শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভার্মি কম্পোষ্ট সার উৎপাদনে ঝুঁকেছে সহস্রাধিক মানুষ  

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় ভার্মি কম্পোষ্ট সার উৎপাদনে ঝুঁকে পড়ছে সহস্রাধিক মানুষ। এসব সার স্থানীয়ভাবে বিক্রি করাসহ পাঠানো হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। বানিজ্যিকভাবে এই কাজটি করে সবাই এখন ফিরে পেয়েছেন আর্থিক সচ্ছলতা ।

সম্প্রতি উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের দোকানঘর (কেত্তার পাড়া) কৃষি কালেকশন পয়েন্টে গিয়ে দেখা যায়, ভার্মি কম্পোষ্ট  সার তৈরী-আমদানি-রপ্তানির চিত্র।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রায় ৭ বছর আগে ওই উপজেলার বেশ কিছু হতদরিদ্র-বিধবা-স্বামী পরিত্যক্তা নারীদের নিয়ে কেত্তারপাড়া সিআইজি (মহিলা) ফসল সমবায় সমিতি ব্যানারে  জৈব সার কালেকশন পয়েন্ট প্রতিষ্ঠিত করা হয়। এই সমিতির সদস্যরা উপজেলা কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল টেকনোলজি প্রোগ্রাম ফেজ প্রজেক্ট (এনটিপি-২) জৈব সার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে বাড়ি বাড়ি ভার্মি কম্পোষ্ট (কেঁচো সার) উদপাদন শুরু করে। এতে সেড তৈরীসহ সার্বিক সহযোগিতা করেন এই কাজের সফল উদ্যোক্তা ও কৃষি কালেশন পয়েন্টের পরিচালক রফিকুল ইসলাম।

বতর্মানে একটি সেডে ভার্মি কম্পোষ্ট ও ট্রাইকো কম্পোষ্ট রয়েছে। ওই পয়েন্টের আওতায় প্রায় এক হাজারের বেশী মানুষ বাড়িতে ক্ষুদ্র সেড তৈরী করে ভার্মি কম্পোষ্ট সার উৎপাদন করে স্বাবলন্বী হচ্ছে। বর্তমানে এই এলাকায় প্রতিমাসে কয়েক টন ভার্মি কম্পোষ্ট সার উৎপাদন করা হচ্ছে। স্থানীয়ভাবে খোলা ভার্মি কম্পোষ্ট ১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়। পাশাপাশি কালেকশন পয়েন্ট থেকে ইন্টেক করে ট্রাক যোগে দেশের বিভিন্ন জেলায় পাইকারী বিক্রি করা হচ্ছে।

ফাতেমা বেগম নামের এক উৎপাদক বলেন, প্রশিক্ষণ নিয়ে ভার্মি কম্পোষ্ট সার তৈলী শেখা হয়েছে। বেশ কয়েক বছর ধরে এই কাজটি করে আমি দরিদ্রতাকে বিদায় জানিয়েছি।

কেত্তার পাড়া কৃষি কালেকশন পয়েন্টের পরিচালক ও ভার্মি কম্পোষ্ট কেঁচো সারের সফল উদ্যোক্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রথমে আমি এ কাজটির উদ্যোগ গ্রহণ করি। এরপর স্থানীয় দরিদ্র নারীদের স্বাবলম্বী করার জন্য তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। সেই প্রশিক্ষণ নিয়ে তারা এখন নিজেরাই সার উৎপাদন করছেন। এ থেকে আমরা এখন আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছি।

পলাশবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফাতেমা কাওসার মিশু জানান, এপিজেনকি এবং এন্ড্রোজেনকি জাতের লাল কেঁচোর মাধ্যমে গরু-মহিষের গোবর, সবজির উচ্ছিষ্টাংশ,আর্বজনা, লতাপাতা ইত্যাদি দিয়ে ভার্মি কম্পোষ্ট সার উৎপাদন করা যায়। কেত্তার পাড়া এলাকার মানুষেরা পরিকল্পিভাবে এই সার উৎপাদন করেছে চলেছেন। তাদের লাভবান করতে সর্বাত্নকভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে।

ভার্মি কম্পোষ্ট সার উৎপাদনে ঝুঁকেছে সহস্রাধিক মানুষ  

প্রকাশের সময়: ১২:৪১:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২২

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় ভার্মি কম্পোষ্ট সার উৎপাদনে ঝুঁকে পড়ছে সহস্রাধিক মানুষ। এসব সার স্থানীয়ভাবে বিক্রি করাসহ পাঠানো হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। বানিজ্যিকভাবে এই কাজটি করে সবাই এখন ফিরে পেয়েছেন আর্থিক সচ্ছলতা ।

সম্প্রতি উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের দোকানঘর (কেত্তার পাড়া) কৃষি কালেকশন পয়েন্টে গিয়ে দেখা যায়, ভার্মি কম্পোষ্ট  সার তৈরী-আমদানি-রপ্তানির চিত্র।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রায় ৭ বছর আগে ওই উপজেলার বেশ কিছু হতদরিদ্র-বিধবা-স্বামী পরিত্যক্তা নারীদের নিয়ে কেত্তারপাড়া সিআইজি (মহিলা) ফসল সমবায় সমিতি ব্যানারে  জৈব সার কালেকশন পয়েন্ট প্রতিষ্ঠিত করা হয়। এই সমিতির সদস্যরা উপজেলা কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল টেকনোলজি প্রোগ্রাম ফেজ প্রজেক্ট (এনটিপি-২) জৈব সার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে বাড়ি বাড়ি ভার্মি কম্পোষ্ট (কেঁচো সার) উদপাদন শুরু করে। এতে সেড তৈরীসহ সার্বিক সহযোগিতা করেন এই কাজের সফল উদ্যোক্তা ও কৃষি কালেশন পয়েন্টের পরিচালক রফিকুল ইসলাম।

বতর্মানে একটি সেডে ভার্মি কম্পোষ্ট ও ট্রাইকো কম্পোষ্ট রয়েছে। ওই পয়েন্টের আওতায় প্রায় এক হাজারের বেশী মানুষ বাড়িতে ক্ষুদ্র সেড তৈরী করে ভার্মি কম্পোষ্ট সার উৎপাদন করে স্বাবলন্বী হচ্ছে। বর্তমানে এই এলাকায় প্রতিমাসে কয়েক টন ভার্মি কম্পোষ্ট সার উৎপাদন করা হচ্ছে। স্থানীয়ভাবে খোলা ভার্মি কম্পোষ্ট ১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়। পাশাপাশি কালেকশন পয়েন্ট থেকে ইন্টেক করে ট্রাক যোগে দেশের বিভিন্ন জেলায় পাইকারী বিক্রি করা হচ্ছে।

ফাতেমা বেগম নামের এক উৎপাদক বলেন, প্রশিক্ষণ নিয়ে ভার্মি কম্পোষ্ট সার তৈলী শেখা হয়েছে। বেশ কয়েক বছর ধরে এই কাজটি করে আমি দরিদ্রতাকে বিদায় জানিয়েছি।

কেত্তার পাড়া কৃষি কালেকশন পয়েন্টের পরিচালক ও ভার্মি কম্পোষ্ট কেঁচো সারের সফল উদ্যোক্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রথমে আমি এ কাজটির উদ্যোগ গ্রহণ করি। এরপর স্থানীয় দরিদ্র নারীদের স্বাবলম্বী করার জন্য তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। সেই প্রশিক্ষণ নিয়ে তারা এখন নিজেরাই সার উৎপাদন করছেন। এ থেকে আমরা এখন আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছি।

পলাশবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফাতেমা কাওসার মিশু জানান, এপিজেনকি এবং এন্ড্রোজেনকি জাতের লাল কেঁচোর মাধ্যমে গরু-মহিষের গোবর, সবজির উচ্ছিষ্টাংশ,আর্বজনা, লতাপাতা ইত্যাদি দিয়ে ভার্মি কম্পোষ্ট সার উৎপাদন করা যায়। কেত্তার পাড়া এলাকার মানুষেরা পরিকল্পিভাবে এই সার উৎপাদন করেছে চলেছেন। তাদের লাভবান করতে সর্বাত্নকভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে।