তোফায়েল হোসেন জাকির: শিয়াল আকৃতির একদল প্রাণী। আশ্রয় নিয়েছে বিভিন্ন ঝোপ-জঙ্গলে। এসব জায়গা ওঁৎপেতে থাকছে প্রাণীগুলো। এসময় ফাঁকা স্থানে কেউ একা বের হলে কামড়ে ক্ষত-বিক্ষত করছে মানুষের শরীর। একমাস ধরে এমন ঘটনা ঘটছিল। এরই মধ্যে কমেছে ওই প্রাণীর উপদ্রুপ। গত তিন দিনে নতুন করে কেউ আক্রমণের শিকার না হলেও এখনো আতঙ্ক কাটেনি মানুষের।
সরেজমিনে শনিবার (৩০ অক্টোবর) গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার হরিনাথপুর ইউনিয়নের বেশ কিছু গ্রামে জানা গেলো অচেনা প্রাণীর আক্রমণের গল্প। এসময় ভুক্তভোগি মানুষদের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছিল।
স্থানীয়রা জানান, ঘটনার প্রথমে ২৯ সেপ্টেম্বর দুপুর বেলায় উপজেলার হরিনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা আফছার আলী তার গরুর খাবার যোগাতে মাঠে ঘাস কাটতে যায়। এসময় হঠাৎ করে শিয়াল আকৃতির একটি প্রাণী তাকে আক্রমণ করে।
এসময় তার চোখের নিচে ও বুক-পিঠে কামড়ে ছিড়ে নেয়। এরপর থেকে বিভিন্ন ঝোঁপ-জঙ্গলে অবস্থান করে একদল ওই প্রাণী। দিনের বেলায় কেউ একাকি মাঠে বের হলে শুরু আক্রমণ। এর দাপটে মুহূর্তে আহত হচ্ছে মানুষেরা। এমনকি শিশু-কিশোরাও রেহাই পাচ্ছে না। এ ঘটনা একমাস অতিবাহীত হলেও এলাকা ছাড়ছে না অচেনা প্রাণীগুলো। ইতোমধ্যে ওই প্রাণীর কামড়ে মসজিদের ইমাম অফু মুন্সী মারাও গেছেন। এছাড়া তালুক কেয়াবাড়ি গ্রামের ময়নুল ইসলাম ফুলমিয়ার ছেলে রাব্বী মিয়া (১০), সুমি বেগম (৩০) বালুয়া গ্রামের হামিদ মিয়া (৪৫) সহ এ পর্যন্ত প্রায় ১৫ জন মানুষ আহত হয়েছেন ওই প্রাণীর কামড়ে।
বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বাড়ি থেকে একা বের হচ্ছে না কেউ। যদিও প্রয়োজনের তাগিদে বের হচ্ছে তবে হাতে থাকছে লাঠিসোঁডা। শিক্ষার্থীরা বন্ধ করেছে স্কুল-কলেজে যাওয়া। কেউ কেউ দলবেঁধে লাঠি হাতে পাহারা দিচ্ছে বাড়ি। অদ্ভূত এই প্রাণীর হামলার ভয়ে চরম আতঙ্কে দিন-রাত কাটছে মানুষদের। এই এলাকায় এমন ঘটনা ঘটলেও মানুষদের নিরাপদের জন্য সরকারিভাবে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
হরিনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা শাহ আলম মিয়া জানান, শিয়াল আকৃতির প্রাণীগুলোর একমাস ধরে উপদ্রুপ চলছে। মানুষের সতর্কতার কারণে গত তিন দিনে নতুন করে কেউ আক্রমণের শিকার হয়নি। অতিদ্রুত এসব হিংস্র প্রাণী নিধন করা দরকার।
পলাশবাড়ী উপজেলা প্রানিসম্পদ কর্মকর্তা আলতাব হোসেন জাগো২৪.নেট-কে জানান, এমন ঘটনার অভিযোগ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হচ্ছে। একই সঙ্গে নিরাপদে থাকতে মানুষদের বিভিন্ন পরার্ম দেওয়া হচ্ছে।
তোফায়েল হোসেন জাকির, জাগো২৪.নেট 


















