শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৩০ টাকার মরচি ১৬০ টাকা

তোফায়েল হোসেন জাকির: গত সপ্তাহে গাইবান্ধার হাট-বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হতো ৩০ টাকা দামে। সেটি একলাফে বেড়ে ১৬০ টাকা কেজি দামে বিক্রি হচ্ছে। এতে করে বিপাকে পড়েছে নিম্নআয়ের মানুষেরা।

রোববার ( ৮ আগস্ট) বিকেলে গাইবান্ধার পুরাতন বাজারসহ বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা যায়  প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ ১৬০ থেকে ১৮০ দামে কেনা-বেচা হচ্ছে। এসময় উর্ধগতি দাম নিয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর সঙ্গে ক্রেতা সাধারণের তর্ক-বিকর্তও দেখা গেছে।

জানা যায়, খরিপ-১ মৌসুমের কাঁচা মরিচ আবাদ করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। সাধারণত এ সময়টা আবহাওয়ার বিরূপ আচারণ সৃষ্টি হয়। গত সপ্তাহ আগ পর্যন্ত তে থেকে অধিক পরিমান মরিচ উৎপাদন করছিলেন কৃষকরা। সেই সময়ে কঠোর লকডাউনের কবলে এলাকার বাহিরে মচির বিক্রি করা সম্ভব হয়নি। যার ফলে স্থানীয় বাজারে চাহিদা কম থাকায় ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি করছিলেন তারা। কিন্তু সম্প্রতি অতিখড়া ও মাঝে মধ্যে অতিবর্ষণ হচ্ছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে মরিচের গাছ শুকিয়ে কমে যাচ্ছে উৎপাদন ক্ষমতা। একই সঙ্গে লকডাউনের শীতিলতার সুযোগে জেলার বাহিরেও মরিচ বিক্রি শুরু করেছে কৃষকরা। যার কারণে স্থানীয় বাজারে কাঁচা মরিচের আমদানি কম থাকায় এর চাহিদা বেড়েছে অনেকটাই। ফলে  প্রতিকেজি মরিচ এখন ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা দামে কেনা-বেচা হচ্ছে।

গোবিন্দগঞ্জ এলাকার কৃষক খাজা মিয়া জাগো২৪.নেট-কে জানান, তিনি ৩০ শতক জমিতে মরিচ আবাদ করেছেন। সম্প্রতি বিরূপ আবহাওয়ার কারণে গত সপ্তাহের তুলনা উৎপাদন কমেছে অর্ধেকে। এমতাবস্থায় স্থানীয়ভাবে চাহিদা বেশী থাকায় পাইকারি দরে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ ১৫৫ থেকে ১৭৫ টাকায় বিক্রি করছেন তিনি।

রফিকুল ইসলাম নামের এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বলেন, আড়তে বেশী দাম দিয়ে কাঁচা মরিচ কিনতে হচ্ছে। তাই খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে।

বাজারে মরিচ কিনতে আসা নজরুল ইসলাম নামের এক ভ্যানরিকশা চালক ক্ষুব্ধতাভাবে বলেন, একদিকে লকডাউনে কমেছে আয়-রোজগার। অন্যদিকে কাঁচা মরিচসহ বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম। এমন পরিস্থিতির কারণে ক্রয় মতার বাহিরে চলে গেছে।

আদুর লতিফ মিয়া নামের এক স্কুল শিক জানান, গাইবান্ধা জেলায় মরচিসহ প্রচুর পরিমানের শাক-সবজি উৎপাদন হয়। এসব সবজি সংরণের জন্য হিমাগার না থাকায় কৃষক-ক্রেতা উভয়ে ক্ষতির শিকার হচ্ছে।

গাইবান্ধা জেলা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান জাগো২৪.নেট-কে বলেন, চলতি খরিপ-১ মৌসুমে জেলার ৭ উপজেলায় ৬৬০ হেক্টর জমিতে কাঁচা মরিচ রয়েছে। মুলত: এ মৌসুমে মরিচ উৎপাদন কমই হয়। যার ফলে খুচরা বাজারে দাম উঠা-নামা হয়ে থাকে। তবে রবি মৌসুমে কাঁচা মরিচের দর স্বাভাবিক অবস্থায় থাকে বলে জানান তিন।

 

৩০ টাকার মরচি ১৬০ টাকা

প্রকাশের সময়: ০৪:১৯:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ অগাস্ট ২০২১

তোফায়েল হোসেন জাকির: গত সপ্তাহে গাইবান্ধার হাট-বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হতো ৩০ টাকা দামে। সেটি একলাফে বেড়ে ১৬০ টাকা কেজি দামে বিক্রি হচ্ছে। এতে করে বিপাকে পড়েছে নিম্নআয়ের মানুষেরা।

রোববার ( ৮ আগস্ট) বিকেলে গাইবান্ধার পুরাতন বাজারসহ বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা যায়  প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ ১৬০ থেকে ১৮০ দামে কেনা-বেচা হচ্ছে। এসময় উর্ধগতি দাম নিয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর সঙ্গে ক্রেতা সাধারণের তর্ক-বিকর্তও দেখা গেছে।

জানা যায়, খরিপ-১ মৌসুমের কাঁচা মরিচ আবাদ করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। সাধারণত এ সময়টা আবহাওয়ার বিরূপ আচারণ সৃষ্টি হয়। গত সপ্তাহ আগ পর্যন্ত তে থেকে অধিক পরিমান মরিচ উৎপাদন করছিলেন কৃষকরা। সেই সময়ে কঠোর লকডাউনের কবলে এলাকার বাহিরে মচির বিক্রি করা সম্ভব হয়নি। যার ফলে স্থানীয় বাজারে চাহিদা কম থাকায় ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি করছিলেন তারা। কিন্তু সম্প্রতি অতিখড়া ও মাঝে মধ্যে অতিবর্ষণ হচ্ছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে মরিচের গাছ শুকিয়ে কমে যাচ্ছে উৎপাদন ক্ষমতা। একই সঙ্গে লকডাউনের শীতিলতার সুযোগে জেলার বাহিরেও মরিচ বিক্রি শুরু করেছে কৃষকরা। যার কারণে স্থানীয় বাজারে কাঁচা মরিচের আমদানি কম থাকায় এর চাহিদা বেড়েছে অনেকটাই। ফলে  প্রতিকেজি মরিচ এখন ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা দামে কেনা-বেচা হচ্ছে।

গোবিন্দগঞ্জ এলাকার কৃষক খাজা মিয়া জাগো২৪.নেট-কে জানান, তিনি ৩০ শতক জমিতে মরিচ আবাদ করেছেন। সম্প্রতি বিরূপ আবহাওয়ার কারণে গত সপ্তাহের তুলনা উৎপাদন কমেছে অর্ধেকে। এমতাবস্থায় স্থানীয়ভাবে চাহিদা বেশী থাকায় পাইকারি দরে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ ১৫৫ থেকে ১৭৫ টাকায় বিক্রি করছেন তিনি।

রফিকুল ইসলাম নামের এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বলেন, আড়তে বেশী দাম দিয়ে কাঁচা মরিচ কিনতে হচ্ছে। তাই খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে।

বাজারে মরিচ কিনতে আসা নজরুল ইসলাম নামের এক ভ্যানরিকশা চালক ক্ষুব্ধতাভাবে বলেন, একদিকে লকডাউনে কমেছে আয়-রোজগার। অন্যদিকে কাঁচা মরিচসহ বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম। এমন পরিস্থিতির কারণে ক্রয় মতার বাহিরে চলে গেছে।

আদুর লতিফ মিয়া নামের এক স্কুল শিক জানান, গাইবান্ধা জেলায় মরচিসহ প্রচুর পরিমানের শাক-সবজি উৎপাদন হয়। এসব সবজি সংরণের জন্য হিমাগার না থাকায় কৃষক-ক্রেতা উভয়ে ক্ষতির শিকার হচ্ছে।

গাইবান্ধা জেলা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান জাগো২৪.নেট-কে বলেন, চলতি খরিপ-১ মৌসুমে জেলার ৭ উপজেলায় ৬৬০ হেক্টর জমিতে কাঁচা মরিচ রয়েছে। মুলত: এ মৌসুমে মরিচ উৎপাদন কমই হয়। যার ফলে খুচরা বাজারে দাম উঠা-নামা হয়ে থাকে। তবে রবি মৌসুমে কাঁচা মরিচের দর স্বাভাবিক অবস্থায় থাকে বলে জানান তিন।