শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাইবান্ধায় শাক-সবজি চাষ হবে ৯ হাজার হেক্টর, ঝুঁকে পড়ছে কৃষক

চলতি রবি মৌসুমে গাইবান্ধা জেলায় ৯ হাজার হেক্টর জমিতে শাক-সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ। ইতোমেধ্য মাঠে নেমেছে কৃষকরা। এ পর্যন্ত প্রায় আড়াই হাজার হেক্টর অর্জিত হয়েছে।

রোববার (৩০ অক্টোবর) জেলার প্রত্যান্ত অঞ্চলে ঘুরে দেখা গেছে কৃষকদের শাক-সবজি চাষের ব্যস্ততা। কেউ করছেন জমি প্রস্তুত আবার কেউবা ক্ষেত পরিচর্যায় আছেন।

জানা যায়, চলতি বছরে গাইবান্ধায় বয়ে যাওয়া বন্যা, ভারী বর্ষণ ও নিম্নচাপের প্রভাবে কৃষকদের ধান, পাট ও খরিপ মৌসুমে শাক-সবজিসহ অন্যান্য ফসলের  ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এসব ক্ষতি পূষিয়ে নিতে সম্প্রতি কৃষকরা ঝুঁকে পড়ছে শীতকালীন সবজি চাষে। সেই সঙ্গে গত বছরের তুলনা এ বছরে কাঁচা তরকারির দাম বেশী থাকায় শাক-সবজি চাষে প্রান্তীক কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে অনেকটাই। তারা ইতোমধ্যে আলু, লাউ, বেগুন, সিম, কপি, মূলা, পালং শাক, লাল শাক ও সরিষা শাকসহ আরো বিভিন্ন ধরণের শাক-সবজি চাষাবাদ শুরু করছেন। এরই মধ্যে কিছু সংখ্যক কৃষক তাদের উৎপাদিত শীতকালীন সবজি হাট-বাজারে বিক্রিও করছে। রবিশস্য চাষাবাদ ও উৎপাদন আগামী বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত চলবে বলে জানিয়েছে কৃষকরা।

কৃষক মোজা মিয়া, ও আনছার আলী বলেন, ইতিপুর্বে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফসলহানী হয়েছে। সেটি পুষিয়ে নিতে শীতকালীন শাক-সবজি চাষে ঝুঁকে পড়ছি। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে বাম্পার ফলন পাওয়া যেতে পারে। একই সঙ্গে বাজারে দাম ভালো পাওয়া গেলে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।

উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা তানজিমুল হাসান বলেন, পুষ্টিকর সবজি খাদ্যের চাহিদা পূরণে ইতোমধ্যে সবজি চাষে ঝুঁকছে প্রান্তীক কৃষক। তাদের অধিক ফলন পেতে পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।

গাইবান্ধা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক বেলাল উদ্দিন বলেন, চলতি রবি মৌসুমে ৯ হাজার হেক্টর জমিতে শাক-সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়। এরই মধ্যে প্রায় আড়াই হাজার হেক্টর অর্জন হয়েছে। এসব কৃষকদের প্রণোদনা দেওয়াসহ তাদের লাভবান করতে মাঠপর্যায়ে সর্বাত্নকভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে।

জনপ্রিয়

গাইবান্ধায় শাক-সবজি চাষ হবে ৯ হাজার হেক্টর, ঝুঁকে পড়ছে কৃষক

প্রকাশের সময়: ০৯:৩১:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২২

চলতি রবি মৌসুমে গাইবান্ধা জেলায় ৯ হাজার হেক্টর জমিতে শাক-সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ। ইতোমেধ্য মাঠে নেমেছে কৃষকরা। এ পর্যন্ত প্রায় আড়াই হাজার হেক্টর অর্জিত হয়েছে।

রোববার (৩০ অক্টোবর) জেলার প্রত্যান্ত অঞ্চলে ঘুরে দেখা গেছে কৃষকদের শাক-সবজি চাষের ব্যস্ততা। কেউ করছেন জমি প্রস্তুত আবার কেউবা ক্ষেত পরিচর্যায় আছেন।

জানা যায়, চলতি বছরে গাইবান্ধায় বয়ে যাওয়া বন্যা, ভারী বর্ষণ ও নিম্নচাপের প্রভাবে কৃষকদের ধান, পাট ও খরিপ মৌসুমে শাক-সবজিসহ অন্যান্য ফসলের  ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এসব ক্ষতি পূষিয়ে নিতে সম্প্রতি কৃষকরা ঝুঁকে পড়ছে শীতকালীন সবজি চাষে। সেই সঙ্গে গত বছরের তুলনা এ বছরে কাঁচা তরকারির দাম বেশী থাকায় শাক-সবজি চাষে প্রান্তীক কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে অনেকটাই। তারা ইতোমধ্যে আলু, লাউ, বেগুন, সিম, কপি, মূলা, পালং শাক, লাল শাক ও সরিষা শাকসহ আরো বিভিন্ন ধরণের শাক-সবজি চাষাবাদ শুরু করছেন। এরই মধ্যে কিছু সংখ্যক কৃষক তাদের উৎপাদিত শীতকালীন সবজি হাট-বাজারে বিক্রিও করছে। রবিশস্য চাষাবাদ ও উৎপাদন আগামী বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত চলবে বলে জানিয়েছে কৃষকরা।

কৃষক মোজা মিয়া, ও আনছার আলী বলেন, ইতিপুর্বে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফসলহানী হয়েছে। সেটি পুষিয়ে নিতে শীতকালীন শাক-সবজি চাষে ঝুঁকে পড়ছি। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে বাম্পার ফলন পাওয়া যেতে পারে। একই সঙ্গে বাজারে দাম ভালো পাওয়া গেলে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।

উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা তানজিমুল হাসান বলেন, পুষ্টিকর সবজি খাদ্যের চাহিদা পূরণে ইতোমধ্যে সবজি চাষে ঝুঁকছে প্রান্তীক কৃষক। তাদের অধিক ফলন পেতে পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।

গাইবান্ধা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক বেলাল উদ্দিন বলেন, চলতি রবি মৌসুমে ৯ হাজার হেক্টর জমিতে শাক-সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়। এরই মধ্যে প্রায় আড়াই হাজার হেক্টর অর্জন হয়েছে। এসব কৃষকদের প্রণোদনা দেওয়াসহ তাদের লাভবান করতে মাঠপর্যায়ে সর্বাত্নকভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে।