তোফায়েল হোসেন জাকির: ঈদুল আজহাকে ঘিরে গাইবান্ধায় জমে ওঠেছে গোশত কাটা খাটিয়ার ব্যবসা। কোরবানি উপলক্ষে এই খাটিয়ার কদর এখন তুঙ্গে ওঠেছে। তেঁতুল গাছের গুড়ি দিয়ে তৈরী ছোট-বড় আকারের এসব খাটিয়া বেড়েঠছে ক্রেতাদের চাহিদা।
সম্প্রতি গাইবান্ধা শহরের কাঠপট্রি এলাকাসহ জেলার বিভিন্ন পশুর হাটের পাশে দেখা গেছে- গোশত কাটার খাটিয়া বেচাকেনার দৃশ্য।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, সারাবছর গুরু-ছাগলের গোশত কাটার জন্য কসাইরা এই তেঁতুল কাঠের খাটিয়া ব্যবহার করে থাকেন। তাই সাধারণ মানুষও কোরবানি ঈদে এসব খাটিয়া কিনে থাকেন। তাই পবিত্র ঈদকে ঘিরে মৌসুমি খাটিয়া ব্যবসা জমে ওঠেছে। যা প্রতিপিস বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা দামে। কাঠের পরিমাপের উপর ভিত্তি করে এর দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
আজাদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি জানান, অন্য গাছের তুলনায় তেঁতুল কাঠের খাটিয়া অনেক শক্ত ও মজবুত। এটির উপরে গোশত কাটলে অনেকটা সুবিধা রয়েছে। এ বছর ৩৫০ টাকা দিয়ে একটি খাটিয়া কিনেছেন তিনি।
খাটিয়া বিক্রেতা আনজারুল ইসলাম বলেন, ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন আকারের খটিয়া বিক্রি করা হচ্ছে। তেঁতুল গাছের তৈরী এই খাটিয়া বিক্রি বেড়েছে। এবার ঈদ উপলক্ষে এ ব্যবসা থেকে প্রায় ৫০ হাজার টাকা লাভ থাকবে।
গাইবান্ধার শহরের কসাই ভুন্দু মিয়া জানান, গোশত ছাটাইয়ের জন্য খাটিয়ার ব্যবহার দীর্ঘদিনের। ভালোভাবে গোশত ছাটাইয়ের জন্য তেঁতুল কাঠের খাটিয়ার কদর বেশি।
© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | জাগো২৪.নেট