শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মোর বেটির একনা চিয়ার নিয়্যা দেও বাহে

হামার বেটিটা পুতিবন্দী। হাটপার পায় না। সারাদিন মাটিত ঘোঁষ পারি বেড়ায়। মুই এ্যানা মানসের বাড়িত কাম করি খাম। বউ-ছৈল নিয়্যা কষ্টে আছোম। বেটিটার হুইল চিয়ার কিনাব্যার পাতিছোম না। তোমরাগুলা একনা চিয়ার নিয়্যা দেও বাহে।

বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) দুপুরে এমনিভাবে কথাগুলো বলছিলেন অতিদরিদ্র পরিবারের দিনমজুর জাহিদুল ইসলাম। তার মেয়ে জাফরিন আক্তার (১৬) জন্মগতভাবে প্রতিবন্ধী। এই মেয়ের জন্যে একটি হুইলচেয়ারের আকুতি জানান তিনি।

জানা যায়, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের কুমেদপুর (উত্তরপাড়া) গ্রামের দিনমজুর জাহিদুল ইসলামের মেয়ে জাফরিন আক্তার জন্মগতভাবে প্রতিবন্ধী। মেয়েটির হাত-পা বাঁকা। স্বাভাবিকভাবে হাঁটা-চলা করতে পারে না। দিন-রাত মাটি ঘেঁষে চলাফেরা করতে হয়। একটি হুইল চেয়ারের অভাবে ১৬ বছর ধরে মানবেতর জীবন যাপন করছে মেয়েটি। কিন্তু চেয়ার কেনার সামর্থ নেই পরিবারটির।

এ নিয়ে জাহিদুল ইসলাম বলেন, স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে দুর্বীষহ জীবনযাপন করছি। একদিন অন্যের বাড়িতে শ্রম  না দিলে পেটে ভাত জোটে না। যেন নুন আন্তে পান্তা ফুরায় অবস্থায়। আমার প্রতিবন্ধী মেয়েটির একটি হুইল চেয়ারের জন্য বিভিন্ন মানুষের কাছে দারস্থ হয়েছি কিন্তু কেউই কথা রাখেনি।

মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব প্রধান রিপন জানান, ওই প্রতিবন্ধী মেয়ের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে তাকে একটি হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা করে দেবেন।

জনপ্রিয়

মোর বেটির একনা চিয়ার নিয়্যা দেও বাহে

প্রকাশের সময়: ০৩:১০:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই ২০২২

হামার বেটিটা পুতিবন্দী। হাটপার পায় না। সারাদিন মাটিত ঘোঁষ পারি বেড়ায়। মুই এ্যানা মানসের বাড়িত কাম করি খাম। বউ-ছৈল নিয়্যা কষ্টে আছোম। বেটিটার হুইল চিয়ার কিনাব্যার পাতিছোম না। তোমরাগুলা একনা চিয়ার নিয়্যা দেও বাহে।

বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) দুপুরে এমনিভাবে কথাগুলো বলছিলেন অতিদরিদ্র পরিবারের দিনমজুর জাহিদুল ইসলাম। তার মেয়ে জাফরিন আক্তার (১৬) জন্মগতভাবে প্রতিবন্ধী। এই মেয়ের জন্যে একটি হুইলচেয়ারের আকুতি জানান তিনি।

জানা যায়, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের কুমেদপুর (উত্তরপাড়া) গ্রামের দিনমজুর জাহিদুল ইসলামের মেয়ে জাফরিন আক্তার জন্মগতভাবে প্রতিবন্ধী। মেয়েটির হাত-পা বাঁকা। স্বাভাবিকভাবে হাঁটা-চলা করতে পারে না। দিন-রাত মাটি ঘেঁষে চলাফেরা করতে হয়। একটি হুইল চেয়ারের অভাবে ১৬ বছর ধরে মানবেতর জীবন যাপন করছে মেয়েটি। কিন্তু চেয়ার কেনার সামর্থ নেই পরিবারটির।

এ নিয়ে জাহিদুল ইসলাম বলেন, স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে দুর্বীষহ জীবনযাপন করছি। একদিন অন্যের বাড়িতে শ্রম  না দিলে পেটে ভাত জোটে না। যেন নুন আন্তে পান্তা ফুরায় অবস্থায়। আমার প্রতিবন্ধী মেয়েটির একটি হুইল চেয়ারের জন্য বিভিন্ন মানুষের কাছে দারস্থ হয়েছি কিন্তু কেউই কথা রাখেনি।

মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব প্রধান রিপন জানান, ওই প্রতিবন্ধী মেয়ের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে তাকে একটি হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা করে দেবেন।