অঙ্কুরেই বিনষ্ট হলো পিপলস্ ফুটওয়্যার এন্ড লেদার গুডস এর স্বত্বাধিকারী রেজবিন হাফিজের স্বপ্ন। তার গাইবান্ধা বিসিক শিল্প নগরীতে গড়ে তোলা ওই প্রতিষ্ঠানের মেশিনারিজ ও ফার্ণিচারসহ প্রায় সাড়ে ৩৫ লাখ টাকার মালামাল চুরি হয়েছে। এই মর্মে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন রেজবিন ।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) এই অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার কাতলামারি গ্রামের সম্ভ্রান্ত খান বংশের জুলফিকার আলি খানের মেয়ে রেজবিন হাফিজ । তিনি নিজ এলাকার বেকারত্বের কথা চিন্তা করে ২ শতাধিক লোকের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে বিসিক শিল্প নগরীতে জুতার কারখানা তৈরীর প্রকল্প হাতে নেন। ধারাবাহীকভাবে সফল নারী উদোক্তা হিসেবে জাতীয় পর্যায়ে বেশ সুনাম অর্জন করেছেন। ঢাকার ধামরাইয়ে বিসিক শিল্প নগরী এলাকায় পিপলস ফুট ওয়্যার অ্যান্ড লেদার গুডস নামীয় কারখানা প্রতিষ্ঠা করে দিনে দিনে সফলতার মুখ দেখতে শুরু করেছেন মাত্র। শিল্পায়ন কাজে সরকার সন্তুষ্ট হয়ে নারী উদ্যোক্তা হিসেবে প্রশংসিত হন। চামড়া শিল্পে শ্রেষ্ঠ এসএমই মাইক্রো ক্যাটাগরি ২০২০ অ্যাওয়ার্ড প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে গ্রহণ করেন। সরকারের সহায়তায় গাইবান্ধার মতো পিছিয়ে পড়া জেলা শহরে এই চামড়া শিল্পের প্রসার ঘটাতে সরকারের কাছে থেকে গাইবান্ধার বিসিক শিল্প নগরীর ফ্লোর নং এ ১৩-১৪ ক্রয় করেন। সকল কাজের ধারাবাহিকতায় রেজবিন মেশিনারিজ হিসেবে সুইং মেশিন, স্কাইভিং মেশিন ডাবল স্টেশন, রাফিং মেশিন সিঙ্গেল স্টেশন, হাইড্রোলিক সোল প্রেস মেশিন, হিটিং চেম্বার, পানির পাম্পসহ ১২টি সিলিং ফ্যান, টিউবওয়েল, ফার্নিচার, স্টেপ কাটিং মেশিন, সুইং অ্যাম হাইড্রোলিক কাটিং মেশিন দিয়ে কারখানা প্রস্তুতে ব্যস্ত।
এদিকে, রেজবিন আন্তর্জাতিক মেলায় অংশ গ্রহণ করার জন্য এ বছরের ১৩ জুন চীন দেশের সাংহাই চলে যান। চীন থেকে ফিরে এসে প্রস্তুতকৃত কারখানা পরিদর্শনে গেলে দেখতে পান কারখানার ঘরে তালা লাগানো এবং একটি দরজায় হ্যাজবল্ট ভাঙা। ভেতরে প্রবেশ করে দেখতে পান কোনো মালামাল নেই। এমনকি বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে বৈদ্যুতিক মিটার সুইচ বোর্ড, তার ও সুইচ পর্যন্ত চুরি করে নিয়ে যায়।
নারী উদ্যোক্তা রেজবিন হাফিজ বলেন, চুরি যাওয়া এই সমস্ত মেশিনারিজ ও ফার্ণিচার সহ মালামালের মোট মূল্য ৩৫ লাখ ৩৮ হাজার টাকা উল্লেখ গাইবান্ধা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। এটি সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের আইনের আওতায় বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বলেন চুরি হওয়া বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে।
করেসপন্ডেন্ট, জাগো২৪.নেট, গাইবান্ধা 
























