১৯৮৪ সালে মফিজ উদ্দিন ছিলেন টগবগে যুবক। এমন সময়ে যোগদান করে আনসার ব্যাটালিয়নে।ফলে হাসি ফুটতে থাকে পরিবার-পরিজনের মুখে। কিন্তু ১৯৯৫ সালে অজ্ঞাত কারণে চাকুরিচ্যুত্ব হন তিনি। তাই রিকশা চালিয়ে দুর্বীসহ জীবনযাপন করছে মফিজ উদ্দিন।
জীবন সংগ্রামে পরাজীত এই মফিজ উদ্দিনের বাড়ি রংপুরের তাজহাট ধর্মদাস (বার আউলিয়া) গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের শহীদ বীরমুক্তিযোদ্ধা শহর উদ্দিন ব্যাপারীর ছেলে।
জানা যায়, ১৯৮৪ সালের এপ্রিলে বাংলাদেশ আনসার ব্যাটালিয়ন এর সিপাহী পদে যোগদান করে মফিজ উদ্দিন। চাকরি করাকালীন সময় দক্ষতা, সততা ও সুনামের জন্য অল্প সময়ের মধ্যেই নায়েক হিসেবে পদোন্নতী লাভ করেন। সে সময় তিনি ২৮ নং আনসার ব্যাটালিয়ন এ কর্মরত ছিলেন। ভালো ভাবেই চলছিলো চাকুরি জীবন। তার সংসারে ছিলো অনাবিল অনন্দ পরিবার পরিজন নিয়ে ভালো ভাবেই জীবন যাপন করে আসছিলেন মফিজ উদ্দিন।
দীর্ঘ সময় তিনি বাংলাদেশ আনসার ব্যাটালিয়ন এর নায়েক পদে কর্মরত ছিলেন । হঠাৎ তার জীবনে একদিন কালো মেঘের ছায়া নেমে আসে। ১৯৯৫ সালে তাকে বিনা কারনে চাকুরি হারাতে হয় বলে মফিজ উদ্দিনের অভিযোগ।
বিদ্যমান পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর বরাবর আবেদন করেন। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতও করেন মফিজ উদ্দিন। এসময় প্রধানমন্ত্রী মফিজ উদ্দিন কে আশ্বাস প্রদান করেন ও তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেন পরিচালক-২ মাহমুদুর রহমানকে।এরই পরিপ্রেক্ষিতে সেই সময়ে বিনা কারণে চাকুরীচ্যুত্ব মফিজ উদ্দিনসহ ৯ জন আনসার বাহীনিকে পূর্ণবহালের জন্য প্রধানমন্ত্রীর আদেশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চাকুরিতে পুনরায় বহাল রাখার নির্দেশ দেয়।
সেই আদেশ বলে মফিজ উদ্দিনকে ছাড়া বাকি ৮ জনের চাকুরি ফিরিয়ে দেওয়ার কার্যক্রম গ্রহন করেন ও চাকুরি ফিরিয়ে দেয়। কিন্তু গত ১০ বছরে মফিজ উদ্দিন দপ্তরে দপ্তরে ঘুড়ে চাকুরি ফেরত না পেয়ে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী বরাবর গত বছরে ১১ ফেব্রুয়ারী আবেদন করেন।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে মফিজ উদ্দিন জাগো২৪.নেট-কে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতার নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে মন্ত্রাণালয়ের লোকজন আমাদের কাছে টাকা চায়। আমি ছাড়া বাকি ৮ জন সম্ভবত বিনিময়ে চাকুরি ফেরত পেলেও আমি টাকা দিতে না পাড়ায় আমাকে চাকুরি ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর আদেশ অমান্য করে আমাকে পুর্ণবহাল করা হয়নি। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীন কাছে প্রার্থনা, আমার অসহায় পরিবারের দিক বিবেচনা করে আপনার দয়ার হাতটি বাড়ানোর অনুরোধ করছি।
জলিল সরকার, করেসপন্ডেন্ট, জাগো২৪.নেট, রংপুর 



















