দিনাজপুরের খানসামায় ‘ওকিনিয়া’ ও ‘মুরাসাকি’ নামে জাপানের মিষ্টি আলু পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করা হয়েছে। উপজেলার ৬ ইউনিয়নের ২০ কৃষক ২০ শতক করে জমিতে চাষ করেছেন এ মিষ্টি আলু। দেশি মিষ্টি আলুর চেয়ে জাপানি এ আলুর ফলন দ্বিগুণ। ফলে এ মিষ্টি আলুচাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে-মানুষের খাদ্যের তালিকায় ভিন্নতা, চাহিদা ও পুষ্টিমান বিবেচনায় চলতি মৌসুমে পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করা হয়েছে জাপানি মিষ্টি আলু ‘ওকিনিয়া’ ও ‘মুরাসাকি’। কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কৃষি বিভাগ থেকে জাপানী কাটিং, রাসায়নিক সার ও পরিচর্যা বাবদ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। ২০ জন কৃষকের ২০ শতক করে জমিতে মিষ্টি আলুচাষ হয়েছে। সাধারণত দেশি জাতের মিষ্টি আলু শতক প্রতি ১-১.৫ মণ ফলন হলেও জাপানি জাতের নতুন এ আলুর ফলন হবে শতক প্রতি ৩-৪ মণ।
উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের মিষ্টি আলুচাষি খোদেজা বেগম ও আলতাফুর রহমান জাগো২৪.নেট-কে জানান, আমরা যৌথভাবে প্রথম বারের মত জাপানি মিষ্টি আলু আবাদ করেছি। চলতি মৌসুমে কৃষি বিভাগের সহায়তায় তারা যৌথভাবে ৪০ শতক জমিতে জাপানি জাতের মিষ্টি আলু চাষ করেছেন। দেশি আলুর চেয়ে ফলন পেয়েছে প্রায় দ্বিগুণ। আকর্ষণীয় রঙ হওয়ার কারণে এ জাতের আলুর চাহিদাও বেশি। আগামী মৌসুমে সে ১ একর জমিতে এ জাতের আলুচাষ করবেন বলে আশা করেছেন।ওই এলাকার হাফিজুল ইসলাম জাগো২৪.নেট-কে জানান, এবার ২০ শতক জমিতে জাপানি জাতের মিষ্টি আলুচাষ করেছেন। উচ্চ ফলনশীল এ জাতের আলুচাষ করে তিনি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তিনি আরো জানান, আমার দেখাদেখি অন্যান্য কৃষকরাও আগামী মৌসুমে এ জাতের আলুচাষ করার আগ্রহ দেখিয়েছেন।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মৃনাল কান্তি জাগো২৪.নেট-কে জানান, কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চাষিদের উদ্বুদ্ধ করে পরীক্ষামূলকভাবে এ মিষ্টি আলুচাষ করা হয়েছে। এ আলুর ফলন অনেক বেশি ও অধিক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। কৃষকরা আগ্রহী হওয়ায় আগামী মৌসুমে এ জাতের আলুর চাষ আরো সম্প্রসারিত হবে বলে তিনি আশা করছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বাসুদেব রায় জাগো২৪.নেট-কে জানান, চলতি মৌসুমে পরীক্ষামূলকভাবে জাপানি নতুন জাতের আলুচাষ হয়েছে। উচ্চ ফলনশীল ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ জাপানি এ মিষ্টি আলু উৎপাদন করে কৃষকরা খুশি। কৃষকরা এ মিষ্টি আলু চাষ করে খরচ বাদে ৩০-৩৫ হাজার টাকা করে লাভ করতে পারবেন। আগামী মৌসুমে আরো অধিক জমিতে এ আলু চাষ করার আগ্রহ দেখিয়েছেন স্থানীয় চাষিরা। এতে উপজেলায় মিষ্টি আলুর চাষ আরও সম্প্রসারিত হবে। কৃষি বিভাগ থেকে স্থানীয় চাষিদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তিগত সুবিধাসহ উন্নতমানের বীজ সরবরাহ করা হয়েছে।
© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | জাগো২৪.নেট