আজিয়া সুলতানা। বয়স ২ বছর ৭ মাস। জটিল কঠিন রোগে আক্রান্ত এ শিশুটি। ধীরে ধীরে মস্তিস্ক (মাথা) বড়ো হচ্ছে তার। এরই মধ্যে চিকিৎসা ব্যয়ে সহায় সম্বল হারিয়েছে দিনমজুর পিতা আলম মিয়া। এখন অর্থাভাবে থমকে গেছে চিকিৎসা। তবে সবার সহযোগিতায় বাঁচতে পারে এই অবুঝ শিশুটি। এমনটাই আকুতি জানিয়েছে অসহায় পরিবারটি।
বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলাল মহদীপুর ইউনিয়নের জালাগাড়ী দূর্গাপুর গ্রামের লাবনী বেগম নামের গৃহবধূ তার ওই অসুস্থ শিশুকে কোলে নিয়ে অবাক চোখে তাকিয়ে থাকতে দেখা গেছে।
জানা যায়, শিশুটির পিতা আল আমিন মিয় পেশায় একজন কাঠ মিস্ত্রি। জমি জমাতো দুরের কথা তাদের নিজস্ব বসতভিটাও নেই। অভাব অনটনের সংসার। দিন আনে দিন খায়। তার উপরে ২ বছর ৭ মাস বয়সের শিশু আজিয়া সুলতানার জটিল কঠিন রোগে মস্তিস্ক (মাথা) বড়ো হচ্ছে। দিন দিন শিশুটির মাথা বড়ো হতেই চলেছে। জন্মের ৩ মাস পর হতে মাথাটি বড়ো হতে শুরু হয়। প্রকৃতির খেলা বুঝা বড়ো দায়। সন্তানের এমন অবস্থা দেখে গ্রামবাসীর সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে ৬ মাস বয়সকালে রংপুরের ডা. হাসিনুজ্জামান তুহিন এর নিকট স্বরণাপন্ন হলে মাথা সিটিস্ক্যান করে দেখে ডাক্তার পরামর্শ দেয়, ভারত নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করলেই শিশুটি সম্পূর্ণরূপে সুস্থ্য হয়ে যাবে। এতে প্রায় ৫ থেকে ৭ লাখ টাকার প্রয়োজন হবে। এতগুলো টাকা সংগ্রহ করা দরিদ্র ভূমিহীন পিতা-মাতার পক্ষে কোনক্রমেই সম্ভব নয়।
বর্তমানে শিশুটির মাথার ওজন ১০ কেজির অধিক। তাই এই গরীব অসহায় শিশুটির চিকিৎসার জন্য তার বাবা-মা দেশের প্রধানমন্ত্রী, বিত্তবান ব্যক্তি, প্রবাসী ব্যক্তি, জিও-এনজিও’র সাহায্য সহযোগীতা কামনা করেছেন।
শিশুটির মা লাবনী বেগম কান্নায় ভেঙে পড়ে বলেন, আপনারা-আমার শিশু আজিয়া সুলতানাকে বাঁচাতে আপনাদের লেখনীর মাধ্যমে জেলা প্রশাসক ও ইউএনও মহোদয়কে জানানোর আহ্বান জানাই। প্রয়োজনে শিশুর মায়ের মোবাইল নং- ০১৩২০-৭২৯১৩৫ এ নগদ একাউন্ট খোলা আছে।
করেসপন্ডেন্ট, জাগো২৪.নেট, গাইবান্ধা 


















