শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে গাইবান্ধায় উত্তাল ছাত্র-জনতা

ইনকিলাম মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরীফ ওসমান বিন হাদিকে গুলিবর্ষণে হত্যার প্রতিবাদে ও খুনিদের শাস্তির দাবিতে গাইবান্ধা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে সর্বস্তরের ছাত্র-জনতা।

শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) জুম্মার নামাজের পর গাইবান্ধা কেন্দ্রীয় বড় জামে মসজিদ থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন তারা।

পরবর্তীতে গাইবান্ধা জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ  করে গাইবান্ধা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে অবস্থান কর্মসূচি ও রাস্তা ব্লকেড  করা হয়। এসময় যান চলাচল সাময়িক বন্ধ হয়ে যায়।

এসময় তুমি কে আমি কে- হাদি হাদি, স্লোগানে রাজপথ উত্তাল করেন ছাত্র-জনতা। এতে সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে আয়োজিত মিছিলে রাজপথ স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। আন্দোলনকারীরা ভারতীয় হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

বক্তারা বলেন, জুলাই বিপ্লবের প্রাণপুরুষ হাদী ছিলেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে এক আপসহীন কণ্ঠস্বর যাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে এবং এই হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়া পর্যন্ত বাংলার ছাত্র-সমাজ ঘরে। ফিরবে না বরং এই লড়াইকে আরও বেগবান করা হবে।

মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা অবিলম্বে খুনিদের গ্রেফতার ও বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে বলেন, কোনো অপশক্তি বা বিদেশি মদদপুষ্টরা এই বিপ্লবের অর্জনকে নসাৎ করতে পারবে না এবং শহীদদের রক্তের প্রতিটি ফোঁটার হিসাব বুঝিয়ে না নেওয়া পর্যন্ত এই প্রতিবাদী গণজোয়ার অব্যাহত থাকবে।

হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে গাইবান্ধায় উত্তাল ছাত্র-জনতা

প্রকাশের সময়: ০৭:৫৭:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫

ইনকিলাম মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরীফ ওসমান বিন হাদিকে গুলিবর্ষণে হত্যার প্রতিবাদে ও খুনিদের শাস্তির দাবিতে গাইবান্ধা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে সর্বস্তরের ছাত্র-জনতা।

শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) জুম্মার নামাজের পর গাইবান্ধা কেন্দ্রীয় বড় জামে মসজিদ থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন তারা।

পরবর্তীতে গাইবান্ধা জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ  করে গাইবান্ধা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে অবস্থান কর্মসূচি ও রাস্তা ব্লকেড  করা হয়। এসময় যান চলাচল সাময়িক বন্ধ হয়ে যায়।

এসময় তুমি কে আমি কে- হাদি হাদি, স্লোগানে রাজপথ উত্তাল করেন ছাত্র-জনতা। এতে সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে আয়োজিত মিছিলে রাজপথ স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। আন্দোলনকারীরা ভারতীয় হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

বক্তারা বলেন, জুলাই বিপ্লবের প্রাণপুরুষ হাদী ছিলেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে এক আপসহীন কণ্ঠস্বর যাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে এবং এই হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়া পর্যন্ত বাংলার ছাত্র-সমাজ ঘরে। ফিরবে না বরং এই লড়াইকে আরও বেগবান করা হবে।

মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা অবিলম্বে খুনিদের গ্রেফতার ও বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে বলেন, কোনো অপশক্তি বা বিদেশি মদদপুষ্টরা এই বিপ্লবের অর্জনকে নসাৎ করতে পারবে না এবং শহীদদের রক্তের প্রতিটি ফোঁটার হিসাব বুঝিয়ে না নেওয়া পর্যন্ত এই প্রতিবাদী গণজোয়ার অব্যাহত থাকবে।