তোফায়েল হোসেন জাকিরঃ নিভৃত পল্লী গ্রামের বাসিন্দা আবু তালেব মিয়া। এক সময়ে নুন আন্তে পান্তা ফুরায় অবস্থা ছিল তার। এই দরিদ্রের কষাঘাত থেকে রেহাই পেতে শুরু করে হাঁসের খামার। অল্প কয়েক মাসের মধ্যেই এই খামারই ঘুরিয়েছে তার ভাগ্যের চাকা। এখন আর নুন-পান্তা নয়, আবু তালেব তার পরিবার নিয়ে খাচ্ছে মাছ-মাংস-ডিম। ফলে তার মুখে ফুটেছে হাসির ঝিলিক।
সরেজমিনে শুক্রবার (২৭ আগস্ট) সকালে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার বৈরিহরিণমাড়ী গ্রামে দেখা যায় আবু তালেব মিয়ার স্বপ্নের খামার। এসময় তার বাড়ির পাশে উন্মুক্ত জলাশ্বয়ে দলবেঁধে ভাসছিল হাঁসগুলো।
জানা যায়, বৈরিহরিণমাড়ী গ্রামের দরিদ্র পরিবারের সন্তান আবু তালেব মিয়া। দাম্পত্য জীবনে স্ত্রী-সন্তান রয়েছে তার। এই সংসার চালাতে অনেক হিমসিম খেতে হচ্ছিল। এমনি একপর্যায়ে স্থানীয় কয়েকটি হাঁসের খামার অনুসরণ করেন তিনি। প্রায় ৬ মাস আগে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থেকে ক্যাম্বেল জাতের ৫০০ পিস হাঁসের বাচ্ছা কিনে বাড়িতে শুরু করে খামার। এসব হাঁসের মধ্যে বর্তমানে প্রতিদিন ২০০ টি করে করে ডিম দিচ্ছে। এরপর থেকে আর কখনো পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। উৎপাদিত ডিম ও হাঁস বিক্রির লাভের টাকা দিয়েই সুখে চলছে তার সংসার।
উদ্যোক্তা আবু তালেব মিয়া জাগো২৪.নেট-কে জানান, প্রশিক্ষণ ছাড়াই হাঁসের খামার গড়ে তুলেছেন তিনি। কঠোর পরিশ্রম আর দৃঢ মনোবল নিয়ে খামারটি পরিচালনা করে চলেছেন। বর্তমানে হাঁসের খাবার, ওষুধ ও অন্যান্য খরচ বাদে মাসে প্রায় ২০ হাজার টাকা লাভ থাকছে তার। তবে কিছুদিন আগে টানা লকডাউনের কবল ক্ষতির শিকার হয়েছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, এক সময়ে স্ত্রী-সন্তানের মুখে তেমন অন্ন যোগাতে পারিনি। এখন হাঁসের খামার করে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরে এসেছে। পরিবার নিয়ে প্রতিদিন খাওয়া মাছ-মাংস-ডিম।
পলাশবাড়ী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের উপ-সহকারী কর্মকর্তা আতাউর রহমান জাগো২৪.নেট-কে জানান, যে কোন কাজ পরিকল্পিভাবে করলে অবশ্যই সফল হওয়া সম্ভব। উদ্যোক্তা আবু তালেব মিয়ার খামারে পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। তাকে আরও লাভবান করতে সর্বাত্নক চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
তোফায়েল হোসেন জাকির, জাগো২৪.নেট 


















