বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেখা নেই বৃষ্টির, উৎকণ্ঠায় কৃষক

তোফায়েল হোসেন জাকির: উত্তরের জেলা গাইবান্ধা শস্যভান্ডার হিসেবে ব্যাপক পরিচিত। অন্যান্য ফসল উৎপাদনে বেশী খরচ হলেও রোপা আমনে কম খরচে কুষকরা ঘরে তোলেন ধান। কিন্ত এবার সেটি যেনো ব্যত্যয় ঘটছে। শ্রাবণেও মাঠে পানির জন্য হাহাকার। দেখা নেই বৃষ্টির। ফলে বাড়তি খরচের বোঝা মাথায় নিয়ে শ্যালো মেশিনের সেচ দিয়ে রোপা আমন চারা রোপন শুরু করছে। এতে করে কৃষকদের চোখে-মুখে দেখা গেছে উদ্বেগ-উৎকন্ঠা।

সম্প্রতি গাইবান্ধা জেলার মাঠ পর্যায়ে যেন চৈত্র মাসের দৃশ্য দেখা গেছে । রোপা আমনের জন্য প্রস্তুত করা জমিগুলো ফেঁটে চৌচির হয়ে রয়েছে। বৃষ্টির অপেক্ষায় প্রহর গুনতে গুনতে অস্থির অবস্থায় প্রান্তিক কৃষকরা। এই চাষাবাদে ব্যাহত হওয়ার কারণে অবশেষে শ্যালো মেশিনে সেচ দিয়ে চারা রোপন শুরু করেছে তারা।

জানা যায়, গাইবান্ধা জেলার অধিকাংশ পরিবার কৃষি ফসলের উপর নির্ভশীল। গেল বোরো আবাদে বাড়তি খরচ করে ধান উৎপাদন করেছেন তারা। সেই খরচ পুষিয়ে নিতে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন রোপা আমন ধান আবাদের। কিন্তু মাঠে বৃষ্টির পানি না থাকায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। পানির অভাবে থমকে গেঠে আমন চাষের কাজ।

জেলা কৃষি বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, গত আমন মৌসুমে ১ লাখ ২৯ হাজার ৬৯৯ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়েছিল। এ বছর ১ লাখ ২৭ হাজার ৪৬০ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত অর্জিত হয়েছে প্রায় ২০ ভাগ। অথচ গত বছরের এই সময়ে ৭৫ ভাগ অর্জন হয়েছিল। এবারে পানির অভাবে চরম ব্যাহত হচ্ছে আমন চাষাবাদ।

গোবিন্দগঞ্জের কৃষক আজগর আলী জানান, চলতি আমন মৌসুমে এক একর জমিতে ধান চারা রোপনের পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। কিন্তু বুষ্টির পানির অভাবে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হচ্ছে না তার। বর্তমানে সেচ দিয়ে দুই বিঘা জমিতে আমন চাষাবাদ শুরু করছেন।

সুন্দরগঞ্জের কৃষক কপিল উদ্দিন বলেন, বৃষ্টির পানির ওপর নির্ভর করে আমন চাষ করি। কিন্তু সেই পানির অপেক্ষায় থাকার পর কৃত্রিম উপায়ে চারা রোপন করতে হচ্ছে। এতে করে বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে। সেই সাথে সময়মত চারা রোপন করতে না পারায় আশানুরূপ ফলন নাও পেতে পারি।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা তানজিমুল হাসান বলেন, অধিকাংশ কৃষক বীজতলা থেকে চারা তুলে বলান দিয়েছে। এখনও কৃষকরা বৃষ্টির অপেক্ষায় আছেন। আপাতত তাদের সেচ দিয়ে চারা রোপনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

গাইবান্ধা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা খোরশেদ আলম জানান, যাতে করে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয় সে ব্যাপারে কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।

 

জনপ্রিয়

দেখা নেই বৃষ্টির, উৎকণ্ঠায় কৃষক

প্রকাশের সময়: ০৫:২৩:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ অগাস্ট ২০২৩

তোফায়েল হোসেন জাকির: উত্তরের জেলা গাইবান্ধা শস্যভান্ডার হিসেবে ব্যাপক পরিচিত। অন্যান্য ফসল উৎপাদনে বেশী খরচ হলেও রোপা আমনে কম খরচে কুষকরা ঘরে তোলেন ধান। কিন্ত এবার সেটি যেনো ব্যত্যয় ঘটছে। শ্রাবণেও মাঠে পানির জন্য হাহাকার। দেখা নেই বৃষ্টির। ফলে বাড়তি খরচের বোঝা মাথায় নিয়ে শ্যালো মেশিনের সেচ দিয়ে রোপা আমন চারা রোপন শুরু করছে। এতে করে কৃষকদের চোখে-মুখে দেখা গেছে উদ্বেগ-উৎকন্ঠা।

সম্প্রতি গাইবান্ধা জেলার মাঠ পর্যায়ে যেন চৈত্র মাসের দৃশ্য দেখা গেছে । রোপা আমনের জন্য প্রস্তুত করা জমিগুলো ফেঁটে চৌচির হয়ে রয়েছে। বৃষ্টির অপেক্ষায় প্রহর গুনতে গুনতে অস্থির অবস্থায় প্রান্তিক কৃষকরা। এই চাষাবাদে ব্যাহত হওয়ার কারণে অবশেষে শ্যালো মেশিনে সেচ দিয়ে চারা রোপন শুরু করেছে তারা।

জানা যায়, গাইবান্ধা জেলার অধিকাংশ পরিবার কৃষি ফসলের উপর নির্ভশীল। গেল বোরো আবাদে বাড়তি খরচ করে ধান উৎপাদন করেছেন তারা। সেই খরচ পুষিয়ে নিতে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন রোপা আমন ধান আবাদের। কিন্তু মাঠে বৃষ্টির পানি না থাকায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। পানির অভাবে থমকে গেঠে আমন চাষের কাজ।

জেলা কৃষি বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, গত আমন মৌসুমে ১ লাখ ২৯ হাজার ৬৯৯ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়েছিল। এ বছর ১ লাখ ২৭ হাজার ৪৬০ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত অর্জিত হয়েছে প্রায় ২০ ভাগ। অথচ গত বছরের এই সময়ে ৭৫ ভাগ অর্জন হয়েছিল। এবারে পানির অভাবে চরম ব্যাহত হচ্ছে আমন চাষাবাদ।

গোবিন্দগঞ্জের কৃষক আজগর আলী জানান, চলতি আমন মৌসুমে এক একর জমিতে ধান চারা রোপনের পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। কিন্তু বুষ্টির পানির অভাবে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হচ্ছে না তার। বর্তমানে সেচ দিয়ে দুই বিঘা জমিতে আমন চাষাবাদ শুরু করছেন।

সুন্দরগঞ্জের কৃষক কপিল উদ্দিন বলেন, বৃষ্টির পানির ওপর নির্ভর করে আমন চাষ করি। কিন্তু সেই পানির অপেক্ষায় থাকার পর কৃত্রিম উপায়ে চারা রোপন করতে হচ্ছে। এতে করে বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে। সেই সাথে সময়মত চারা রোপন করতে না পারায় আশানুরূপ ফলন নাও পেতে পারি।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা তানজিমুল হাসান বলেন, অধিকাংশ কৃষক বীজতলা থেকে চারা তুলে বলান দিয়েছে। এখনও কৃষকরা বৃষ্টির অপেক্ষায় আছেন। আপাতত তাদের সেচ দিয়ে চারা রোপনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

গাইবান্ধা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা খোরশেদ আলম জানান, যাতে করে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয় সে ব্যাপারে কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।