তোফায়েল হোসেন জাকির: গাইবান্ধা জেলায় ধীরে ধীরে কমতে শুরু করছে করোনা সংক্রমণ। গত একমাসে (আগস্ট) নতুন করে আরও ৮২০ জন করোনায় শনাক্ত হয়। এর আগে জুলাই মাসে শনাক্ত হয়েছিল ১ হাজার ৭০৯ জন । এ হিসাব অনুসারে গত একমাসের ব্যবধানে নতুন রোগি শনাক্ত কমে অর্ধেকে নেমেছে।
মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) গাইবান্ধা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়। তথ্য অনুযায়ী জুলাই মাসে মৃত্যু ছিল ১৫ জন কিন্ত সেটি ছাড়িয়ে আগস্ট মাসে মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের। তবে বেড়েছে সুস্থতা রোগির সংখ্যা।
আজ মঙ্গলবার নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ৬ জন। এ নিয়ে জেলার ৭ উপজেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৪ হাজার ৬৭১ জনে। এর মধ্যে ৪ হাজার ২৬৬ জন রোগি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে। মৃত্যুবরণ করেছে ৫১ জন ও ৩৫৪ জন রোগি আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
জানা যায়, গত বছরের ২২ মার্চ গাইবান্ধা জেলায় প্রথম দুইজন মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এরপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে সংক্রমণের সংখ্যা। গত কয়েক মাস আগে কমতে থাকলেও, চলতি বছরের জুলাই মাসে আবারও ব্যাপক হারে বাড়তে থাকে। সেটি আবারও কমতে শুরু করে আগস্টে।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এক প্রতিবদনে সুত্রে জানা গেছে, গাইবান্ধা জেলায় করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় সরকারি-বেসরকারি ২৫ টি চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে রোগিদের জন্য বেড রয়েছে ৬৭১ টি। চিকিৎসাসেবায় ১৫৪ জন ডাক্তার ও নার্স রয়েছেন ২০৯ জন। তারা শুধু মাত্র করোনার চিকিৎসায় নিয়োজিত থাকছেন। এছাড়া করোনায় আক্রান্ত রোগিদের জরুরি চিকিৎসায় স্থানান্তরের নিমিত্তে পৃথকভাবে ২ টি এ্যাম্বুলেন্স ও ২ টি মাইক্রোবাস প্রস্তুত রয়েছে। একই সঙ্গে ১০০ বেডের আইসোলেসনেরও ব্যবস্থা রয়েছে। রোগিদের জন্য অক্সিজেনের ব্যবস্থাও রয়েছে।
গাইবান্ধা সিভিল সার্জন ডা. আ ম আখতারুজ্জামান জাগো২৪.নেট-কে বলেন, করোনা চিকিৎসার জন্য সকল সামগ্রীসহ ডাক্তার-নার্সদের সুরক্ষার সামগ্রীও মজুদ রাখা হয়েছে। বিশেষ ব্যবস্থাপনায় ও রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করে কোভিডের বর্জ্য ধ্বংস করা হচ্ছে। আগের তুলনায় সম্প্রতি সংক্রমণ কমেছে বলে জানান তিনি।
গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক আবদুল মতিন জাগো২৪.নেট-কে বলেন, করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ ঠেকাতে মানুষদের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করাসহ নানা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
তোফায়েল হোসেন জাকির, জাগো২৪.নেট 


















