বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গিনেসবুকে আবেদন করা পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট গরু ‘রানী’ মারা গেছে

গিনেসবুকে আবেদন করা ঢাকার আশুলিয়ার পাথালিয়া ইউনিয়নের শিকড় এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড কর্তৃক পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট গরু ‘রানী’ মারা গেছে। বক্সার ভুট্টি জাতের এ খর্বাকৃতির গরুটির পেটে গ্যাস জমে মারা গেছে বলে জানিয়েছে উপজেলা পশু চিকিৎসকরা। এ কথাটি শিকড় এগ্রো ইন্ডাস্ট্রি কর্তৃপক্ষ প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে তারা স্বীকার করে নিয়েছে যে আমাদের গরুটি (রানী) মারা গেছে।

বিষয়টি সরেজমিনে গিয়ে অবলোকন করেন আমাদের ”জাগো২৪.নেট” এর প্রতিবেদক আব্দুল্লাহ আল নাঈম। গরুটির ওজন ছিল ২৬ কেজি আর উচ্চতা ২০ ইঞ্চি ও প্রস্থ ছিলো ২৭ ইঞ্চি। গরুটির বয়স হয়েছিল ২ বছর।

বৃহস্পতিবার বিকেলে সাভার প্রাণী সম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের উপসহকারী প্রানীসম্পদ কর্মকর্তা (সম্প্রসারণ) আব্দুল মোতালিব বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা (সম্প্রসারণ) আব্দুল মোতালিব বলেন, বেলা দেড়টার দিকে আশুলিয়ার শিকড় এগ্রো ফার্মের একটি গরু, যার নাম রানী। কিছু দিন আগে গিনেজ বুকে নাম লেখানোর জন্য আবেদন করেছিল ফার্ম কর্তৃপক্ষ। কিন্তু গরুটি হঠাৎ করে অসুস্থ হয়। গরুটির পেট ফোলা ছিল। এই অবস্থায় তারা চিকিৎসা দেন। তাদের ব্যক্তিগত একজন ডাক্তার রয়েছে তিনি থেকে চিকিৎসা করছিলেন। কিন্তু কোন উন্নতি না হওয়ায় গরুটি আমাদের কাছে নিয়ে আসেন। এখানে আনার পরে আমাদের ভেটেরিনারি সার্জন, এখানে আরও যারা ছিল তারা চিকিৎসা দেন। এর পরেও গরুটির কোন উন্নতি হয়নি। পরে দুইটার দিকে গরুটি মারা যায়।

ফার্মটির ব্যক্তিগত পশু চিকিৎসক আতিকুজ্জামান জুয়েল জাগো২৪.নেট-কে জানান, বুধবার ‘রানী’ অসুস্থ হয়ে পড়লে রানীর চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু অবস্থার কোন উন্নতি না হওয়ায় সাভারের প্রাণীসম্পদ দফতর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা চলাকালীন সময় দুপুর দুইটার দিকে গরুটি মারা যায়।

তবে শিকড় এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মোহাম্মদ আবু সুফিয়ানের সাথে যোগাযোগ করা হলে গরুটি মারা যায়নি বলে দাবি করেন। এব্যাপারে তিনি কথা বলতেও রাজি ছিলেন না।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রায় ১ বছর আগে নওগাঁ জেলা থেকে গরুটি সংগ্রহ করেছিলেন ফার্ম কর্তৃপক্ষ। পরে গিনেজ বুকে নাম লেখানোর জন্য গত ২ জুলাই গিনেসবুক অফ ওয়ার্ল্ড কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন তারা। এর পরই গণমাধ্যম ব্যাপকভাবে প্রচার করলে বিশ্ব দরবারে রানী পরিচয় লাভ করে।

উল্লেখ্য, শিকড় এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ ফার্মের বক্সার ভুট্টি জাতের এ খর্বাকৃতির গরুটির ওজন ২৬ কেজি আর উচ্চতা ২০ ইঞ্চি, দুটি দাঁতও আছে। গরুটির বয়স হয়েছিল ২ বছর। গিনেজ বুকে এর আগের রেকর্ড অনুযায়ী বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ গরুটি ছিল ভারতের কেরালা রাজ্যের। ৪ বছর বয়সী ওই গরুটি উচ্চতায় ২৪ ইঞ্চি, আর ওজন ২৬ কেজি। এদিক থেকে রানীই ছিল বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গরু। আগামী দেড় মাসের মধ্যে গরুটির নাম গিনেসবুকে ওঠার কথা ছিল।

জনপ্রিয়

গিনেসবুকে আবেদন করা পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট গরু ‘রানী’ মারা গেছে

প্রকাশের সময়: ০২:৫৬:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ অগাস্ট ২০২১

গিনেসবুকে আবেদন করা ঢাকার আশুলিয়ার পাথালিয়া ইউনিয়নের শিকড় এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড কর্তৃক পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট গরু ‘রানী’ মারা গেছে। বক্সার ভুট্টি জাতের এ খর্বাকৃতির গরুটির পেটে গ্যাস জমে মারা গেছে বলে জানিয়েছে উপজেলা পশু চিকিৎসকরা। এ কথাটি শিকড় এগ্রো ইন্ডাস্ট্রি কর্তৃপক্ষ প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে তারা স্বীকার করে নিয়েছে যে আমাদের গরুটি (রানী) মারা গেছে।

বিষয়টি সরেজমিনে গিয়ে অবলোকন করেন আমাদের ”জাগো২৪.নেট” এর প্রতিবেদক আব্দুল্লাহ আল নাঈম। গরুটির ওজন ছিল ২৬ কেজি আর উচ্চতা ২০ ইঞ্চি ও প্রস্থ ছিলো ২৭ ইঞ্চি। গরুটির বয়স হয়েছিল ২ বছর।

বৃহস্পতিবার বিকেলে সাভার প্রাণী সম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের উপসহকারী প্রানীসম্পদ কর্মকর্তা (সম্প্রসারণ) আব্দুল মোতালিব বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা (সম্প্রসারণ) আব্দুল মোতালিব বলেন, বেলা দেড়টার দিকে আশুলিয়ার শিকড় এগ্রো ফার্মের একটি গরু, যার নাম রানী। কিছু দিন আগে গিনেজ বুকে নাম লেখানোর জন্য আবেদন করেছিল ফার্ম কর্তৃপক্ষ। কিন্তু গরুটি হঠাৎ করে অসুস্থ হয়। গরুটির পেট ফোলা ছিল। এই অবস্থায় তারা চিকিৎসা দেন। তাদের ব্যক্তিগত একজন ডাক্তার রয়েছে তিনি থেকে চিকিৎসা করছিলেন। কিন্তু কোন উন্নতি না হওয়ায় গরুটি আমাদের কাছে নিয়ে আসেন। এখানে আনার পরে আমাদের ভেটেরিনারি সার্জন, এখানে আরও যারা ছিল তারা চিকিৎসা দেন। এর পরেও গরুটির কোন উন্নতি হয়নি। পরে দুইটার দিকে গরুটি মারা যায়।

ফার্মটির ব্যক্তিগত পশু চিকিৎসক আতিকুজ্জামান জুয়েল জাগো২৪.নেট-কে জানান, বুধবার ‘রানী’ অসুস্থ হয়ে পড়লে রানীর চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু অবস্থার কোন উন্নতি না হওয়ায় সাভারের প্রাণীসম্পদ দফতর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা চলাকালীন সময় দুপুর দুইটার দিকে গরুটি মারা যায়।

তবে শিকড় এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মোহাম্মদ আবু সুফিয়ানের সাথে যোগাযোগ করা হলে গরুটি মারা যায়নি বলে দাবি করেন। এব্যাপারে তিনি কথা বলতেও রাজি ছিলেন না।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রায় ১ বছর আগে নওগাঁ জেলা থেকে গরুটি সংগ্রহ করেছিলেন ফার্ম কর্তৃপক্ষ। পরে গিনেজ বুকে নাম লেখানোর জন্য গত ২ জুলাই গিনেসবুক অফ ওয়ার্ল্ড কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন তারা। এর পরই গণমাধ্যম ব্যাপকভাবে প্রচার করলে বিশ্ব দরবারে রানী পরিচয় লাভ করে।

উল্লেখ্য, শিকড় এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ ফার্মের বক্সার ভুট্টি জাতের এ খর্বাকৃতির গরুটির ওজন ২৬ কেজি আর উচ্চতা ২০ ইঞ্চি, দুটি দাঁতও আছে। গরুটির বয়স হয়েছিল ২ বছর। গিনেজ বুকে এর আগের রেকর্ড অনুযায়ী বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ গরুটি ছিল ভারতের কেরালা রাজ্যের। ৪ বছর বয়সী ওই গরুটি উচ্চতায় ২৪ ইঞ্চি, আর ওজন ২৬ কেজি। এদিক থেকে রানীই ছিল বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গরু। আগামী দেড় মাসের মধ্যে গরুটির নাম গিনেসবুকে ওঠার কথা ছিল।