রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাবেক ভিপি আ স ম সাজ্জাদ হোসেন পল্টনের খোলা চিঠি

খোলা চিঠি

(আ স ম সাজ্জাদ হোসেন পল্টন)

পহেলা সেপ্টেম্বর ২০২৫। দিনে শেষে রাতটা বেশ কষ্টের মধ্যেই কেটে গেলো। প্রযুক্তির এই যুগে আমি এনালগ। বারবার সুভাকাঙ্খী-কর্মী-সমর্থকদের সারারাতের ফোন যেন আমাকে ভালোবাসা আর শ্রদ্ধায় ভরে দিলো। তাদের একটাই কথা ছিলো- আমরা আপনার কাছে কিছু চাই না, এটা কি বিস্ময়কর কারন দর্শানো নোটিশে হতবম্ভ হয়ে গেলাম। কি হয়েছে, সবাই ইতস্ত হয়ে বলছে আপনি নাকি শিবির প্রজন্মলীগকে নিয়ে হামলায় অংশগ্রহণ করেছেন।

কথাটা শুনে বেশ অবাক হলাম, যে সাম্প্রদায়িকতা ও ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে লড়াই করে আজকের এই অবস্থানে এসেছি, তা ষড়যন্ত্রত্কারীরা রাত্রে একজন দায়িত্বশীল নেতার ফেসবুক আইডি থেকে ছড়িয়ে দিলেন। আমার তথ্যপ্রযুক্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত করে আমার হাতে কারন দর্শানোর নোটিশ না দিয়ে অধিকার থেকে বঞ্চিত করে হয়তো হেয় করার সম্ভব হয়েছে কিন্তু সাধারণ মানুষের ভালোবাসা আর নেতাকর্মীদের পল্টনকে দূরে রাখা সম্ভব হয়নি। তখন বুঝতে পেরেছি সেদিনেও আমার জাত শত্রুরাও তাদের আক্রমনাত্নক মিছিল থেকে আমাকে আঘাত করে নি। এটাই হয়েছে আমার বড় পাওনা। ভালোবাসা দিয়ে পৃথিবী জয় করা যায় কিন্ত মিথ্যা দিয়ে মানুষকে পরাস্ত করা যায় কিন্ত তার পথরোধ করা যায় না।

আমি সারাজীবন বিশ্বাস করেছি আমি নই আমরাই সব। আজকে সেই বিশ্বাসের আঘাত আমাকে আহত করেছে। আমার নেতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইটের আঘাতে রক্তাক্ত হয়েছিলেন তবু কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ করেনি। এটি আমাকে অনুপ্রানিত করেছিলো। আমি পারিবারিকভাবেই জাতীয়তাবাদী শক্তির সৈনিক ছিলাম। ঠিক ১৯৮৬ সালের ১৯ই মার্চ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার এরশাদের নির্বাচন বর্জনের ডাকে সাড়া দিয়ে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলে যোগ দিয়েছিলাম। ৯০ই গণঅভুত্থানে রাজপথে সাহসী ভুমিকা রেখে স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়ে আপোশহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ৯১ই নির্বাচনে একজন ক্ষুদে কর্মী হিসেবে ভুমিকা রাখার সুযোগ হয়েছিল যার প্রতিদানে সাদুল্লাপুর ডিগ্রি কলেজের ১৮ হাজার শিক্ষার্থীর ভোটে আমিসহ মাত্র ২ জন ভোটে ছাত্রসংসদে গিয়েছিলাম। আমরাই প্রথম ৯০ দশকের ছাত্রদলের সংগঠন এই থানায় গঠন করি। স্বল্পকিছু নেতাকর্মী সমর্থক নিয়ে যে ছাত্রদল তৈরি হয়েছিল তা আজ মহিরুহ। এখান থেকেই সৃষ্টি হয়েছে ছাত্রদল, যুবদল,  বিএনপিসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন। অনেকে যখন বলে ভাই আপনার হাত ধরেই রাজনীতিতে এসেছি এর চেয়ে বড় পাওনার আর কিছু নেই। পরিবার যখন উদ্বিগ্ন তখনো বিবাদমান গ্রুপ সংঘর্ষে লিপ্ত থাকার কর্মীরা আমাকে সম্মান দেখিয়েছে এখানে আমি কৃতজ্ঞ। ৯৬ থেকে ২০০১ সাল দেশনেত্রীর আন্দোলনে থেকে সাদুল্লাপুরে জামায়াত-শিবির প্রতিরোধ করার দুসাহস দেখানোটাই কি ছিলো অপরাধ ? তাবেদার স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে গাইবান্ধার রাজপথে সক্রিয় থাকাই কি ছিলো আমার অপরাধ? তাবেদারমুক্ত বাংলাদেশে যখন পুলিশ প্রশাসন সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে সারাশহর আবৃত করে রেখেছে তখন এক পেশে ভাবে জেলা বিএনপি কারণ দর্শানোর নোটিশ ষড়যন্ত্রকারীদের সফলতার এক নিদর্শন।

আমার কারো প্রতি কোনো অভিযোগ নেই শুধু অনুযোগ আমি অধোম বলে তুমিও কি অধোম হবে? এ কথাটা এজন্য লিখলাম একজন বড় রাজনীতিবিদ লিখেছেন আল্লাহ যারে চাহে ইজ্জত দেয় আবার কেড়েও নেয়। তিনি সূরার আয়াত নাম্বারসহ লিখেছেন। আল্লাহ তায়ালা তাকে হেদায়েত করুক সম্মানের উঁচু আসনে আসিন করুক। কিন্ত মিথ্যা কতক্ষণ টিকবে তা আমি জানি না। আমার অপরাধ ছিলো ২৬ নাম্বার সদস্য থেকে কেন্দ্রীয় নির্দেশে সাদুল্লাপুর থানা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক হওয়া। আমার অপরাধ ছিলো সংঘর্ষের সময় নেতাকর্মীদের আগলে রাখা। বনগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির নির্যাতিত নিপীড়িত কর্মীদের পাশে দাঁড়ানো। আমার অপরাধ ছিলো উপজেলা বিএনপির মিটিংয়ে সমস্ত নিয়মকানুন ভঙ্গ করার প্রতিবাদ করা। দুঃখ এই জায়গায় দায়িত্বশীল জেলা বিএনপির নেতা যখন বলে জামায়াত, আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টিকে দলে নেওয়া যাবে। যার অডিও-ভিডিও বাজারে ভেসে বেড়ায়। তখন  মনে হয় এজন্য কি আমরা রাজপথে লড়াই সংগ্রাম করেছিলাম। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যাদের হাতে নির্যাতিত হয়েছেন তারা দল চালাবে এটাই কি বাস্তবতা। গোলেসসের একটি বিখ্যাত উক্তি রয়েছে তুমি দশবার মিথ্যা বলতে বলতে এটা একবার সত্যে পরিনত হবে।

আমার শুধু কেন্দ্রীয় নেত্রীবৃন্দের কাছে আবেদন থাকবে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে এবং চ্যানেল পত্রিকার খবর দেখে প্রকৃত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। প্লিজ আহত পুলিশ ভাইসহ সাংবাদিক আহত করা মতো মিথ্যা মিথ্যা আপবাদ দিলে আহত সাংবাদিক এবং পুলিশ ভাইরা লজ্জা পায়। কারা আহত করছে তা ইতিহাস বলে দিবে। ইতিহাস বলা যায় কিন্তু তৈরি করা যায় না। যেখানে থাকিনা কেন সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সারাজীবন লড়ে যাবো।

প্রগোতিশীলতাই আমাদের ধর্ম, আমাদের নেতা শহীদ জিয়া, নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, আগামী নেতা তারেক রহমান আমাদের শেষ ঠিকানা। প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ, জীবন বাংলাদেশ আমার মরণ বাংলাদেশ। আমার মৃত্যুর কফিনে থাকবে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ। আমরা মৃত্যুজয়ী জিয়ার সৈনিক। আমাকে মিথ্যা কারণ দর্শানো যাবে, বহিষ্কার করা যাবে কিন্তু শহীদ জিয়ার আদর্শ থেকে সড়ানো যাবে না।

দুঃখ একটাই যে ছাত্র নেতার হাত ধরে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলে এসেছি, তিনি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহামুদুল নবী টিটুল ভাই। তার সাদুল্লাপুরে আগমণ আমার সাথে কথোপকথন যেন কাল হয়ে গেল ঠিক তার ২৪ ঘন্টা পরেই সাম্প্রদায়িক শক্তির কথা বলে কারণ দর্শানোর নোটিশ। এ নোটিশ হয়তো রাজনীতি যাত্রাকে ব্যহত করবে। কিন্ত এই জাতীয়তাবাদী শক্তির ক্ষুদ্র সৈনিক ভিপি পল্টনকে রোধ করা যাবে না। প্লিজ নেতা পারলে ভিপি পল্টন তকমাটা কেড়ে নেন তবুও বেজ্জতি করিয়েন না।

কি অবাক বিস্ময় কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়ার আগেই ফেসবুক দিয়ে বেজ্জতি এটার বিচার যেমন চাই তেমনি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে খোলা চিঠিটি পৌঁছে দিয়ে এ অপমানের নিস্তার চাই। সমস্ত আওয়ামীবাঁকশালীদের আমলনামা, নেতার পাশে বসে থাকা ছবি সাদুল্লাপুর আওয়ামী অফিস বিএনপি অফিসে রাতারাতি পরিণত হওয়া, এগুলো একবার আমার প্রিয় ঠিকানা বিএনপির কেন্দ্রীয় পল্টন অফিস, গুলশান অফিসে দিয়ে পৌঁছে আর কোনো বিশুদ্ধ জাতীয়তাবাদী কর্মীকে অপমাণিত করা না হয় তার প্রতিকার চাই ।

লেখক- আ স ম সাজ্জাদ হোসেন পল্টন, সাবেক ভিপি, সাদুল্লাপুর ডিগ্রি কলেজ, গাইবান্ধা।

 

 

জনপ্রিয়

সাবেক ভিপি আ স ম সাজ্জাদ হোসেন পল্টনের খোলা চিঠি

প্রকাশের সময়: ০৯:০৮:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

খোলা চিঠি

(আ স ম সাজ্জাদ হোসেন পল্টন)

পহেলা সেপ্টেম্বর ২০২৫। দিনে শেষে রাতটা বেশ কষ্টের মধ্যেই কেটে গেলো। প্রযুক্তির এই যুগে আমি এনালগ। বারবার সুভাকাঙ্খী-কর্মী-সমর্থকদের সারারাতের ফোন যেন আমাকে ভালোবাসা আর শ্রদ্ধায় ভরে দিলো। তাদের একটাই কথা ছিলো- আমরা আপনার কাছে কিছু চাই না, এটা কি বিস্ময়কর কারন দর্শানো নোটিশে হতবম্ভ হয়ে গেলাম। কি হয়েছে, সবাই ইতস্ত হয়ে বলছে আপনি নাকি শিবির প্রজন্মলীগকে নিয়ে হামলায় অংশগ্রহণ করেছেন।

কথাটা শুনে বেশ অবাক হলাম, যে সাম্প্রদায়িকতা ও ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে লড়াই করে আজকের এই অবস্থানে এসেছি, তা ষড়যন্ত্রত্কারীরা রাত্রে একজন দায়িত্বশীল নেতার ফেসবুক আইডি থেকে ছড়িয়ে দিলেন। আমার তথ্যপ্রযুক্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত করে আমার হাতে কারন দর্শানোর নোটিশ না দিয়ে অধিকার থেকে বঞ্চিত করে হয়তো হেয় করার সম্ভব হয়েছে কিন্তু সাধারণ মানুষের ভালোবাসা আর নেতাকর্মীদের পল্টনকে দূরে রাখা সম্ভব হয়নি। তখন বুঝতে পেরেছি সেদিনেও আমার জাত শত্রুরাও তাদের আক্রমনাত্নক মিছিল থেকে আমাকে আঘাত করে নি। এটাই হয়েছে আমার বড় পাওনা। ভালোবাসা দিয়ে পৃথিবী জয় করা যায় কিন্ত মিথ্যা দিয়ে মানুষকে পরাস্ত করা যায় কিন্ত তার পথরোধ করা যায় না।

আমি সারাজীবন বিশ্বাস করেছি আমি নই আমরাই সব। আজকে সেই বিশ্বাসের আঘাত আমাকে আহত করেছে। আমার নেতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইটের আঘাতে রক্তাক্ত হয়েছিলেন তবু কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ করেনি। এটি আমাকে অনুপ্রানিত করেছিলো। আমি পারিবারিকভাবেই জাতীয়তাবাদী শক্তির সৈনিক ছিলাম। ঠিক ১৯৮৬ সালের ১৯ই মার্চ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার এরশাদের নির্বাচন বর্জনের ডাকে সাড়া দিয়ে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলে যোগ দিয়েছিলাম। ৯০ই গণঅভুত্থানে রাজপথে সাহসী ভুমিকা রেখে স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়ে আপোশহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ৯১ই নির্বাচনে একজন ক্ষুদে কর্মী হিসেবে ভুমিকা রাখার সুযোগ হয়েছিল যার প্রতিদানে সাদুল্লাপুর ডিগ্রি কলেজের ১৮ হাজার শিক্ষার্থীর ভোটে আমিসহ মাত্র ২ জন ভোটে ছাত্রসংসদে গিয়েছিলাম। আমরাই প্রথম ৯০ দশকের ছাত্রদলের সংগঠন এই থানায় গঠন করি। স্বল্পকিছু নেতাকর্মী সমর্থক নিয়ে যে ছাত্রদল তৈরি হয়েছিল তা আজ মহিরুহ। এখান থেকেই সৃষ্টি হয়েছে ছাত্রদল, যুবদল,  বিএনপিসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন। অনেকে যখন বলে ভাই আপনার হাত ধরেই রাজনীতিতে এসেছি এর চেয়ে বড় পাওনার আর কিছু নেই। পরিবার যখন উদ্বিগ্ন তখনো বিবাদমান গ্রুপ সংঘর্ষে লিপ্ত থাকার কর্মীরা আমাকে সম্মান দেখিয়েছে এখানে আমি কৃতজ্ঞ। ৯৬ থেকে ২০০১ সাল দেশনেত্রীর আন্দোলনে থেকে সাদুল্লাপুরে জামায়াত-শিবির প্রতিরোধ করার দুসাহস দেখানোটাই কি ছিলো অপরাধ ? তাবেদার স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে গাইবান্ধার রাজপথে সক্রিয় থাকাই কি ছিলো আমার অপরাধ? তাবেদারমুক্ত বাংলাদেশে যখন পুলিশ প্রশাসন সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে সারাশহর আবৃত করে রেখেছে তখন এক পেশে ভাবে জেলা বিএনপি কারণ দর্শানোর নোটিশ ষড়যন্ত্রকারীদের সফলতার এক নিদর্শন।

আমার কারো প্রতি কোনো অভিযোগ নেই শুধু অনুযোগ আমি অধোম বলে তুমিও কি অধোম হবে? এ কথাটা এজন্য লিখলাম একজন বড় রাজনীতিবিদ লিখেছেন আল্লাহ যারে চাহে ইজ্জত দেয় আবার কেড়েও নেয়। তিনি সূরার আয়াত নাম্বারসহ লিখেছেন। আল্লাহ তায়ালা তাকে হেদায়েত করুক সম্মানের উঁচু আসনে আসিন করুক। কিন্ত মিথ্যা কতক্ষণ টিকবে তা আমি জানি না। আমার অপরাধ ছিলো ২৬ নাম্বার সদস্য থেকে কেন্দ্রীয় নির্দেশে সাদুল্লাপুর থানা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক হওয়া। আমার অপরাধ ছিলো সংঘর্ষের সময় নেতাকর্মীদের আগলে রাখা। বনগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির নির্যাতিত নিপীড়িত কর্মীদের পাশে দাঁড়ানো। আমার অপরাধ ছিলো উপজেলা বিএনপির মিটিংয়ে সমস্ত নিয়মকানুন ভঙ্গ করার প্রতিবাদ করা। দুঃখ এই জায়গায় দায়িত্বশীল জেলা বিএনপির নেতা যখন বলে জামায়াত, আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টিকে দলে নেওয়া যাবে। যার অডিও-ভিডিও বাজারে ভেসে বেড়ায়। তখন  মনে হয় এজন্য কি আমরা রাজপথে লড়াই সংগ্রাম করেছিলাম। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যাদের হাতে নির্যাতিত হয়েছেন তারা দল চালাবে এটাই কি বাস্তবতা। গোলেসসের একটি বিখ্যাত উক্তি রয়েছে তুমি দশবার মিথ্যা বলতে বলতে এটা একবার সত্যে পরিনত হবে।

আমার শুধু কেন্দ্রীয় নেত্রীবৃন্দের কাছে আবেদন থাকবে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে এবং চ্যানেল পত্রিকার খবর দেখে প্রকৃত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। প্লিজ আহত পুলিশ ভাইসহ সাংবাদিক আহত করা মতো মিথ্যা মিথ্যা আপবাদ দিলে আহত সাংবাদিক এবং পুলিশ ভাইরা লজ্জা পায়। কারা আহত করছে তা ইতিহাস বলে দিবে। ইতিহাস বলা যায় কিন্তু তৈরি করা যায় না। যেখানে থাকিনা কেন সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সারাজীবন লড়ে যাবো।

প্রগোতিশীলতাই আমাদের ধর্ম, আমাদের নেতা শহীদ জিয়া, নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, আগামী নেতা তারেক রহমান আমাদের শেষ ঠিকানা। প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ, জীবন বাংলাদেশ আমার মরণ বাংলাদেশ। আমার মৃত্যুর কফিনে থাকবে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ। আমরা মৃত্যুজয়ী জিয়ার সৈনিক। আমাকে মিথ্যা কারণ দর্শানো যাবে, বহিষ্কার করা যাবে কিন্তু শহীদ জিয়ার আদর্শ থেকে সড়ানো যাবে না।

দুঃখ একটাই যে ছাত্র নেতার হাত ধরে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলে এসেছি, তিনি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহামুদুল নবী টিটুল ভাই। তার সাদুল্লাপুরে আগমণ আমার সাথে কথোপকথন যেন কাল হয়ে গেল ঠিক তার ২৪ ঘন্টা পরেই সাম্প্রদায়িক শক্তির কথা বলে কারণ দর্শানোর নোটিশ। এ নোটিশ হয়তো রাজনীতি যাত্রাকে ব্যহত করবে। কিন্ত এই জাতীয়তাবাদী শক্তির ক্ষুদ্র সৈনিক ভিপি পল্টনকে রোধ করা যাবে না। প্লিজ নেতা পারলে ভিপি পল্টন তকমাটা কেড়ে নেন তবুও বেজ্জতি করিয়েন না।

কি অবাক বিস্ময় কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়ার আগেই ফেসবুক দিয়ে বেজ্জতি এটার বিচার যেমন চাই তেমনি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে খোলা চিঠিটি পৌঁছে দিয়ে এ অপমানের নিস্তার চাই। সমস্ত আওয়ামীবাঁকশালীদের আমলনামা, নেতার পাশে বসে থাকা ছবি সাদুল্লাপুর আওয়ামী অফিস বিএনপি অফিসে রাতারাতি পরিণত হওয়া, এগুলো একবার আমার প্রিয় ঠিকানা বিএনপির কেন্দ্রীয় পল্টন অফিস, গুলশান অফিসে দিয়ে পৌঁছে আর কোনো বিশুদ্ধ জাতীয়তাবাদী কর্মীকে অপমাণিত করা না হয় তার প্রতিকার চাই ।

লেখক- আ স ম সাজ্জাদ হোসেন পল্টন, সাবেক ভিপি, সাদুল্লাপুর ডিগ্রি কলেজ, গাইবান্ধা।