এলিজা, মোন্নাফ, আনোয়ারাসহ আরো অনেকে। সবাই এসেছেন টিসিবি’র পণ্য কিনতে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বসে স্কুলের বারান্দায়। কিন্ত আসেনি পণ্যের গাড়ী। কখন আসবে তাও জানেন না কেউ । তবুও কম দামে তেল-ডাল-চিনির অপেক্ষায় প্রহরগুনছে তারা।
রোববার (২০ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে এমনি এক চিত্র দেখা যায়, গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলা জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদে। সেখানে কম দামে পণ্য সামগ্রী কিনতে এসছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা। এসব পরিবারের সহস্রাধিক মানুষ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বসে থাকলেও এর মধ্যে আসেনি টিসিবি’র ট্রাক।
আনোয়ারা বেওয়া নামের এক বৃদ্ধা জানান, হাট-বাজারে সব ধরণের নিত্যপণ্যের দাম ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে। তাই টিসিবি’র ফ্যামিলি কার্ড পেয়েছেন তিনি। কম দামে পণ্যসামগ্রীর প্যাকেজ কিনতে ৪৫০ টাকার প্রয়োজন হয়। এ টাকা এক ভাতিজার কাছে কর্জ নিয়েছেন। কিন্তু ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে বসে থাকলেও সংশ্লিষ্টরা শুরু করেনি টিসিবি’র পণ্য বিক্রি।
ওই ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান মণ্ডল বলেন, নিম্ন আয়ের মানুষদের মধ্যে ২ হাজার ৫৬৬ জন সুবিধাভোগি টিসিবি’র পণ্য পাবেন। এর মধ্যে আজ রোববার ৮৮৪ জনের মাঝে পণ্যসামগ্রী বিতরণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর মাধ্যমে প্রতিকেজি চিনি ৫৫ টাকা, মশুর ডাল ৬৫ টাকা ও সবাবিন তেল ১১০ টাকা লিটার দামে বিক্রি করা হবে। প্রাথমিকভাবে ওই তিনটি পণ্যের প্রতিটি দুই কেজি করে কিনতে পারবেন প্রত্যেক সুবিধাভোগি।
জানা যায়, আসন্ন রমজান উপলক্ষ্যে নিম্ন আয়ের এক কোটি পরিবারকে ভূর্তকি মূল্যে টিসিবি’র পণ্য পৌঁছে দেওয়ার সিন্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে গাইবান্ধা জেলার ২ লাখ ৯ হাজার ৯৫০ জন উপকারভোগি পাবেন টিসিবি’র পণ্যসামগ্রী। জেলার ৪টি পৌরসভাসহ ৭টি উপজেলায় ৩২ জন ডিলারের মাধ্যমে উপকারভোগীর মাঝে আজ রোববার থেকে নির্ধারিত স্থানে টিসিবি’র পণ্যসামগ্রী বিক্রয় শুরু করা হয়েছে।
গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক মো. অলিউর রহমান জানান, নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে পণ্য সামগ্রী বিক্রয় কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের সর্বাত্নকভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে।

তোফায়েল হোসেন জাকির, জাগো২৪.নেট: 


















