মেঠোপথে সারি সারি তালগাছ। উঁকি দিচ্ছে নীল আকাশে। ছড়িয়েছে মুগ্ধকর পরিবেশ। দৃষ্টি কাড়ছে সুন্দর ও নৈসর্গিক দৃশ্যে। গ্রামীণ জীবনের এমন প্রতিচ্ছবিতে আকৃষ্ট হচ্ছেন পথিকরা। সেই সঙ্গে জীববৈচিত্র রক্ষা করছে এইসব তালগাছ।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের তাহেরপুর-ইসবপুর কাঁচা রাস্তায় দেখা যায়- সারি সারি তালগাছের চিত্র। এ রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা গাছগুলোর মনোমুগ্ধ পরিবেশ উপভোগ করতে প্রকৃতি প্রেমিদের আনাগোনাও লক্ষ্য করা গেছে।
স্থানীয়রা জানায়, ওই এলাকার পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাসহ মানুষ ও পশু-পাখিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষার লক্ষ্যে প্রায় ২১ বছর আগে একটি প্রকল্প থেকে তালগাছের চারা রোপণ করা হয়। বজ্রপাত নিরোধক ও পরিবেশবান্ধব গাছগুলো ধীরে ধীরে বড় হতে শুরু করছে। পরম বন্ধ এই গাছে ইতোমধ্যে ফল আসারও সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে নতুন করে ঘর বাঁধার চেষ্টা করছে বাবুই পাখির দল। মাঝে মধ্যে এই পাখিগুলোর কিচিরমিচির শব্দে মুখরিত হয়ে ওঠছে পুরো এলাকা। সবুজ পাতার ছায়ায় মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা তালগাছগুলো দৃষ্টিনন্দিত হয়ে ওঠছে। সেই সঙ্গে প্রকৃতি প্রেমিরাও চিরায়ত গ্রামবাংলার এই সৌন্দর্য উপভোগ করছেন।
ফাতেমা আক্তার পারুল নামের স্থানীয় এক শিক্ষার্থী বলেন, বাড়ি থেকে অন্য পথে কলেজে যাওয়া-আসা করছিলাম। এখন তালগাছের টানে তাহেরপুর-ইসবপুর মেঠোপথে যাতায়াত করি। সারি সারি তালগাছের রূপে আমি মুগ্ধ হই।
বন বিভাগের কর্মকর্তা এএইচএম শরিফুল ইসলাম মন্ডল জানান, বজ্রপাত রক্ষাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে তালগাছ মানুষের জান-মাল রক্ষা করে। কিন্তু আগের মতো তালগাছগুলো তেমন চোখে পড়ে না। উপকারীতা বিভিন্ন বৃক্ষ দিনদিনে বিলুপ্তির পথে। এরই মধ্যে ওই রাস্তার পাশে তালগাছগুলো মানুষের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফেরাচ্ছে।
গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক খোরশেদ আলম বলেন, তালগাছ বজ্রপাত নিরোধক ও পরিবেশবান্ধব। প্রাকৃতিক দুর্যোগে মাঠে কৃষকের মৃত্যুর ঝুঁকি কমাতে মানুষদের তালগাছ লাগানোর উদ্বুর্ধ করা হচ্ছে।
© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | জাগো২৪.নেট