকার চেক।
আনুষ্ঠানিকভাবে ওই ঘরটির উদ্বোধন করেন, সাদুল্লাপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাহারিয়া খান বিপ্লব। এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. রোকসানা বেগম, দামোদরপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এজেডএম সাজেদুল ইসলাম স্বাধীন, ব্র্যাক-মানবিক সহায়তা কর্মসূচির মাঠ সমন্বয়কারী পার্থ প্রতিম দাস, দাবি কর্মসূচির আরএম ইয়াকুব আলী, প্রগতির আরএম ফিরোজ কবির, জেলা প্রতিনিধি মোশারফ হোসেন, দাবির এএম জিয়াউর রহমান, প্রগতির এএম জাহাঙ্গীর আলম ও সামাজিক ক্ষমতায়ন কর্মসূচির সংগঠক মিনারা খাতুন প্রমূখ।
এ অনুষ্ঠানে ব্র্যাক-মানবিক সহায়তা কর্মসূচির মাঠ সমন্বয়কারী পার্থ প্রতিম দাস বলেন, রানা প্লাজা ভবন ধ্বংশের ঘটনায় আফরোজা বেগম গুরুতর আহত হয়েছিলেন। এরপর থেকে তাকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে সুস্থ করার জন্য পাশে দাঁড়ায় ব্র্যাক। টানা তাকে চিকিৎসা সেবা দেয়ার একপর্যায়ে ৬ লাখ ৪০ হাজার ৫০০ টাকা ব্যায়ে নির্মাণ করে দেওয়া হলো পাকা বিল্ডিং ঘর। সেই সঙ্গে আফরোজার জীবন মানোন্নয়নে এক লাখ ৬০ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানটির প্রধান অতিথি সাদুল্লাপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাহারিয়া খান বিপ্লব ব্র্যাককে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আফরোজা বেগম পৃথিবীতে বেঁচে থাকাকালীন কোন সমস্যার সম্মুখিন হলে সেটি সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিলে ধ্বংশ হয়েছিল সাভারের রানা প্লাজা। এদিনে ভবনটির সপ্তম তলায় গার্মেন্টেসে হেলাপার হিসেবে কাজ করছিলেন গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার পশ্চিম দামোদরপুর গ্রামের আফরোজা বেগম। এসময় ভবনের ধ্বংশ স্তুপের নিচে পড়ে আহত হয়েছিলেন তিনি।
তোফায়েল হোসেন জাকির, জাগো২৪.নেট 


















