শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পেঁয়াজ চাষে দিনবদলের স্বপ্ন

নিভৃত পল্লী অঞ্চলের বাসিন্দা আইয়ুব আলী। কৃষি কাজই তার নেশা ও পেশা। নানান ফসলের পাশাপাশি এবারে চাষ করেছেন পেঁয়াজ। দেখাও দিয়েছে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা। এ ফসল ঘরে তুলে দিনবদলের স্বপ্ন দেখছেন তিনি।

সরেজমিনে শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার সাবেক জামালপুরের মাঠে দেখা গেছে আইয়ুব আলীর পেঁয়াজের ক্ষেত। সেখানে দিগন্ত জুড়ে নজর কারছে গাঢ় সবুজের বিপ্লব। এসময় পরিচর্যা কাজে ব্যস্ত ছিলেন
তিনি।

জানা যায়, সাবেক জামালপুর গ্রামের মৃত মেছের উদ্দিন ফারাজীর ছেলে আইয়ুব আলী (৫০) । কৃষি পরিবারই জন্ম তার। লেখা পড়ায় এগুতে না পেরে যুবক বয়স থেকে কৃষি কাজে ঝুঁকে পড়ে তিনি। দীর্ঘ দিন ধরে ধান-ভূট্রা ও শাক-সবজিসহ নানা ধরণের ফসল উৎপাদন করে চলেছে। তবে চলতি রবি মৌসুমে নতুন করে আবাদ করেছেন পেঁয়াজের। প্রায় আড়াই বিঘা জমিতে উন্নত জাতের পেঁয়াজ রোপন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে দেখা দিয়েছে বাম্পার ফলনের সম্ভানা। বর্তমান  অধিক দাম রয়েছে বাজারে। আর কিছু দিন পরই ক্ষেত থেকে পরিপক্ক পেঁয়াজ উঠানো হবে। তাই এ ফসল ঘরে তুলে লক্ষাধিক টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখছেন তিনি।

কৃষক আইয়ুব আলী জাগো২৪,নেট-কে জানান, আড়াই বিঘা জমিতে লালতীর জাতের পেঁয়াজ আবাদ করেছেন। এতে বীজ-সার-কীটনাসক ও শ্রমিক বাবদ প্রায় ৭০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বর্তমান বাজার দাম অনুযায়ী প্রায় দুই লাখ টাকা বিক্রি করবেন।

তিনি আরও বলেন, তিন মাসের মধ্যে এই ফসল ঘরে তোলা যায়। পরিকল্পিতভাবে পেঁয়াজ আবাদ করলে অনায়াসে এটি অত্যান্ত লাভজনক ফসল।

সাদুল্লাপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মতিউল আলম জাগো২৪,নেট-কে  জানান, চলতি রবি মৌসুমে উপজেলায় ২৩৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত অর্জন হয়েছে ১২০ হেক্টর। কয়েক দিনের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা ছেড়ে যেতে পারে।

তিনি আরও বলেন, কৃষক আইয়ুব আলীসহ অন্যান্য কৃষকদের লাভবান করতে মাঠপর্যায়ে সার্বিক পরামর্শ প্রদান কর হচ্ছে।

পেঁয়াজ চাষে দিনবদলের স্বপ্ন

প্রকাশের সময়: ০৭:৪১:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২১

নিভৃত পল্লী অঞ্চলের বাসিন্দা আইয়ুব আলী। কৃষি কাজই তার নেশা ও পেশা। নানান ফসলের পাশাপাশি এবারে চাষ করেছেন পেঁয়াজ। দেখাও দিয়েছে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা। এ ফসল ঘরে তুলে দিনবদলের স্বপ্ন দেখছেন তিনি।

সরেজমিনে শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার সাবেক জামালপুরের মাঠে দেখা গেছে আইয়ুব আলীর পেঁয়াজের ক্ষেত। সেখানে দিগন্ত জুড়ে নজর কারছে গাঢ় সবুজের বিপ্লব। এসময় পরিচর্যা কাজে ব্যস্ত ছিলেন
তিনি।

জানা যায়, সাবেক জামালপুর গ্রামের মৃত মেছের উদ্দিন ফারাজীর ছেলে আইয়ুব আলী (৫০) । কৃষি পরিবারই জন্ম তার। লেখা পড়ায় এগুতে না পেরে যুবক বয়স থেকে কৃষি কাজে ঝুঁকে পড়ে তিনি। দীর্ঘ দিন ধরে ধান-ভূট্রা ও শাক-সবজিসহ নানা ধরণের ফসল উৎপাদন করে চলেছে। তবে চলতি রবি মৌসুমে নতুন করে আবাদ করেছেন পেঁয়াজের। প্রায় আড়াই বিঘা জমিতে উন্নত জাতের পেঁয়াজ রোপন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে দেখা দিয়েছে বাম্পার ফলনের সম্ভানা। বর্তমান  অধিক দাম রয়েছে বাজারে। আর কিছু দিন পরই ক্ষেত থেকে পরিপক্ক পেঁয়াজ উঠানো হবে। তাই এ ফসল ঘরে তুলে লক্ষাধিক টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখছেন তিনি।

কৃষক আইয়ুব আলী জাগো২৪,নেট-কে জানান, আড়াই বিঘা জমিতে লালতীর জাতের পেঁয়াজ আবাদ করেছেন। এতে বীজ-সার-কীটনাসক ও শ্রমিক বাবদ প্রায় ৭০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বর্তমান বাজার দাম অনুযায়ী প্রায় দুই লাখ টাকা বিক্রি করবেন।

তিনি আরও বলেন, তিন মাসের মধ্যে এই ফসল ঘরে তোলা যায়। পরিকল্পিতভাবে পেঁয়াজ আবাদ করলে অনায়াসে এটি অত্যান্ত লাভজনক ফসল।

সাদুল্লাপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মতিউল আলম জাগো২৪,নেট-কে  জানান, চলতি রবি মৌসুমে উপজেলায় ২৩৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত অর্জন হয়েছে ১২০ হেক্টর। কয়েক দিনের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা ছেড়ে যেতে পারে।

তিনি আরও বলেন, কৃষক আইয়ুব আলীসহ অন্যান্য কৃষকদের লাভবান করতে মাঠপর্যায়ে সার্বিক পরামর্শ প্রদান কর হচ্ছে।