মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাবনায় বিএনপি নেতাদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা

কেন্দ্রীয় ঘোষিত বিদ্যুৎ অফিসের সামনে বিএনপির অবস্থান ও বিক্ষোভ মিছিল শেষে ফেরার পথে পাবনা জেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় অবশেষে মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনার ২৪ দিন পর পাবনার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি-১ আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়।
এতে ৪ জনের নাম উল্লেখ্য করে অজ্ঞাত ২৫-৩০জনকে আসামি করা হয়েছে। প্রধান আসামি করা হয়েছে জেলা পরিষদের সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নজরুল ইসলাম সোহেলকে।
এছাড়াও আসামি করা হয়েছে যথাক্রমে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রফিকুল ইসলাম রুমন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মীর রাব্বিউল ইসলাম সীমান্ত এবং পাবনা পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সিফাত।
মামলার বাদী পাবনা জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তসলিম হাসান খান সুইট জানান, ঘটনার পরপরই আমরা থানায় অভিযোগ দিয়েছিলাম কিন্তু থানা আমাদের ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে পরে আর এজাহার নেয়নি। পরে বিকল্পপথ হিসেবে আমরা আদালতে মামলার আবেদন করেছিলাম। রবিবার আদালত সেটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করেছে।
এবিষয়ে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, আদালতে মামলা হয়েছি কিনা এখনও জানি না। আমাদের কাছে এখনও মামলার কপি আসেনি। আসলে পরে জানানো হবে। এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে কিছু জানি না।
এ ব্যাপারে প্রধান অভিযুক্ত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নজরুল ইসলাম সোহেলের মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে মামলাটিকে ভিত্তিহীন হিসেবে অ্যাখ্যায়িত করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল রহিম লাল।
তিনি বলেন, প্রথমত মামলাটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমি মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি করছি। একটা ছোট দুর্ঘটনা ঘটে গেছে। এটা নিয়ে বিএনপির নেতাদের এতোটা বাড়াবাড়ি করা ঠিক হয়নি। সারা দেশের তুলনায় পাবনা অনেক শান্তিপ্রিয়।
তারা (বিএনপি) এ পর্যন্ত কোনও বাধা-বিপত্তি ছাড়াই পাবনায় মিছিল-মিটিং করেছে। কোনদিন তাদের ওপর আমরা হামলা-বাধা কিছুই করেনি। সেদিন ছোট একটা ভুলবোঝাবুঝি হয়ে গেছে। আমি বা প্রিন্স (জেলা আওয়ালী লীগের সাধারণ সম্পাদক) থাকলে এইসব কিছু ঘটতো না।
উল্লেখ্য, গত ৮ জুন কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে পাবনা শহরের গোপালপুরস্থ কার্যালয় থেকে জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের পাওয়ার হাউজ পাড়াস্থ বিদ্যুৎ অফিসে অবস্থান নিতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়।
পরে বড় ব্রিজের পাশে ঘোড়া স্ট্যান্ডে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে ফেরার পথে পাবনা জেলা পরিষদের সদস্য নজরুল ইসলাম সোহেলের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীদের হামলার মুখে পড়ে।
এসময় জেলা বিএনপির আহবায়ক ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক ইয়ামিন খানসহ বেশ কিছু নেতাকর্মীরা আহত হন।
বিএনপির নেতাকর্মীরা পাশের লতিফ টাওয়ার মার্কেটে আত্মরক্ষা করলে সেখানেও ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এসময় শহরজুড়ে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়। দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়।
জনপ্রিয়

পাবনায় বিএনপি নেতাদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা

প্রকাশের সময়: ১০:০৯:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ জুলাই ২০২৩
কেন্দ্রীয় ঘোষিত বিদ্যুৎ অফিসের সামনে বিএনপির অবস্থান ও বিক্ষোভ মিছিল শেষে ফেরার পথে পাবনা জেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় অবশেষে মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনার ২৪ দিন পর পাবনার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি-১ আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়।
এতে ৪ জনের নাম উল্লেখ্য করে অজ্ঞাত ২৫-৩০জনকে আসামি করা হয়েছে। প্রধান আসামি করা হয়েছে জেলা পরিষদের সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নজরুল ইসলাম সোহেলকে।
এছাড়াও আসামি করা হয়েছে যথাক্রমে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রফিকুল ইসলাম রুমন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মীর রাব্বিউল ইসলাম সীমান্ত এবং পাবনা পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সিফাত।
মামলার বাদী পাবনা জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তসলিম হাসান খান সুইট জানান, ঘটনার পরপরই আমরা থানায় অভিযোগ দিয়েছিলাম কিন্তু থানা আমাদের ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে পরে আর এজাহার নেয়নি। পরে বিকল্পপথ হিসেবে আমরা আদালতে মামলার আবেদন করেছিলাম। রবিবার আদালত সেটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করেছে।
এবিষয়ে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, আদালতে মামলা হয়েছি কিনা এখনও জানি না। আমাদের কাছে এখনও মামলার কপি আসেনি। আসলে পরে জানানো হবে। এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে কিছু জানি না।
এ ব্যাপারে প্রধান অভিযুক্ত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নজরুল ইসলাম সোহেলের মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে মামলাটিকে ভিত্তিহীন হিসেবে অ্যাখ্যায়িত করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল রহিম লাল।
তিনি বলেন, প্রথমত মামলাটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমি মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি করছি। একটা ছোট দুর্ঘটনা ঘটে গেছে। এটা নিয়ে বিএনপির নেতাদের এতোটা বাড়াবাড়ি করা ঠিক হয়নি। সারা দেশের তুলনায় পাবনা অনেক শান্তিপ্রিয়।
তারা (বিএনপি) এ পর্যন্ত কোনও বাধা-বিপত্তি ছাড়াই পাবনায় মিছিল-মিটিং করেছে। কোনদিন তাদের ওপর আমরা হামলা-বাধা কিছুই করেনি। সেদিন ছোট একটা ভুলবোঝাবুঝি হয়ে গেছে। আমি বা প্রিন্স (জেলা আওয়ালী লীগের সাধারণ সম্পাদক) থাকলে এইসব কিছু ঘটতো না।
উল্লেখ্য, গত ৮ জুন কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে পাবনা শহরের গোপালপুরস্থ কার্যালয় থেকে জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের পাওয়ার হাউজ পাড়াস্থ বিদ্যুৎ অফিসে অবস্থান নিতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়।
পরে বড় ব্রিজের পাশে ঘোড়া স্ট্যান্ডে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে ফেরার পথে পাবনা জেলা পরিষদের সদস্য নজরুল ইসলাম সোহেলের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীদের হামলার মুখে পড়ে।
এসময় জেলা বিএনপির আহবায়ক ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক ইয়ামিন খানসহ বেশ কিছু নেতাকর্মীরা আহত হন।
বিএনপির নেতাকর্মীরা পাশের লতিফ টাওয়ার মার্কেটে আত্মরক্ষা করলে সেখানেও ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এসময় শহরজুড়ে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়। দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়।