সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাছের পেঁপে যেন শেষ হচ্ছে না আমিরজলের

মাঠজুড়ে সবুজের সমাহার। দাঁড়িয়ে আছে সারি সারি গাছ। ঝুলছে থোকা খোকা পেঁপে। দুই মাস ধরে বিক্রিও হচ্ছে। তবুও গাছের পেঁপে যেন শেষেই হচ্ছে না কৃষক আমিরজল মিয়ার।

সোমবার (১২ সেপ্টম্বর) এমন এক দৃশ্য দেখা গেছে, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার ছোটশিমুলতলা গ্রামে। এ গ্রামের মৃত আলিম উদ্দিনের ছেলে আমিরজল মিয়া ৫ বিঘা জমিতে উন্নত জাতের পেঁপে চাষ করেছেন। পেয়েছেন সফলতা।

জানা য়ায়, আমিরজল মিয়া একটি ব্যবসা করতেন। এতে মন্দাভাবে ক্ষতির শিকার হন। এরপর কৃষি ফসল উৎপাদন করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। তবে এ কাজে তেমন ধারণা ছিল না তার। বাধ্য হয়ে ইউটিউব দেখে পেঁপে চাষের ধারণা নেওয়া হয়। এ ধারণা থেকে প্রথমে দুই বিঘা জমিতে পেঁপে চাষে জাত নির্ণয় করতে না পেরে  লোকশান হয়। তবুও পিছপা হননি। চলতি মৌসুমে আবারও ৫ বিঘা বিঘা জমিতে পেঁপে আবাদ করা হয়। এতে বাম্পার ফলন হয়েছে। দামও ভালো পাচ্ছেন। ফলে লাভবান হচ্ছেন তিনি।

পেঁপে চাষ পদ্ধতি বিষয়ে কৃষক অমিরজল মিয়া  জাগো২৪.নেট-কে জানান, উঁচু ভূমিতে  মাঘ-ফাগুন মাসে চারা রোপন করলে ফলন ভালো পাওয়া যায়। চারা রোপনের পর সার ও প্রয়োজনমতো পানি দিতে হয়। খড়া হলে ১০ থেকে ১৫ দিন পর পর হালকা সেচ দেওয়া প্রয়োজন। এরপর ইউরিয়া সার ও এমওপি  প্রতি একমাস পর পর দিতে হবে। চারা লাগানোর ৩ থেকে ৪ মাসের মাথায় ফুল আসে। ফুল আসার ৩ থেকে ৪ মাস পর জমি থেকে কাঁচা-পাকা পেঁপে বিক্রি করা যায়।

তিনি আরও বলেন আমি দুই মাস থেকে পেঁপে বিক্রি শুরু করে দিয়েছি। বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা  বিঘা প্রতি পেঁপে বিক্রি করে পাওয়া যায় দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা। আমার সব খরচ বাদ দিয়ে বিঘা প্রতি দেড় লাখের অধিক টাকা লাভ থাকবে। বতর্মানে ৬ লাখ টাকা ঘরে তুলেছি। আরো গাছে অনেক পেঁপে আছে। সেগুলোও আরো ৪ থেকে ৫ লাখ টাকায় বিক্রি করতে পারব।

পলাশবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা  ফাতেমা কাওসার মিশু জাগো২৪.নেট-কে বলেন, পেঁপে চাষ অত্যান্ত লাভজনক। যে কেউ চাষ করে অনায়াসে লাভবান হতে পারবে। সেই সঙ্গে কৃষক আমিরজল মিয়াকে স্বাবলম্বী করতে সর্বাত্নকভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে।

 

জনপ্রিয়

গাছের পেঁপে যেন শেষ হচ্ছে না আমিরজলের

প্রকাশের সময়: ১২:০৯:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

মাঠজুড়ে সবুজের সমাহার। দাঁড়িয়ে আছে সারি সারি গাছ। ঝুলছে থোকা খোকা পেঁপে। দুই মাস ধরে বিক্রিও হচ্ছে। তবুও গাছের পেঁপে যেন শেষেই হচ্ছে না কৃষক আমিরজল মিয়ার।

সোমবার (১২ সেপ্টম্বর) এমন এক দৃশ্য দেখা গেছে, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার ছোটশিমুলতলা গ্রামে। এ গ্রামের মৃত আলিম উদ্দিনের ছেলে আমিরজল মিয়া ৫ বিঘা জমিতে উন্নত জাতের পেঁপে চাষ করেছেন। পেয়েছেন সফলতা।

জানা য়ায়, আমিরজল মিয়া একটি ব্যবসা করতেন। এতে মন্দাভাবে ক্ষতির শিকার হন। এরপর কৃষি ফসল উৎপাদন করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। তবে এ কাজে তেমন ধারণা ছিল না তার। বাধ্য হয়ে ইউটিউব দেখে পেঁপে চাষের ধারণা নেওয়া হয়। এ ধারণা থেকে প্রথমে দুই বিঘা জমিতে পেঁপে চাষে জাত নির্ণয় করতে না পেরে  লোকশান হয়। তবুও পিছপা হননি। চলতি মৌসুমে আবারও ৫ বিঘা বিঘা জমিতে পেঁপে আবাদ করা হয়। এতে বাম্পার ফলন হয়েছে। দামও ভালো পাচ্ছেন। ফলে লাভবান হচ্ছেন তিনি।

পেঁপে চাষ পদ্ধতি বিষয়ে কৃষক অমিরজল মিয়া  জাগো২৪.নেট-কে জানান, উঁচু ভূমিতে  মাঘ-ফাগুন মাসে চারা রোপন করলে ফলন ভালো পাওয়া যায়। চারা রোপনের পর সার ও প্রয়োজনমতো পানি দিতে হয়। খড়া হলে ১০ থেকে ১৫ দিন পর পর হালকা সেচ দেওয়া প্রয়োজন। এরপর ইউরিয়া সার ও এমওপি  প্রতি একমাস পর পর দিতে হবে। চারা লাগানোর ৩ থেকে ৪ মাসের মাথায় ফুল আসে। ফুল আসার ৩ থেকে ৪ মাস পর জমি থেকে কাঁচা-পাকা পেঁপে বিক্রি করা যায়।

তিনি আরও বলেন আমি দুই মাস থেকে পেঁপে বিক্রি শুরু করে দিয়েছি। বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা  বিঘা প্রতি পেঁপে বিক্রি করে পাওয়া যায় দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা। আমার সব খরচ বাদ দিয়ে বিঘা প্রতি দেড় লাখের অধিক টাকা লাভ থাকবে। বতর্মানে ৬ লাখ টাকা ঘরে তুলেছি। আরো গাছে অনেক পেঁপে আছে। সেগুলোও আরো ৪ থেকে ৫ লাখ টাকায় বিক্রি করতে পারব।

পলাশবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা  ফাতেমা কাওসার মিশু জাগো২৪.নেট-কে বলেন, পেঁপে চাষ অত্যান্ত লাভজনক। যে কেউ চাষ করে অনায়াসে লাভবান হতে পারবে। সেই সঙ্গে কৃষক আমিরজল মিয়াকে স্বাবলম্বী করতে সর্বাত্নকভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে।