শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাইবান্ধা-৩ আসনঃ বিএনপির একাধিক, অন্য দলের একক প্রার্থী মাঠে

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে ইতোমধ্যে গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ী) আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের আনাগোনা বেড়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের এসব প্রার্থী কর্মীসভাসহ নানাভাবে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। অন্যান্য দলের একক প্রার্থী মাঠে নেমেছেন। তবে বিএনপির মনোনয়ন পেতে মাঠ থেকে বেশ কিছু নেতা হাইকমান্ডে দৌড়ঝাঁপ করেছেন বলে স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে।

বর্তমানে গাইবান্ধা-৩ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন- জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মইনুল হাসান সাদিক, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা রফিকুল ইসলাম রফিক, জেলা বিএনপির সদস্য ড. মিজানুর রহমান মাসুম, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য রওশন আরা ফরিদ, জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ হোসেন নিয়ন, জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা সরোয়ার সোহান ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার শাকিল আহমেদ।

এদিকে একক প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন- জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের জেলা শাখার রাজনৈতিক সেক্রেটারী মাওলানা মো. নজরুল ইসলাম লেবু, জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) নাজমুল হাসান সোহাগ, গণঅধিকার পরিষদের জেলা শাখার সহ-সভাপতি সুরুজ্জামান সরকার, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মইনুর রাব্বি চৌধুরী রুমান ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উপজেলা শাখার সভাপতি এটিএম আওলাদ হোসেন।

স্থানীয়রা জানায়, এ আসনের সম্ভাব্য এমপি পদপ্রার্থীরা প্রত্যেকেই দলের ও নিজের অবস্থান জাহির করতে বিভিন্ন সভা-সমাবেশ থেকে শুরু করে পোস্টার-ফেস্টুন সাঁটিয়েছেন। মাঠে-ময়দানে গণসংযোগসহ নির্বাচনি প্রচারণা চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও। কেউ হাল ছাড়তে নারাজ। সবাই কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। তারা এলাকার উন্নয়নের লক্ষ্যে ভোটারদের মাঝে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি ।

সচেতন ভোটাররা বলছেন- উল্লিখিত দলগুলোর মধ্যে সাদুল্লাপুর ও পলাশবাড়ী উপজেলা থেকে এখন পর্যন্ত ১২ জন্য সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। এর মধ্যে সাদুল্লাপুর থেকে ৯ জন আছেন। শেষ পর্যন্ত প্রার্থিতা পেয়ে পলাশবাড়ীর চেয়ে সাদুল্লাপুর থেকে প্রার্থীর সংখ্যা বেশি দাঁড়াতে পারে। এ আসনের নির্বাচনে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে মূল লড়াই হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত ব্যানার-ফেসটুনে প্রচারণায় এগিয়ে এনসিপি ও গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থীরা। ধীরে ধীরে তাদের ভোটও বাড়ছে। মাঠ চাঙ্গা করছেন তারা।

মেহেদী হাসান, শুভ মিয়া ও অনিক ইসলামসহ কয়েকজন তরুণ বলেন, এবারের নির্বাচন হবে তারণ্যর। তরুণ ভোটারা কোন দলের না হয়ে যোগ্য ব্যক্তিকে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করতে পারলেই জনগণের আকাঙ্খা পূরণ হবে। যে দলের নেতাকর্মীদের দ্বারা সাধারণ মানুষের কোন ক্ষতি হবে না তাদের ভোট দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন তারা।

ড. মিজানুর রহমান মাসুম ও ফরহাদ হোসেন নিয়নসহ বিএনপির  মনোনয়ন প্রত্যাশীরা বলছেন- দল যাকে মনোনয়ন দিবে তার পক্ষে আমরা কাজ করার জন্য প্রস্তুত। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যিনি অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়ে নির্বাচিত হবেন, তিনি এলাকার শিক্ষা-স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখবেন।

উল্লেখ্য, সাদুল্লাপুর ও পলাশবাড়ী-এ দুই উপজেলা নিয়ে ৩১, গাইবান্ধা-৩ আসনটি গঠিত। এর মধ্যে সাদুল্লাপুর উপজেলার ১১ ইউনিয়নে ২ লাখ ৭২ হাজার ৫৬৩ ও পলাশবাড়ী উপজেলায় এক পৌরসভা এবং ৭ ইউনিয়নে ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩৩৩ জন ভোটারসহ মোট ৫ লাখ ৫ হাজার ৮৯৬ ভোটার রয়েছে বলে প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে।

জনপ্রিয়

গাইবান্ধা-৩ আসনঃ বিএনপির একাধিক, অন্য দলের একক প্রার্থী মাঠে

প্রকাশের সময়: ১২:১০:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে ইতোমধ্যে গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ী) আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের আনাগোনা বেড়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের এসব প্রার্থী কর্মীসভাসহ নানাভাবে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। অন্যান্য দলের একক প্রার্থী মাঠে নেমেছেন। তবে বিএনপির মনোনয়ন পেতে মাঠ থেকে বেশ কিছু নেতা হাইকমান্ডে দৌড়ঝাঁপ করেছেন বলে স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে।

বর্তমানে গাইবান্ধা-৩ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন- জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মইনুল হাসান সাদিক, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা রফিকুল ইসলাম রফিক, জেলা বিএনপির সদস্য ড. মিজানুর রহমান মাসুম, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য রওশন আরা ফরিদ, জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ হোসেন নিয়ন, জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা সরোয়ার সোহান ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার শাকিল আহমেদ।

এদিকে একক প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন- জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের জেলা শাখার রাজনৈতিক সেক্রেটারী মাওলানা মো. নজরুল ইসলাম লেবু, জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) নাজমুল হাসান সোহাগ, গণঅধিকার পরিষদের জেলা শাখার সহ-সভাপতি সুরুজ্জামান সরকার, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মইনুর রাব্বি চৌধুরী রুমান ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উপজেলা শাখার সভাপতি এটিএম আওলাদ হোসেন।

স্থানীয়রা জানায়, এ আসনের সম্ভাব্য এমপি পদপ্রার্থীরা প্রত্যেকেই দলের ও নিজের অবস্থান জাহির করতে বিভিন্ন সভা-সমাবেশ থেকে শুরু করে পোস্টার-ফেস্টুন সাঁটিয়েছেন। মাঠে-ময়দানে গণসংযোগসহ নির্বাচনি প্রচারণা চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও। কেউ হাল ছাড়তে নারাজ। সবাই কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। তারা এলাকার উন্নয়নের লক্ষ্যে ভোটারদের মাঝে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি ।

সচেতন ভোটাররা বলছেন- উল্লিখিত দলগুলোর মধ্যে সাদুল্লাপুর ও পলাশবাড়ী উপজেলা থেকে এখন পর্যন্ত ১২ জন্য সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। এর মধ্যে সাদুল্লাপুর থেকে ৯ জন আছেন। শেষ পর্যন্ত প্রার্থিতা পেয়ে পলাশবাড়ীর চেয়ে সাদুল্লাপুর থেকে প্রার্থীর সংখ্যা বেশি দাঁড়াতে পারে। এ আসনের নির্বাচনে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে মূল লড়াই হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত ব্যানার-ফেসটুনে প্রচারণায় এগিয়ে এনসিপি ও গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থীরা। ধীরে ধীরে তাদের ভোটও বাড়ছে। মাঠ চাঙ্গা করছেন তারা।

মেহেদী হাসান, শুভ মিয়া ও অনিক ইসলামসহ কয়েকজন তরুণ বলেন, এবারের নির্বাচন হবে তারণ্যর। তরুণ ভোটারা কোন দলের না হয়ে যোগ্য ব্যক্তিকে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করতে পারলেই জনগণের আকাঙ্খা পূরণ হবে। যে দলের নেতাকর্মীদের দ্বারা সাধারণ মানুষের কোন ক্ষতি হবে না তাদের ভোট দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন তারা।

ড. মিজানুর রহমান মাসুম ও ফরহাদ হোসেন নিয়নসহ বিএনপির  মনোনয়ন প্রত্যাশীরা বলছেন- দল যাকে মনোনয়ন দিবে তার পক্ষে আমরা কাজ করার জন্য প্রস্তুত। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যিনি অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়ে নির্বাচিত হবেন, তিনি এলাকার শিক্ষা-স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখবেন।

উল্লেখ্য, সাদুল্লাপুর ও পলাশবাড়ী-এ দুই উপজেলা নিয়ে ৩১, গাইবান্ধা-৩ আসনটি গঠিত। এর মধ্যে সাদুল্লাপুর উপজেলার ১১ ইউনিয়নে ২ লাখ ৭২ হাজার ৫৬৩ ও পলাশবাড়ী উপজেলায় এক পৌরসভা এবং ৭ ইউনিয়নে ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩৩৩ জন ভোটারসহ মোট ৫ লাখ ৫ হাজার ৮৯৬ ভোটার রয়েছে বলে প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে।