শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রসুন আবাদে ব্যস্ত কৃষক 

পাবনার আটঘরিয়া উপজেলায় বিনা হালে রসুন আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। এবছর আটঘরিয়া উপজেলায় ১২৩ হেক্টর জমিতে বিনা চাষে রসুন আবাদ করা হচ্ছে বলে উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে।
সরেজমিনে কয়রাবাড়ী. সুতিরবিল,্একদন্ত, লক্ষীপুর দেবোত্তর, মাজপাড়া, চাঁদভা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, আটঘরিয়ায় এখন চলছে বিনা চাষে রসুনের মৌসুম।
বিলের যেদিকে চোখ মেলা যাবে সেদিকেই দেখা যাবে নারী-পুরুষ ও পাশাপাশি ছোট ছোট ছেলেরা-মেয়েরাও মিলে জমিতে লাইন ধরে বসে বসে রসুন লাগাতে দেখা যাচ্ছে।
কয়রাবাড়ী এলাকার কৃষক ফারুক হোসেন জানান, আমি দেড় বিঘা জমিতে বিনা চাষে রসুন আবাদ করছি। এই
এপদ্ধতিতে রসুনের চাষ করলে জমিতে চাষ দেয়া ও কোপানো লাগে না। সার ও ওষুধ কম লাগে। শুধু মাত্র ২টি সেচ দিলেই হয়। লাগানো রসুন ক্ষেতের চেয়ে অনেক বড় বড় গাছ ও রসুন বড় হয়। তার এ পদ্ধতি দেখে অন্যান্যে কৃষকরা তার সহযোগিতা চাইলে তিনি তাদের রসুন সরবরাহ করাসহ নানা ধরনের পরামর্শ দেন।
একই এলাকার হামিদ প্রাং জানান, আমি ২৮ শতাংশ জমিতে বিনা চাষে রসুন আবাদ শুরু করেছি। একবিঘা জমিতে বিনা চাষে রসুন আবাদ করতে তিন থেকে সাড়ে তিন মন কোয়া রসুন লাগে। খরচ হয় ১৬ থেকে ১৮ হাজার টাকা। আর রসুন বিঘায় উৎপাদন হয় ৩৫ থেকে ৪০ মন। সব মিলিয়ে ভালো টাকা লাভ থাকে।
গত বছর আমার ভালো ফলন হয়েছে। আশা করি এবার ভালো ফলন হবে বলে মনে করছেন এই কৃষক। শ্রমিক রফিক জানান, দিন মজুরি হিসাবে আমরা কাছ করি। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ৪শ থেকে ৫শ টাকা মজুরি পাই।
আটঘরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সজীব আল মারুফ জানান, এবছর আটঘরিয়া উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা মোট ১২৩ হেক্ট জমিতে বিনা চাষে রসুনের আবাদ শুরু হয়েছে।  বিঘা প্রতি রসুন লাগে ২.৫ থেকে ৩ মন। প্রতু বিঘায় রসুন উৎপাদন হয় ৩৫ থেকে ৪০ মন।

রসুন আবাদে ব্যস্ত কৃষক 

প্রকাশের সময়: ০৩:০২:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ নভেম্বর ২০২২
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলায় বিনা হালে রসুন আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। এবছর আটঘরিয়া উপজেলায় ১২৩ হেক্টর জমিতে বিনা চাষে রসুন আবাদ করা হচ্ছে বলে উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে।
সরেজমিনে কয়রাবাড়ী. সুতিরবিল,্একদন্ত, লক্ষীপুর দেবোত্তর, মাজপাড়া, চাঁদভা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, আটঘরিয়ায় এখন চলছে বিনা চাষে রসুনের মৌসুম।
বিলের যেদিকে চোখ মেলা যাবে সেদিকেই দেখা যাবে নারী-পুরুষ ও পাশাপাশি ছোট ছোট ছেলেরা-মেয়েরাও মিলে জমিতে লাইন ধরে বসে বসে রসুন লাগাতে দেখা যাচ্ছে।
কয়রাবাড়ী এলাকার কৃষক ফারুক হোসেন জানান, আমি দেড় বিঘা জমিতে বিনা চাষে রসুন আবাদ করছি। এই
এপদ্ধতিতে রসুনের চাষ করলে জমিতে চাষ দেয়া ও কোপানো লাগে না। সার ও ওষুধ কম লাগে। শুধু মাত্র ২টি সেচ দিলেই হয়। লাগানো রসুন ক্ষেতের চেয়ে অনেক বড় বড় গাছ ও রসুন বড় হয়। তার এ পদ্ধতি দেখে অন্যান্যে কৃষকরা তার সহযোগিতা চাইলে তিনি তাদের রসুন সরবরাহ করাসহ নানা ধরনের পরামর্শ দেন।
একই এলাকার হামিদ প্রাং জানান, আমি ২৮ শতাংশ জমিতে বিনা চাষে রসুন আবাদ শুরু করেছি। একবিঘা জমিতে বিনা চাষে রসুন আবাদ করতে তিন থেকে সাড়ে তিন মন কোয়া রসুন লাগে। খরচ হয় ১৬ থেকে ১৮ হাজার টাকা। আর রসুন বিঘায় উৎপাদন হয় ৩৫ থেকে ৪০ মন। সব মিলিয়ে ভালো টাকা লাভ থাকে।
গত বছর আমার ভালো ফলন হয়েছে। আশা করি এবার ভালো ফলন হবে বলে মনে করছেন এই কৃষক। শ্রমিক রফিক জানান, দিন মজুরি হিসাবে আমরা কাছ করি। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ৪শ থেকে ৫শ টাকা মজুরি পাই।
আটঘরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সজীব আল মারুফ জানান, এবছর আটঘরিয়া উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা মোট ১২৩ হেক্ট জমিতে বিনা চাষে রসুনের আবাদ শুরু হয়েছে।  বিঘা প্রতি রসুন লাগে ২.৫ থেকে ৩ মন। প্রতু বিঘায় রসুন উৎপাদন হয় ৩৫ থেকে ৪০ মন।