গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র আবু তালেব চত্বরের আশে-পাশের প্রধান সড়ক গুলোতে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং, গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠা-নামা সাদুল্লাপুর শহরের যানজটের প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সাদুল্লাপুর হতে জেলা শহর গাইবান্ধা, সাদুল্লাপুর হতে ইদ্রাকপুর হয়ে তুলশীঘাট,সাদুল্লাপুর হতে ভাতগ্রাম, ইদুলপুর ধাপেরহাট ও ফরিদপুর ইউনিয়নের আংশিক ,সাদুল্লাপুর হতে জামালপুর-ফরিদপুর ইউনিয়ন হয়ে মাদারগঞ্জ ও দামোদরপুর রসুলপুর নলডাঙ্গা ইউনিয়ন এর সংযোগ সড়ক গুলোর মিলিত হবার একমাত্র কেন্দ্র হচ্ছে আবু তালেব চত্বর। এই চত্বর হতে প্রতিটি ইউনিয়নে চলাচলকৃত হাজারো মানুষের বাহন ভ্যান, মিশুক, অটোরিকশা-সিএনজি গুলো রাস্তার দুপাশে দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠা-নামার ফলে সংকুচিত হয় যাতায়াত উপযোগী সড়ক। এছাড়াও রাস্তার দুপাশের ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে যত্রতত্র ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেল পার্কিং যানজটের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কারণ।
সাদুল্লাপুর শহরের বাসিন্দা চন্দন কুমার জাগো টোয়েন্টিফোর.নেট কে বলেন, মাঝে মাঝে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে যানজট পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও দু-এক সপ্তাহের ব্যবধানে তা পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে।
অটোভ্যান চালক আবেদীন মিয়া জাগো টোয়েন্টিফোর.নেট কে জানান, তাদের জন্য নির্দিষ্ট কোন স্ট্যান্ড নেই। দ্রুত যাত্রী পাবার আশায় তারা আবু তালেব চত্বর এলাকায় অপেক্ষা করেন৷
এই চত্বরের ওষুধ ব্যাবসায়ী সেতু সরকার জাগো টুয়েন্টিফোর.নেট কে বলেন, এ চত্বর থেক গুরুত্বপূর্ণ ৫টি সড়কের যানবাহন চলাচল করে থাকে। এছাড়াও বিভাগীয় শহর রংপুরে-সাদুল্লাপুর সড়ক হয়ে দ্রুততম সময়ে যাওয়া যায় ফলে জরুরি রোগীবাহি গাইবান্ধা ও আশেপাশের অ্যাম্বুলেন্স গুলো এই সড়ক ব্যবহার করে কিন্তু অনেক সময় দেখি দীর্ঘ যানযটের কারণে অ্যাম্বুলেন্স আটকা পরে থাকতে।
তিনি আরও বলেন, সাদুল্লাপুরে যানজট হতে মুক্তি পেতে দরকার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও স্থায়ী ট্রাফিক ব্যবস্থা।
জাহিদ খাঁন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, জাগো২৪.নেট 
























