রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নিবিড় সবজি চাষে অনন্যা নারী তমা

দিশা আকতার তমা। বয়স ৩০ বছরে ছুঁইছুঁই। একসময় স্বামী আর দুই সন্তান নিয়ে চলছিলো জীবিকার লড়াই। এর মধ্যে দৃঢ় মনোবলে শুরু করেন কৃষি ফসল উৎপাদনের কাজ। কৃষিতে হাড়াভাঙ্গা পরিশ্রম করে এখন সাফল্যের শিকড়ে পৌঁছেছেন এই উদ্যোমী নারী তমা।

সম্প্রতি গাইবান্ধা সদর উপজেলার দক্ষিণ ফলিয়া নামক এলাকার কৃষিমাঠে দেখা গেছে- ফুলকপি, শিম ও টমেটোসহ বিভিন্ন সবজি মাঠের অপরূপ দৃশ্য। সেখানে আপন খেয়ালে খেত পরিচর্যায় ব্যস্ত ছিলেন তমা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দিশা আকতার তমা অস্বচ্ছল পরিবারে জন্মগ্রহণ করে বিয়েও হয় অস্বচ্ছল পরিবারেই। পরিবারে রোজকারের লোক না থাকায় স্বামীর বাড়িতে আর যাওয়া হয়নি। তার মা হাসনা হেনা বেগম একা হওয়ায় দায়িত্বভার পরে নিজ কাঁধেই। সেই থেকেই স্বামীকে নিয়ে বাবার বাড়িতে দুই সন্তান নিয়ে জীবনযুদ্ধে নেমে পড়েন এই নারী। তারপর নিজেকে স্বাবলম্বী করার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। এরপর থেকেই কৃষি কাজ থেকে কোন কিছু করা যায় কি না সেই ভাবনা তার। নিজের ইচ্ছের কথাটা তুলে ধরেন স্বামী শরিফুল ইসলামের কাছে। আর নিজের জমিতে শুরু করেন বিভিন্ন প্রকারের সবজির আবাদ। তার মধ্যে মিষ্টি কুমড়া, শিম, ফুলকপি, লাউ, টমেটো। প্রথম অবস্থায় সবজি খাত থেকে বাজিমাত করেন তমা। একইসাথে গাভীর খামারের পরিকল্পনা করছেন এই নারী উদ্যোক্তা। বর্তমানে ১০০ শতাংশ জমিতে চলছে সবজির আবাদ।

নজিম উদ্দিন নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, এলাকায় কৃষি উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখায় আশেপাশে সবাই উদ্বুদ্ধ হয়ে এখানে সবজি ফসলি জমি বাড়ছে। একইসাথে তিনি বীজ উৎপাদন করতে চান এই উদ্যোমী নারী।

উদ্যোক্তা দিশা আকতার তমা বলেন, এক সময় অভাবের সংসারে নুন আন্তে পান্তা ফুরায় অবস্থা ছিলো। এখন কৃষি ফসল উৎপাদন করে অনেকটা লাভবান হয়েছি। দূর হয়েছে অভাব নামের শব্দটি।

গাইবান্ধা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহাদাৎ হোসেন বলেন, দিশা আকতার তমা সাহস ও মেধাকে কাজে লাগিয়ে কৃষিতে তিনি একজন সফল নারী উদ্যোক্তা। তাকে আরও লাভবান করতে সর্বাতœক সহযোগিতা করা হচ্ছে।

জনপ্রিয়

নিবিড় সবজি চাষে অনন্যা নারী তমা

প্রকাশের সময়: ০৫:৪১:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

দিশা আকতার তমা। বয়স ৩০ বছরে ছুঁইছুঁই। একসময় স্বামী আর দুই সন্তান নিয়ে চলছিলো জীবিকার লড়াই। এর মধ্যে দৃঢ় মনোবলে শুরু করেন কৃষি ফসল উৎপাদনের কাজ। কৃষিতে হাড়াভাঙ্গা পরিশ্রম করে এখন সাফল্যের শিকড়ে পৌঁছেছেন এই উদ্যোমী নারী তমা।

সম্প্রতি গাইবান্ধা সদর উপজেলার দক্ষিণ ফলিয়া নামক এলাকার কৃষিমাঠে দেখা গেছে- ফুলকপি, শিম ও টমেটোসহ বিভিন্ন সবজি মাঠের অপরূপ দৃশ্য। সেখানে আপন খেয়ালে খেত পরিচর্যায় ব্যস্ত ছিলেন তমা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দিশা আকতার তমা অস্বচ্ছল পরিবারে জন্মগ্রহণ করে বিয়েও হয় অস্বচ্ছল পরিবারেই। পরিবারে রোজকারের লোক না থাকায় স্বামীর বাড়িতে আর যাওয়া হয়নি। তার মা হাসনা হেনা বেগম একা হওয়ায় দায়িত্বভার পরে নিজ কাঁধেই। সেই থেকেই স্বামীকে নিয়ে বাবার বাড়িতে দুই সন্তান নিয়ে জীবনযুদ্ধে নেমে পড়েন এই নারী। তারপর নিজেকে স্বাবলম্বী করার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। এরপর থেকেই কৃষি কাজ থেকে কোন কিছু করা যায় কি না সেই ভাবনা তার। নিজের ইচ্ছের কথাটা তুলে ধরেন স্বামী শরিফুল ইসলামের কাছে। আর নিজের জমিতে শুরু করেন বিভিন্ন প্রকারের সবজির আবাদ। তার মধ্যে মিষ্টি কুমড়া, শিম, ফুলকপি, লাউ, টমেটো। প্রথম অবস্থায় সবজি খাত থেকে বাজিমাত করেন তমা। একইসাথে গাভীর খামারের পরিকল্পনা করছেন এই নারী উদ্যোক্তা। বর্তমানে ১০০ শতাংশ জমিতে চলছে সবজির আবাদ।

নজিম উদ্দিন নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, এলাকায় কৃষি উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখায় আশেপাশে সবাই উদ্বুদ্ধ হয়ে এখানে সবজি ফসলি জমি বাড়ছে। একইসাথে তিনি বীজ উৎপাদন করতে চান এই উদ্যোমী নারী।

উদ্যোক্তা দিশা আকতার তমা বলেন, এক সময় অভাবের সংসারে নুন আন্তে পান্তা ফুরায় অবস্থা ছিলো। এখন কৃষি ফসল উৎপাদন করে অনেকটা লাভবান হয়েছি। দূর হয়েছে অভাব নামের শব্দটি।

গাইবান্ধা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহাদাৎ হোসেন বলেন, দিশা আকতার তমা সাহস ও মেধাকে কাজে লাগিয়ে কৃষিতে তিনি একজন সফল নারী উদ্যোক্তা। তাকে আরও লাভবান করতে সর্বাতœক সহযোগিতা করা হচ্ছে।