গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার প্রত্যান্ত অঞ্চলে কৃষি জমি থেকে মাটি বাণিজ্যে তুঙ্গে উঠেছে। এসব জমির টপ সয়েল মাটি ট্রাক্টর ও ড্রাম ট্রাক দিয়ে বহন করে ইটভাটাসহ বিক্রি হচ্ছে অন্যত্র। অভিযোগ রয়েছে. কতিপয় দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের সঙ্গে গোপন চুক্তিতে অবৈধ এই ব্যবসায় হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। আর ফসল উৎপাদন শক্তি হারাচ্ছে কৃষকদের।
সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দামোদরপুর জামালপুর, বনগ্রাম, ধাপেরহাট ইউনিয়নসহ উপজেলার ১১ টি ইউনিয়নের বিভিন্ন কৃষিমাঠে জমির টপ সয়েল কাটার মহোৎসব মেতে ওঠেছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা।
ইতোমধ্যে ছালেক, মন্টু , খয়বর, নজরুলসহ শতাধিক ব্যক্তি এই ব্যবসায় আঙ্গুল ফলে কলাগাছ বুনেছেন। এতে করে যেমন ক্ষতি হচ্ছে কৃষকের, তেমনি নষ্ট হচ্ছে কাঁচা-পাকা রাস্তা ও ধুলাবালিতে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ।
স্থানীয়রা বলছেন, অবৈধ মাটি ব্যবসায়ীরা দীঘদিন ধরে কৃষি জমি থেকে মাটি তুলে অন্যত্র বিক্রি করছে। প্রশাসনের তদারকির অভাবে দিন রাত সমান তালে চলছে কৃষি জমির টপ সয়েল কাটার মহোৎসব। এ সংক্রান্ত আইনি বিধিনিষেধ থাকলেও কেউই তা মানছে না। ফলে প্রতিদিন একরের পর একর কৃষি জমির টপ সয়েল চলে যাচ্ছে অন্যত্র। এতে করে যেমন জমি উর্বরাশক্তি হারাচ্ছে তেমনি ফসল উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে। জমির ১ থেকে ২ ফুট গভীর করে ফসলি জমির মাটি কাটা হচ্ছে। তারা এমন কাণ্ড লিপ্ত থাকলেও প্রশাসন নিরবতা পালন করছে বলে ভূক্তভোগিরা জানিয়েছে।
আবু তাহের মিয়া নামের এক উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বলেন, কৃষি জমির মাটির উপরিভাগের ৮ থেকে ১০ ইঞ্চি অংশকে টপ সয়েল বলা হয়। এই অংশে মাটির মূল উর্বরাশক্তি থাকে। এগুলো কেটে উঠানে হলে ফসল উৎপাদন শক্তি হারাবেন কৃষকরা।
সাদুল্লাপুর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) জসিম উদ্দিন জানান, ফসলি কৃষি মাঠ থেকে মাটি তোলা দণ্ডনীয় অপরাধ। এ বিষয়ে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, জাগো২৪.নেট 
























