শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমি শিক্ষার্থীদের আলো দেখাতে চাই-পাবিপ্রবি ভিসি

শিক্ষার্থীদের সামনে আলো দেখানোর কাজ করছি আমি। তাদের স্বপ্ন দেখাচ্ছি। তাদের মধ্যে প্রাণ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। যাতে আত্মবিশ্বাসী হয়ে নিজেরা শিক্ষার গুরুত্ব অনুধাবন করে নিজেকে গড়তে পারে। দেশের জন্য, নিজের জন্য, ভবিষ্যত পৃথিবীর জিন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে পারে। এজন্য যথাযথ পরিবেশ সৃষ্টিসহ শিক্ষার্থীদের সকল সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ করছি।
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন একথা বলেন গতকাল পাবনা প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের এক সাথে মতবিনিময় সভায়। পাবনা প্রেসক্লাবের নব নির্বাচিত সাংবাদিকরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন উপাচার্যের কার্যালয়ে।
এসময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান , ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কে এম সালাহ উদ্দিন, রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম, প্রক্টর কামাল হোসেন, অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার কামরুল হাসান, পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এবি এম ফজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদ, সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি প্রবীণ সাংবাদিক আব্দুল মতিন খান, প্রথম আলো ও প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক সরোয়ার মোর্শেদ উল্লাস, মাছারাঙা টেলিভিশনের উত্তরাঞ্চলীয় ব্যুরো চীফ উৎপল মির্জা, রাজিউর রহমান রুমি,রিজভী জয়, এসএম আলম, রফিকুল ইসলাম সুইট, কলিট তালুকদার, পাভেল মৃধাসহ সিনিয়র সংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের উপ-পরিচালক ফারুক হোসেন চৌধুরী। অনুষ্ঠানের শুরুতে নবনির্বাচিত কমিটির নেতৃবৃন্দকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় শুভেচ্ছা জানানো হয়।
ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কে এম সালাহ উদ্দিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে ব্র্যান্ডিং করার জন্য সাংবাদিক ভাইদের গুরুত্ব অপরিসীম। তাঁদের মাধ্যমে সঠিক তথ্য মানুষ জানতে পারে। প্রতিষ্ঠানের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়ে। সাংবাদিকরা জাতির বিবেক হিসেবে কাজ করেন।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান বলেন, আমরা সরকারের নির্দেশে কাজ করে যাচ্ছি যাতে দ্রুত এই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা, গবেষণা, জ্ঞান সৃষ্টিতে সারাদেশে অনন্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি লাভ করতে পারে। আমরা অনেক পরিবর্তনের সূচনা করেছি- এই ধারা অব্যাহত রাখব। সাংবাদিকরা আমাদের ইতিবাচক ভাবমূর্তি মানুষের কাছে পৌছে দিচ্ছেন। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিশ্ববিদ্যালয় আরও ভালো অবস্থানে অধিষ্ঠিত হবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন বলেন, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে শিক্ষার দিক থেকে প্রথম সারির উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করতে চাই। শিক্ষার গুণগত মানবৃদ্ধি, গবেষণাগার বৃদ্ধি, শিক্ষার্থীদের শিক্ষা এবং শিক্ষাসহায়ক সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি এবং শিক্ষকদের আবাসন সংকটের লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। যুগোপযোগী আরও ১৩টি বিভাগ খোলা হবে। অটোমেশনের কাজ এগিয়ে চলছে।
জায়গা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ভ‚মি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সেশনজট নিরসনের জন্য সকল বিভাগের পরীক্ষা একসাথে নেয়া হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য কর্মকান্ড পরিচালনা করছি। দেশের পন্ডিত ব্যক্তিদের এনে সভা-সেমিনার করা হচ্ছে হচ্ছে। ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাণ ফিরে এসেছে।
উপাচার্য মহোদয় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, সমালোচনা আমাকে সমৃদ্ধ করবে। পাবনার প্রতিষ্ঠান হিসেবে সাংবাদিকরা গঠনমূলক সমালোচনা করবেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নেয়ারও জন্য তাঁদেরও অনেক দায়িত্ব রয়েছে।

আমি শিক্ষার্থীদের আলো দেখাতে চাই-পাবিপ্রবি ভিসি

প্রকাশের সময়: ০২:০৬:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২২
শিক্ষার্থীদের সামনে আলো দেখানোর কাজ করছি আমি। তাদের স্বপ্ন দেখাচ্ছি। তাদের মধ্যে প্রাণ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। যাতে আত্মবিশ্বাসী হয়ে নিজেরা শিক্ষার গুরুত্ব অনুধাবন করে নিজেকে গড়তে পারে। দেশের জন্য, নিজের জন্য, ভবিষ্যত পৃথিবীর জিন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে পারে। এজন্য যথাযথ পরিবেশ সৃষ্টিসহ শিক্ষার্থীদের সকল সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ করছি।
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন একথা বলেন গতকাল পাবনা প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের এক সাথে মতবিনিময় সভায়। পাবনা প্রেসক্লাবের নব নির্বাচিত সাংবাদিকরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন উপাচার্যের কার্যালয়ে।
এসময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান , ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কে এম সালাহ উদ্দিন, রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম, প্রক্টর কামাল হোসেন, অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার কামরুল হাসান, পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এবি এম ফজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদ, সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি প্রবীণ সাংবাদিক আব্দুল মতিন খান, প্রথম আলো ও প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক সরোয়ার মোর্শেদ উল্লাস, মাছারাঙা টেলিভিশনের উত্তরাঞ্চলীয় ব্যুরো চীফ উৎপল মির্জা, রাজিউর রহমান রুমি,রিজভী জয়, এসএম আলম, রফিকুল ইসলাম সুইট, কলিট তালুকদার, পাভেল মৃধাসহ সিনিয়র সংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের উপ-পরিচালক ফারুক হোসেন চৌধুরী। অনুষ্ঠানের শুরুতে নবনির্বাচিত কমিটির নেতৃবৃন্দকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় শুভেচ্ছা জানানো হয়।
ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কে এম সালাহ উদ্দিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে ব্র্যান্ডিং করার জন্য সাংবাদিক ভাইদের গুরুত্ব অপরিসীম। তাঁদের মাধ্যমে সঠিক তথ্য মানুষ জানতে পারে। প্রতিষ্ঠানের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়ে। সাংবাদিকরা জাতির বিবেক হিসেবে কাজ করেন।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান বলেন, আমরা সরকারের নির্দেশে কাজ করে যাচ্ছি যাতে দ্রুত এই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা, গবেষণা, জ্ঞান সৃষ্টিতে সারাদেশে অনন্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি লাভ করতে পারে। আমরা অনেক পরিবর্তনের সূচনা করেছি- এই ধারা অব্যাহত রাখব। সাংবাদিকরা আমাদের ইতিবাচক ভাবমূর্তি মানুষের কাছে পৌছে দিচ্ছেন। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিশ্ববিদ্যালয় আরও ভালো অবস্থানে অধিষ্ঠিত হবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন বলেন, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে শিক্ষার দিক থেকে প্রথম সারির উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করতে চাই। শিক্ষার গুণগত মানবৃদ্ধি, গবেষণাগার বৃদ্ধি, শিক্ষার্থীদের শিক্ষা এবং শিক্ষাসহায়ক সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি এবং শিক্ষকদের আবাসন সংকটের লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। যুগোপযোগী আরও ১৩টি বিভাগ খোলা হবে। অটোমেশনের কাজ এগিয়ে চলছে।
জায়গা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ভ‚মি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সেশনজট নিরসনের জন্য সকল বিভাগের পরীক্ষা একসাথে নেয়া হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য কর্মকান্ড পরিচালনা করছি। দেশের পন্ডিত ব্যক্তিদের এনে সভা-সেমিনার করা হচ্ছে হচ্ছে। ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাণ ফিরে এসেছে।
উপাচার্য মহোদয় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, সমালোচনা আমাকে সমৃদ্ধ করবে। পাবনার প্রতিষ্ঠান হিসেবে সাংবাদিকরা গঠনমূলক সমালোচনা করবেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নেয়ারও জন্য তাঁদেরও অনেক দায়িত্ব রয়েছে।