রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তৃতীয় দিন শেষেও হাল উইন্ডিজের হাতে

ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৪০৯ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ অল আউট হয় ২৯৬ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ শুরুতেই ধাক্কা খায়। ৪১ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারায় তারা। তবুও ১৫৪ রানের লিড নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে সফরকারীরা।

দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ হাসফাঁস করছিল বাংলাদেশের স্পিনারদের মোকাবিলা করতে।১১ রানে প্রথম, ২০ রানে দ্বিতীয় এবং ৩৯ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় তারা। তবে আবারো বাংলাদেশের পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছেন বোনার। বাংলাদেশের তিন স্পিনার তাইজুল, মিরাজ, নাঈম প্রত্যেকে একটি করে উইকেট পেয়েছেন।

এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ঢাকা টেস্টে ফলোঅনে শঙ্কায় পড়েছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে লিটন ও মিরাজ দারুণ প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ১২৬ রানের একটি জুটি গড়েন। সবাই ভেবেছিল টেস্টের তৃতীয় দিনটি তাহলে বাংলাদেশেরই হচ্ছে। কিন্তু হঠাৎ যেন সব এলোমেলো হয়ে গেলো। মাত্র ৯ বলের ব্যবধানে পতন ঘটলো তিন উইকেটের। লিটন ৭১ ও মিরাজ ফিরলেন ৫৭ রানে। এই দু’জনের মাঝে শূন্য রানে ফিরেছেন নাঈম হাসান। বাংলাদেশও অলআউট ২৯৬ রানে। কর্নওয়াল নিয়েছেন ৫ উইকেট।

ঢাকায় অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচটি ক্ষণে ক্ষণে রঙ পাল্টিয়েছে। তবে তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনটি বাংলাদেশেরই। ২৭ ওভারে উঠেছে ৯১ রান। শুধু রানের হিসেবেই বেশ ভালো একটা সেশন। তবে বাংলাদেশের জন্য রানের চেয়েও এই মুহূর্তে বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেশনের অন্য হিসেবটা। উইকেটের সংখ্যার ঘরে মিরপুরে আজ দ্বিতীয় সেশনে একটা শূন্য রাখতে পেরেছে বাংলাদেশ।

এজন্য লিটন দাস ও মেহেদি হাসান মিরাজকে সেজন্য ধন্যবাদ দেবে বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন প্রথম সেশনে যা করতে পারেননি, দ্বিতীয় সেশনে ঠিক তা-ই করে দেখিয়েছেন লিটন-মিরাজ। ঝুঁকি না নিয়ে ব্যাটিং করে গেছেন। তাতে ফলোঅনের শঙ্কা কেটেছে। লিটন ও মিরাজ দুজনই ফিফটি পেয়েছেন। চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি পাওয়া মিরাজ চা-বিরতির সময়ে অপরাজিত ছিলেন ৫৩ রানে। আর চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ফিফটি পাওয়া লিটন পেয়েছেন টানা দ্বিতীয় ফিফটি, চা-বিরতিতে গেছেন ৬৬ রান নিয়ে। বাংলাদেশের রান তখন ৬ উইকেটে ২৭২। কিন্তু চা বিরতির পরই সব উলট পালট হয়ে গেলো। দ্রুত তিনটি উইকেট পড়ে গেলো।

শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের আত্মতৃপ্তিতে ভোগার কিছু নেই। মাত্র একটা সেশন ভালো কেটেছে, সম্ভবত মিরপুর টেস্টে তিন দিনে এই প্রথম কোনো সেশনে একচ্ছত্র দাপট বাংলাদেশের। তবে চা-বিরতির পর সেটি টেনে নেওয়া গেলো না। ২৯৬ রানে অলআউট বাংলাদেশ। উইন্ডিজের চাইতে ১১৩ রানে পিছিয়ে টাইগাররা।

জনপ্রিয়

তৃতীয় দিন শেষেও হাল উইন্ডিজের হাতে

প্রকাশের সময়: ০৬:০২:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১

ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৪০৯ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ অল আউট হয় ২৯৬ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ শুরুতেই ধাক্কা খায়। ৪১ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারায় তারা। তবুও ১৫৪ রানের লিড নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে সফরকারীরা।

দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ হাসফাঁস করছিল বাংলাদেশের স্পিনারদের মোকাবিলা করতে।১১ রানে প্রথম, ২০ রানে দ্বিতীয় এবং ৩৯ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় তারা। তবে আবারো বাংলাদেশের পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছেন বোনার। বাংলাদেশের তিন স্পিনার তাইজুল, মিরাজ, নাঈম প্রত্যেকে একটি করে উইকেট পেয়েছেন।

এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ঢাকা টেস্টে ফলোঅনে শঙ্কায় পড়েছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে লিটন ও মিরাজ দারুণ প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ১২৬ রানের একটি জুটি গড়েন। সবাই ভেবেছিল টেস্টের তৃতীয় দিনটি তাহলে বাংলাদেশেরই হচ্ছে। কিন্তু হঠাৎ যেন সব এলোমেলো হয়ে গেলো। মাত্র ৯ বলের ব্যবধানে পতন ঘটলো তিন উইকেটের। লিটন ৭১ ও মিরাজ ফিরলেন ৫৭ রানে। এই দু’জনের মাঝে শূন্য রানে ফিরেছেন নাঈম হাসান। বাংলাদেশও অলআউট ২৯৬ রানে। কর্নওয়াল নিয়েছেন ৫ উইকেট।

ঢাকায় অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচটি ক্ষণে ক্ষণে রঙ পাল্টিয়েছে। তবে তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনটি বাংলাদেশেরই। ২৭ ওভারে উঠেছে ৯১ রান। শুধু রানের হিসেবেই বেশ ভালো একটা সেশন। তবে বাংলাদেশের জন্য রানের চেয়েও এই মুহূর্তে বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেশনের অন্য হিসেবটা। উইকেটের সংখ্যার ঘরে মিরপুরে আজ দ্বিতীয় সেশনে একটা শূন্য রাখতে পেরেছে বাংলাদেশ।

এজন্য লিটন দাস ও মেহেদি হাসান মিরাজকে সেজন্য ধন্যবাদ দেবে বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন প্রথম সেশনে যা করতে পারেননি, দ্বিতীয় সেশনে ঠিক তা-ই করে দেখিয়েছেন লিটন-মিরাজ। ঝুঁকি না নিয়ে ব্যাটিং করে গেছেন। তাতে ফলোঅনের শঙ্কা কেটেছে। লিটন ও মিরাজ দুজনই ফিফটি পেয়েছেন। চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি পাওয়া মিরাজ চা-বিরতির সময়ে অপরাজিত ছিলেন ৫৩ রানে। আর চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ফিফটি পাওয়া লিটন পেয়েছেন টানা দ্বিতীয় ফিফটি, চা-বিরতিতে গেছেন ৬৬ রান নিয়ে। বাংলাদেশের রান তখন ৬ উইকেটে ২৭২। কিন্তু চা বিরতির পরই সব উলট পালট হয়ে গেলো। দ্রুত তিনটি উইকেট পড়ে গেলো।

শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের আত্মতৃপ্তিতে ভোগার কিছু নেই। মাত্র একটা সেশন ভালো কেটেছে, সম্ভবত মিরপুর টেস্টে তিন দিনে এই প্রথম কোনো সেশনে একচ্ছত্র দাপট বাংলাদেশের। তবে চা-বিরতির পর সেটি টেনে নেওয়া গেলো না। ২৯৬ রানে অলআউট বাংলাদেশ। উইন্ডিজের চাইতে ১১৩ রানে পিছিয়ে টাইগাররা।