গাইবান্ধা শহরের মুন্সীপাড়া বাসিন্দা মাহামুদুর রহমান মুকুল। নিজের ভাগ্য বদলের চেষ্টায় শুরু করছেন মৌমাছি পালন। এসব মাছি আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে শতাধিক কাঠের বাক্সে। এ বাক্সের ভেতরই লকিয়ে রয়েছে মুকুলের স্বপ্ন। এখান থেকে মধু সংগ্রহ করে লাভবান হবেন, এমন স্বপ্নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
সরেজমিনে শনিবার (২৯ মে) বিকেলে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ঘেগার বাজার এলাকার গঙ্গা নারায়ণপুর নামকস্থানের একটি গাছ বাগানের ফাঁকে দেখা যায় মুকুল মিয়ার মৌমাছি বংশ বিস্তারের চিত্র। এসময় আরিফ আহমেদ আকাশ নামের এক কর্মচারি মৌবাক্সে রাণী মাছি নিশ্চিত করছিলেন।

জানা যায়, মৌ চাষ ও মধু সংগ্রহ করা, এটি একটি অত্যান্ত লাভজনক পেশা। এ থেকে অনায়াসে লাভবান হচ্ছে অহরহ মানুষ। সেটি অনুকরণ করে মাহামুদুর রহমান মুকুলও শুরু করছে মৌ চাষ। প্রাথমিক ভাবে কাঠের তৈরী ১০ টি ছোট বাক্সে রাণী মাছি নিয়ে যাত্রা শুর করছেন তিনি। সেগুলো থেকে বংশ বিস্তার করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত ৩০০ টি মৌবাক্স বিভিন্ন মাঠে স্থাপন করা হয়েছে। ওইসব মাছিগুলো কৃষকের ফসল ক্ষেতে গিয়ে আহার করে থাকে। শুধু আহারই নয়, মধু সংগ্রহ করেও আনে মাছিগুলো। একই সঙ্গে প্রত্যেকটি বাক্সে একটি করে রাণী মাছি থেকে জন্ম হচ্ছে শতাধিক বাচ্চা মাছি। এভাবে মধু সংগ্রহের উদ্দেশ্য প্রতিপালন করা হচ্ছে মৌমাছি গুলো।

মৌ চাষি মাহামুদুর রহমান মুকুল জানান, ইতোমধ্যে মৌচাষ শুরু করা হয়েছে। এখনো মধু সংগ্রহের সময় হয়নি। শুধু বংশ বিস্তার চলছে। আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসের দিকে ৩০০ বাক্স থেকে মধু সংগ্রহ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী প্রত্যেকটি বাক্স থেকে ১৫ থেকে ২০ কেজি মধু সংগ্রহ করা যেতে পারে। এতে ছয় মাসের খরচ বাদে লক্ষাধিক টাকা লাভ করা সম্ভব হতে পারে।
গাইবান্ধা কৃষি বিভাগের উপ পরিচালক মাসুদুর রহমান জানান, মৌ চাষে শুধু মধু সংগ্রহই নয়, প্রত্যেকটি মৌচাক থেকে রয়েল জেলি, মোম, আঠা ও মৌ বিষসহ আরও বেশ কিছু উপাদান পাওয়া যায়। তাই মৌ চাষ পেশাটি অত্যান্ত লাভজনক। যে কেউ এটি করে স্বাবলম্বি হতে পারবেন। আর যারা করছেন তাদেরকে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।
তোফায়েল হোসেন জাকির 


















