বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রোদ-গরমে গাইবান্ধার মানুষের হাঁসফাঁস  

গাইবান্ধা জেলায় গত কয়েকদিন ধরে অব্যাহত রয়েছে প্রখর রোদ আর ভ্যাপসা গরম। চরাঞ্চলসহ জেলার চারিদিকে যেন খা খা অবস্থা বিরাজ করছে। আর গ্রামীন মানুষদের মধ্যে শুরু হয়েছে হাঁসফাঁস। এসব মানুষ একটু স্বস্তি পেতে ছুটছেন এদিক-সেদিক। কেউ বা ছুটছে গাছতলায়। আবার অনেকে ঠাণ্ডা পানীয় ও আইসক্রিম খেয়ে স্বস্তি পাওয়ার চেষ্টা করছে।

সোমবার (২৪ মে) দুপুরে গাইবান্ধার গ্রামাঞ্চলে দেখা যায় গরমের ফাঁদে পরা মানুষের হাঁসফাঁসের চিত্র। এসময় অনেকে ঘাম ঝড়া দেহ নিয়ে গাছের নিচে বসে হাপাচ্ছিলেন। অনেকে বোতলে পানি ঢালছিলেন মাথায় ।

দেখা যায়, গাইবান্ধা জেলায় গত ৫ দিন ধরে দিনের বেলায় প্রখর রোদের ঝলকানি। আর এই রোদে পুড়ছে কৃষকের মাঠসহ বাসা-বাড়ি ও পথঘাট। দেখা নেই বৃষ্টির। যার ফলে বেড়েছে দাবদাহ। অসহনী গরমে মানুষের মাঝে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এর প্রভাবে খেটে খাওয়া মানুষসহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষেরা কোন কাজই মনোযোগি হতে পারছে না। অফিস-আদালতের কর্মজীবিদেরও উষ্ঠাগত অবস্থায়। তীব্র গরমের ঠেলায় তারা ঠিকভাবে করতে পারছে না কাজকর্ম।

বিশেষ করে বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবি মানুষেরা। কাঁঠফাটা রোদ আর অসহনীয় গরমে কৃষকের মাঠে কাজ করতে ব্যর্থ হচ্ছে তারা। সেই সঙ্গে সিএনজি, আটোরিকশা ও ভ্যান চালকদেরও একই অবস্থায়। অনেকে জীবিকার তাগিদে বাড়ি থেকে বেরুলে রোদ-ভ্যাপসা গরমে অস্থির হয়ে উঠছেন। বার্ধ্য হয়ে তারা ফিরছে বাড়িতে। এর ফলে শ্রমজীবি মানুষের থমকে গেছে জীবনযাত্রা।

বিদ্যমান পরিস্থিতি গাইবান্ধার মানুষদের বেড়েছে রোগবালাই। অনেকের স্বর্দি, জ্বর, কাশি, মাথা ব্যথা ও নানা রোগের আক্রান্ত হচ্ছেন। সম্প্রতি তীব্র দাবদাহ থেকে রক্ষা পেতে এক পশলা বৃষ্টির প্রার্থনা করছে। একদিকে লকডাউন অন্যদিকে তীব্র গরমে শহর-বন্দরের হাট-বাজারগুলোর ব্যবসা বানিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছে। তবে গরমের সুযোগে ব্যবসা বেড়েছে কনফেকশনারী দোকানিদের। এসব দোকানে ফ্রিজে রাখা পানীয়, আইসক্রিম, দই, শরবত ও ইত্যাদি জাতিয় ঠান্ডা খাবার কিনতে ভিড় করছে গরমের কবলে পড়া মানুষেরা।

কৃষক লতিফ মিয়া মিয়া জানান, মাঠে পাটসহ নানা ধরণের সবজি ক্ষেত রয়েছে। অনাবৃষ্টির কারণে পুড়ে যাচ্ছে ক্ষেতগুলো। এতে ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

গাইবান্ধা বাস স্ট্যান্ডে আসা রিকশা চালক আমিনুল মিয়া বলেন, জীবিকার তাগিদে গাড়ি নিয়ে বের হয়েছি। কিন্তু অসহ্য গরমের ঠেলায় বোতলের ঠান্ডা পানি মাথায় ঢেলে কিছুটা স্বস্তি পেলাম।

জনপ্রিয়

রোদ-গরমে গাইবান্ধার মানুষের হাঁসফাঁস  

প্রকাশের সময়: ০৩:০২:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মে ২০২১

গাইবান্ধা জেলায় গত কয়েকদিন ধরে অব্যাহত রয়েছে প্রখর রোদ আর ভ্যাপসা গরম। চরাঞ্চলসহ জেলার চারিদিকে যেন খা খা অবস্থা বিরাজ করছে। আর গ্রামীন মানুষদের মধ্যে শুরু হয়েছে হাঁসফাঁস। এসব মানুষ একটু স্বস্তি পেতে ছুটছেন এদিক-সেদিক। কেউ বা ছুটছে গাছতলায়। আবার অনেকে ঠাণ্ডা পানীয় ও আইসক্রিম খেয়ে স্বস্তি পাওয়ার চেষ্টা করছে।

সোমবার (২৪ মে) দুপুরে গাইবান্ধার গ্রামাঞ্চলে দেখা যায় গরমের ফাঁদে পরা মানুষের হাঁসফাঁসের চিত্র। এসময় অনেকে ঘাম ঝড়া দেহ নিয়ে গাছের নিচে বসে হাপাচ্ছিলেন। অনেকে বোতলে পানি ঢালছিলেন মাথায় ।

দেখা যায়, গাইবান্ধা জেলায় গত ৫ দিন ধরে দিনের বেলায় প্রখর রোদের ঝলকানি। আর এই রোদে পুড়ছে কৃষকের মাঠসহ বাসা-বাড়ি ও পথঘাট। দেখা নেই বৃষ্টির। যার ফলে বেড়েছে দাবদাহ। অসহনী গরমে মানুষের মাঝে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এর প্রভাবে খেটে খাওয়া মানুষসহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষেরা কোন কাজই মনোযোগি হতে পারছে না। অফিস-আদালতের কর্মজীবিদেরও উষ্ঠাগত অবস্থায়। তীব্র গরমের ঠেলায় তারা ঠিকভাবে করতে পারছে না কাজকর্ম।

বিশেষ করে বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবি মানুষেরা। কাঁঠফাটা রোদ আর অসহনীয় গরমে কৃষকের মাঠে কাজ করতে ব্যর্থ হচ্ছে তারা। সেই সঙ্গে সিএনজি, আটোরিকশা ও ভ্যান চালকদেরও একই অবস্থায়। অনেকে জীবিকার তাগিদে বাড়ি থেকে বেরুলে রোদ-ভ্যাপসা গরমে অস্থির হয়ে উঠছেন। বার্ধ্য হয়ে তারা ফিরছে বাড়িতে। এর ফলে শ্রমজীবি মানুষের থমকে গেছে জীবনযাত্রা।

বিদ্যমান পরিস্থিতি গাইবান্ধার মানুষদের বেড়েছে রোগবালাই। অনেকের স্বর্দি, জ্বর, কাশি, মাথা ব্যথা ও নানা রোগের আক্রান্ত হচ্ছেন। সম্প্রতি তীব্র দাবদাহ থেকে রক্ষা পেতে এক পশলা বৃষ্টির প্রার্থনা করছে। একদিকে লকডাউন অন্যদিকে তীব্র গরমে শহর-বন্দরের হাট-বাজারগুলোর ব্যবসা বানিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছে। তবে গরমের সুযোগে ব্যবসা বেড়েছে কনফেকশনারী দোকানিদের। এসব দোকানে ফ্রিজে রাখা পানীয়, আইসক্রিম, দই, শরবত ও ইত্যাদি জাতিয় ঠান্ডা খাবার কিনতে ভিড় করছে গরমের কবলে পড়া মানুষেরা।

কৃষক লতিফ মিয়া মিয়া জানান, মাঠে পাটসহ নানা ধরণের সবজি ক্ষেত রয়েছে। অনাবৃষ্টির কারণে পুড়ে যাচ্ছে ক্ষেতগুলো। এতে ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

গাইবান্ধা বাস স্ট্যান্ডে আসা রিকশা চালক আমিনুল মিয়া বলেন, জীবিকার তাগিদে গাড়ি নিয়ে বের হয়েছি। কিন্তু অসহ্য গরমের ঠেলায় বোতলের ঠান্ডা পানি মাথায় ঢেলে কিছুটা স্বস্তি পেলাম।