শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

একসঙ্গে ৩ সন্তানের জন্ম, বিপাকে বাবা-মা

দরিদ্র পরিবারের গৃহবধূ পিয়ারা বেগম (৩০) । সম্প্রতি একই সঙ্গে জন্ম দিয়েছেন ৩ সন্তান। প্রথম দিকে খুশি হলেও এখন শিশু তিনটির চিকিৎসাসেবা ও বাড়তি খাবার যোগাতে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছেন। বর্তমানে কোলের সন্তানদের বাঁচাতে ঘুরছেন অন্যের দ্বারে দ্বারে।

বুধবার (২৬ অক্টোবর) গাইবান্ধার ঘাগোয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ ঘাগোয়া গ্রামের দেখা যায়, ওই শিশুদের পাশে বসে মুকুল মিয়া ও পিয়ারা বেগম দম্পতি চরম হতাশায় ভুগছেন।

জানা যায়, গত ৮ অক্টোবর পিয়ারা বেগমের একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম হয়। দরিদ্র-দিনমজুর দম্পতি প্রথম দিকে খুশি হলেও পরবর্তী সময়ে বাড়ছে দুশ্চিন্তা। শিশুদের চিকিৎসা খরচ এবং দুধ ক্রয় করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। প্রতিনিয়ত ধার-দেনা করে কিনতে হচ্ছে সন্তানদের জন্য বাড়তি খাবার। সংসারের অন্যান্য খরচতো আছেই। ধার করে কতদিন চলে। শেষে লোকলজ্জা ভুলে সন্তানদের আহারের জন্য হাত বাড়িয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ও বিত্তবানদের কাছে।

মুকুল মিয়া বলেন, অনেক কয়েক বছর পরে এক ছেলে সন্তানের আশা করে আল্লাহ আমাকে এক সাথে দুই মেয়ে, এক ছেলে দিয়েছেন। আমি একজন দিনমজুর মানুষ। আমার পক্ষে তিন তিনটি শিশু সন্তানের ভরণপোষণ করা একেবারেই অসম্ভব হয়ে পড়ছে। স্ত্রীও অসুস্থ। শিশু তিনটির প্রতিদিন প্রায় দুই প্যাকেট দুধ কিনতে হয়। এ ছাড়া জন্মের পর থেকে তাদের অসুখ বিসুখতো লেগেই আছে। মানুষের কাছে হাত পাতা অত্যন্ত নিচু কাজ জেনেও একপ্রকার বাধ্য হয়ে মানুষের সাহায্য সহযোগিতা কামনা করছি।

এ বিষয়ে ঘাঘোয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আমিনুর জামান রিংকু বলেন, বিষয়টি আমাকে মুকুল মিয়া মৌখিকভাবে জানিয়েছে। যতটুকু পারি সহযোগিতা করবো।

গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফুল আলম জানান, বিষয়টি জানা নেই তার। কোন চিকিৎসাসেবা প্রয়োজন হলে সহযোগিতা করবেন। আর্থিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে  আবেদন করলে ব্যবস্থা করে দেওয়া দেবেন।

জনপ্রিয়

একসঙ্গে ৩ সন্তানের জন্ম, বিপাকে বাবা-মা

প্রকাশের সময়: ০৭:৩২:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ অক্টোবর ২০২২

দরিদ্র পরিবারের গৃহবধূ পিয়ারা বেগম (৩০) । সম্প্রতি একই সঙ্গে জন্ম দিয়েছেন ৩ সন্তান। প্রথম দিকে খুশি হলেও এখন শিশু তিনটির চিকিৎসাসেবা ও বাড়তি খাবার যোগাতে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছেন। বর্তমানে কোলের সন্তানদের বাঁচাতে ঘুরছেন অন্যের দ্বারে দ্বারে।

বুধবার (২৬ অক্টোবর) গাইবান্ধার ঘাগোয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ ঘাগোয়া গ্রামের দেখা যায়, ওই শিশুদের পাশে বসে মুকুল মিয়া ও পিয়ারা বেগম দম্পতি চরম হতাশায় ভুগছেন।

জানা যায়, গত ৮ অক্টোবর পিয়ারা বেগমের একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম হয়। দরিদ্র-দিনমজুর দম্পতি প্রথম দিকে খুশি হলেও পরবর্তী সময়ে বাড়ছে দুশ্চিন্তা। শিশুদের চিকিৎসা খরচ এবং দুধ ক্রয় করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। প্রতিনিয়ত ধার-দেনা করে কিনতে হচ্ছে সন্তানদের জন্য বাড়তি খাবার। সংসারের অন্যান্য খরচতো আছেই। ধার করে কতদিন চলে। শেষে লোকলজ্জা ভুলে সন্তানদের আহারের জন্য হাত বাড়িয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ও বিত্তবানদের কাছে।

মুকুল মিয়া বলেন, অনেক কয়েক বছর পরে এক ছেলে সন্তানের আশা করে আল্লাহ আমাকে এক সাথে দুই মেয়ে, এক ছেলে দিয়েছেন। আমি একজন দিনমজুর মানুষ। আমার পক্ষে তিন তিনটি শিশু সন্তানের ভরণপোষণ করা একেবারেই অসম্ভব হয়ে পড়ছে। স্ত্রীও অসুস্থ। শিশু তিনটির প্রতিদিন প্রায় দুই প্যাকেট দুধ কিনতে হয়। এ ছাড়া জন্মের পর থেকে তাদের অসুখ বিসুখতো লেগেই আছে। মানুষের কাছে হাত পাতা অত্যন্ত নিচু কাজ জেনেও একপ্রকার বাধ্য হয়ে মানুষের সাহায্য সহযোগিতা কামনা করছি।

এ বিষয়ে ঘাঘোয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আমিনুর জামান রিংকু বলেন, বিষয়টি আমাকে মুকুল মিয়া মৌখিকভাবে জানিয়েছে। যতটুকু পারি সহযোগিতা করবো।

গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফুল আলম জানান, বিষয়টি জানা নেই তার। কোন চিকিৎসাসেবা প্রয়োজন হলে সহযোগিতা করবেন। আর্থিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে  আবেদন করলে ব্যবস্থা করে দেওয়া দেবেন।