মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পলাশবাড়ীর অগ্নিদগ্ধ মা-শিশুর জীবন বিপন্ন, অর্থাভাবে  চিকিৎসাসেবা ব্যাহত

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার অগ্নিদগ্ধে হত দরিদ্র মা ও শিশুর জীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে। অর্থাভাবে থমকে গেছে চিকিৎসা সেবা। তাই বিত্তশালীদের নিকট  আর্থিক সহায়তা কামনা করেছেন পরিবারটি।

জানা যায়, পলাশবাড়ী উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নের শালমারা গ্রামের হতদরিদ্র রিক্সাচালক দুলাল মিয়ার স্ত্রী আর্জিনা বেগম (২০)। কনকনে শীত  ২ ফেব্রুয়ারী রাতে বাড়ির আঙ্গিনায় তার ১২দিন বয়সী শিশু সন্তানকে কোলে নিয়ে খড় জ্বালিয়ে তাপ নিচ্ছিল। কিছু বুঝে উঠার আগেই অসাবধানতা বশতঃ  মা মর্জিনা বেগমের পড়নের কাপড়ে আগুন লেগে যায়। জ্বলন্ত আগুনের লেলিহান শিখা মূহুর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ায় তার শরীরের বেশীরভাগ অংশই পুড়ে যায়। এতে মা ও শিশু দু’জনই মারাত্মক অগ্নিদগ্ধ হয়।

পরিবারের লোকজন চিকিৎসার জন্য তাৎক্ষনিক তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। মুমুর্ষ অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য আর্জিনা বেগমকে ওইদিনই রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

সেখানে ১০ দিন চিকিৎসার পরও তার শরীরের উন্নতি না ঘটায় আর্জিনাকে ঢাকা বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু অবিশ্বাস্য হলেও সত্য অসহায় পরিবারটির যেখানে দু’বেলা দু’মুঠো অন্ন যোগানে উপায় নেই। সেখানে চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহে অক্ষম হওয়ায় আর্জিনা এখন তার বাড়িতে অগ্নিদগ্ধের জ্বালায় কাতরাচ্ছেন। তার সুষ্ঠু চিকিৎসার ব্যয় নির্বাহে দেশ তথা এলাকার দানশীল ব্যক্তিবর্গের নিকট আর্থিক সহায়তা কামনা করেছেন। সাহায্য পাঠাবার ঠিকানা বিকাশ নম্বর- ০১৭৬৬৫৯৯৫৪৭।

 

জনপ্রিয়

পলাশবাড়ীর অগ্নিদগ্ধ মা-শিশুর জীবন বিপন্ন, অর্থাভাবে  চিকিৎসাসেবা ব্যাহত

প্রকাশের সময়: ১১:৩০:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২১

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার অগ্নিদগ্ধে হত দরিদ্র মা ও শিশুর জীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে। অর্থাভাবে থমকে গেছে চিকিৎসা সেবা। তাই বিত্তশালীদের নিকট  আর্থিক সহায়তা কামনা করেছেন পরিবারটি।

জানা যায়, পলাশবাড়ী উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নের শালমারা গ্রামের হতদরিদ্র রিক্সাচালক দুলাল মিয়ার স্ত্রী আর্জিনা বেগম (২০)। কনকনে শীত  ২ ফেব্রুয়ারী রাতে বাড়ির আঙ্গিনায় তার ১২দিন বয়সী শিশু সন্তানকে কোলে নিয়ে খড় জ্বালিয়ে তাপ নিচ্ছিল। কিছু বুঝে উঠার আগেই অসাবধানতা বশতঃ  মা মর্জিনা বেগমের পড়নের কাপড়ে আগুন লেগে যায়। জ্বলন্ত আগুনের লেলিহান শিখা মূহুর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ায় তার শরীরের বেশীরভাগ অংশই পুড়ে যায়। এতে মা ও শিশু দু’জনই মারাত্মক অগ্নিদগ্ধ হয়।

পরিবারের লোকজন চিকিৎসার জন্য তাৎক্ষনিক তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। মুমুর্ষ অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য আর্জিনা বেগমকে ওইদিনই রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

সেখানে ১০ দিন চিকিৎসার পরও তার শরীরের উন্নতি না ঘটায় আর্জিনাকে ঢাকা বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু অবিশ্বাস্য হলেও সত্য অসহায় পরিবারটির যেখানে দু’বেলা দু’মুঠো অন্ন যোগানে উপায় নেই। সেখানে চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহে অক্ষম হওয়ায় আর্জিনা এখন তার বাড়িতে অগ্নিদগ্ধের জ্বালায় কাতরাচ্ছেন। তার সুষ্ঠু চিকিৎসার ব্যয় নির্বাহে দেশ তথা এলাকার দানশীল ব্যক্তিবর্গের নিকট আর্থিক সহায়তা কামনা করেছেন। সাহায্য পাঠাবার ঠিকানা বিকাশ নম্বর- ০১৭৬৬৫৯৯৫৪৭।