শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চিরিরবন্দরে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ

দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে বৃষ্টির পানি প্রবাহের রাস্তায় পুকুর খনন করে চারদিক মাটি দিয়ে ভরাট ও স্কুলগামী শিশুদের চলাচলের রাস্তা করানোয় পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রায় ৫ একর জমি অনাবাদি হয়ে পড়েছে। হুমকির মুখে পড়েছে আমন আবাদ। সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। তৈরি হয়েছে শ্যাওলা আর কুচুরিপানা। এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিকরা গত ১৮ আগস্ট বুধবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন।

জানা গেছে, চিরিরবন্দর উপজেলার আব্দুলপুর ইউনিয়নের গয়শাহ্পাড়ার বাসিন্দা মৃত আলহাজ্ব আব্দুল মালেক শাহ্র ছেলে আব্দুল ওয়াদুদ শাহ্ বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের পথে পকুর খনন করে মাটি ভরাট করায় পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে ওই এলাকার গয়শাহ্পাড়া ও চৌধরীপাড়া এলাকার ৫একর জমিসহ কয়েকটি পুকুর পানির নিচে তলিয়ে যায়। ওই এলাকার কয়েকজন কৃষক জানান, আমন চারা রোপণ প্রায় শেষের দিকে। পুকুর খননের কারণে পানি নিষ্কাসিত না হওয়ায় আমাদের আবাদি জমিগুলোতে কচুরিপানা জমে আছে। এভাবে বৃষ্টির পানি আর কিছুদিন জমে থাকলে আমন রোপণ করা আর মনে হয় সম্ভব হবে না। এ ব্যাপারে কয়েকদফা স্থানীয় ভাবে বসে সমাধান না হওয়ায় উপজেলা নির্বাহী অফিসে অভিযোগ দেয়া হয়েছে।

জমির মালিক আব্দুল ওয়াদুদ শাহ্ জানান, এলাকার বাড়ির হাঁস মুরগী ও পাশ্ববর্তী স্কুলের শিক্ষার্থীদের কারণে ওই জমি থেকে তেমন আবাদ পাওয়া যায় না। এছাড়া শিক্ষার্থীদের চলাচলের সুবিধার জন্য রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। পানি প্রবাহের জন্য পাড় কেটে দিলেও সমাধান মিটবে না। সামনে অনেকগুলো বাড়িঘর নির্মাণ হওয়ায় পানি প্রবাহের রাস্তা নাই। স্থানীয় কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তি বলেন, ওই জলাবদ্ধ জমির পানি নিষ্কাশন করতে হলে ইউনিয়ন পরিষদ যাওয়ার পাঁকা রাস্তার উপর সুবিধামত কালভার্ট নির্মাণ করা হলে চিরতরে সমাধান করা সম্ভব।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আয়েশা সিদ্দীকা জাগো২৪.নেট-কে জানান, কৃষিকাজে কৃষকের একখন্ড জমিও যাতে অনাবাদি না থাকে সে বিষয়টি নজর রেখেইে বিষয়টি দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা নেয়া হবে।

চিরিরবন্দরে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ

প্রকাশের সময়: ০৭:৩১:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ অগাস্ট ২০২১

দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে বৃষ্টির পানি প্রবাহের রাস্তায় পুকুর খনন করে চারদিক মাটি দিয়ে ভরাট ও স্কুলগামী শিশুদের চলাচলের রাস্তা করানোয় পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রায় ৫ একর জমি অনাবাদি হয়ে পড়েছে। হুমকির মুখে পড়েছে আমন আবাদ। সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। তৈরি হয়েছে শ্যাওলা আর কুচুরিপানা। এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিকরা গত ১৮ আগস্ট বুধবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন।

জানা গেছে, চিরিরবন্দর উপজেলার আব্দুলপুর ইউনিয়নের গয়শাহ্পাড়ার বাসিন্দা মৃত আলহাজ্ব আব্দুল মালেক শাহ্র ছেলে আব্দুল ওয়াদুদ শাহ্ বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের পথে পকুর খনন করে মাটি ভরাট করায় পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে ওই এলাকার গয়শাহ্পাড়া ও চৌধরীপাড়া এলাকার ৫একর জমিসহ কয়েকটি পুকুর পানির নিচে তলিয়ে যায়। ওই এলাকার কয়েকজন কৃষক জানান, আমন চারা রোপণ প্রায় শেষের দিকে। পুকুর খননের কারণে পানি নিষ্কাসিত না হওয়ায় আমাদের আবাদি জমিগুলোতে কচুরিপানা জমে আছে। এভাবে বৃষ্টির পানি আর কিছুদিন জমে থাকলে আমন রোপণ করা আর মনে হয় সম্ভব হবে না। এ ব্যাপারে কয়েকদফা স্থানীয় ভাবে বসে সমাধান না হওয়ায় উপজেলা নির্বাহী অফিসে অভিযোগ দেয়া হয়েছে।

জমির মালিক আব্দুল ওয়াদুদ শাহ্ জানান, এলাকার বাড়ির হাঁস মুরগী ও পাশ্ববর্তী স্কুলের শিক্ষার্থীদের কারণে ওই জমি থেকে তেমন আবাদ পাওয়া যায় না। এছাড়া শিক্ষার্থীদের চলাচলের সুবিধার জন্য রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। পানি প্রবাহের জন্য পাড় কেটে দিলেও সমাধান মিটবে না। সামনে অনেকগুলো বাড়িঘর নির্মাণ হওয়ায় পানি প্রবাহের রাস্তা নাই। স্থানীয় কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তি বলেন, ওই জলাবদ্ধ জমির পানি নিষ্কাশন করতে হলে ইউনিয়ন পরিষদ যাওয়ার পাঁকা রাস্তার উপর সুবিধামত কালভার্ট নির্মাণ করা হলে চিরতরে সমাধান করা সম্ভব।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আয়েশা সিদ্দীকা জাগো২৪.নেট-কে জানান, কৃষিকাজে কৃষকের একখন্ড জমিও যাতে অনাবাদি না থাকে সে বিষয়টি নজর রেখেইে বিষয়টি দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা নেয়া হবে।