সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লালমনিরহাটে ছেলের ছুরিকাঘাতে মায়ের মৃত্যু

লালমনিরহাটে ছেলের ছুরিকাঘাতে সুশীলা কর্মকার (৫৫) নামের এক মায়ের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ৪ অক্টোবর দিবাগত রাত ১টার দিকে লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ি ইউনিয়নের শিবরাম মৌজার পালপাড়ায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। নিহত সুশীলা কর্মকার ওই এলাকার স্বর্গীয় ভেললো কর্মকারের স্ত্রী। অভিযুক্ত ছেলে নিমাই কর্মকার (২৮) কে ঘটনাস্থল থেকে আটক করেছে পুলিশ।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক কলহের একপর্যায়ে নিমাই কর্মকার তার মা সুশীলা কর্মকারকে ধারালো ছুরি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন। স্থানীয়রা আহত অবস্থায় সুশীলাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
স্থানীয়রা আরও জানান, কিছুদিন আগে নিমাইয়ের স্ত্রী অভিমান করে বাবার বাড়িতে চলে যান। এ নিয়ে শনিবার রাতে পরিবারের মধ্যে ঝগড়া বাধে। পরে নিমাই বড়বাড়ী বাজারে গিয়ে কয়েকজনের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে দু-একজনকে আঘাত করে। এ সময় মা সুশীলা কর্মকার ছেলেকে শান্ত করতে গেলে নিমাই ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। তার ভাই কানাইও ছুরি দিয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হন।

জানা গেছে, নিমাই কর্মকারের মানসিক সমস্যা ছিল। কিছুদিন আগে তাকে চিকিৎসার জন্য পাবনাতেও নেওয়া হয়েছিল।

এ বিষয়ে সদর থানা ওসি (তদন্ত কর্মকর্তা) বাদল কুমার রায় জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত নিমাই কর্মকারকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহ ও মানসিক বিকারগ্রস্ত সমস্যার কারণে এ ঘটনা ঘটতে পারে।

জনপ্রিয়

লালমনিরহাটে ছেলের ছুরিকাঘাতে মায়ের মৃত্যু

প্রকাশের সময়: ০৭:০৮:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫

লালমনিরহাটে ছেলের ছুরিকাঘাতে সুশীলা কর্মকার (৫৫) নামের এক মায়ের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ৪ অক্টোবর দিবাগত রাত ১টার দিকে লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ি ইউনিয়নের শিবরাম মৌজার পালপাড়ায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। নিহত সুশীলা কর্মকার ওই এলাকার স্বর্গীয় ভেললো কর্মকারের স্ত্রী। অভিযুক্ত ছেলে নিমাই কর্মকার (২৮) কে ঘটনাস্থল থেকে আটক করেছে পুলিশ।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক কলহের একপর্যায়ে নিমাই কর্মকার তার মা সুশীলা কর্মকারকে ধারালো ছুরি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন। স্থানীয়রা আহত অবস্থায় সুশীলাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
স্থানীয়রা আরও জানান, কিছুদিন আগে নিমাইয়ের স্ত্রী অভিমান করে বাবার বাড়িতে চলে যান। এ নিয়ে শনিবার রাতে পরিবারের মধ্যে ঝগড়া বাধে। পরে নিমাই বড়বাড়ী বাজারে গিয়ে কয়েকজনের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে দু-একজনকে আঘাত করে। এ সময় মা সুশীলা কর্মকার ছেলেকে শান্ত করতে গেলে নিমাই ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। তার ভাই কানাইও ছুরি দিয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হন।

জানা গেছে, নিমাই কর্মকারের মানসিক সমস্যা ছিল। কিছুদিন আগে তাকে চিকিৎসার জন্য পাবনাতেও নেওয়া হয়েছিল।

এ বিষয়ে সদর থানা ওসি (তদন্ত কর্মকর্তা) বাদল কুমার রায় জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত নিমাই কর্মকারকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহ ও মানসিক বিকারগ্রস্ত সমস্যার কারণে এ ঘটনা ঘটতে পারে।