রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো টাইগাররা

দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে ১৭ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। ক্যারিবীয়দের দেয়া ২৩১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে সবকটি উইকেট হারিয়ে টাইগাররা তুলতে সক্ষম হয় ২১৩ রান।

এতে ২-০ তে টেস্ট সিরিজ জিতলো ক্যারিবীয়রা।

ঝড়ো ব্যাটিংয়ে শুরুটা ভালো করলেও হঠাৎ বিপর্যয়ে পরে টাইগার ব্যাটিং লাইনআপ। শুরু থেকেই মারমুখি ছিলেন তামিম ইকবাল। প্রথম ১০ ওভারে ৪৫ রান নেন তামিম ও সৌম্য। দলীয় ৫৯ রানে সৌম্য (১৩) ড্রেসিংরুমে ফেরার পরেই ধস নামে বাংলাদেশের ইনিংসে। ১২তম ওভারের প্রথম বলে সৌম্যকে ফিরিয়ে দেন ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট। অল্প কিছুক্ষণ পর সাজঘরে ফেরেন তামিম ইকবাল (৫০) ও নাজমুল হোসেন শান্ত (১১)। দ্রুত তিন উইকেট হারানোর পর কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে মুমিনুল-মুশফিক জুটি। কিন্তু বেশি দূর আগাতে পারনেনি তারাও। ১৪ রানে মুশফিককে নিজের শিকার বানান ওয়ারিকান। এরপর স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান মোহাম্মদ মিঠুন। ২৬ রান করে বিদায় নিয়েছেন মুমিনুল। তারপর একে একে লিটন (২২), তাইজুল (৮) ও নাইম (১৪) ফেরেন সাজঘরে। শেষ আশা মেহেদি মিরাজও পারলেন না দলকে বাঁচাতে।

এদিকে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে কর্নওয়াল নেন চার উইকেট, ব্র্যাথওয়েট তিনটি এবং ওয়ারিকেন নেন তিনটি উইকেট।

এর আগে, দ্বিতীয় ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে কোন রকম সুযোগ দেয়নি স্বাগতিক শিবির। টাইগারদের বোলিং তোপে ১১৭ রানেই আটকে যায় ক্যারিবীয়রা।

চতুর্থ দিনে ৩ উইকেটে ৪১ রান নিয়ে মাঠে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দিনের শুরু থেকেই টাইগার বোলারদের দাপটে আসা যাওয়ার মাঝেই ছিলেন উইন্ডিজ ব্যাটসম্যানরা। রাহী আর তাইজুলের জোড়ায় জোড়ায় আঘাতে ইনিংস বেশি দূর নিতে পারেনি তারা। প্রথম সেশনে উইন্ডিজ হারায় তিন উইকেট।

মধ্যাহ্ন বিরতির পর ক্যারিবীয়রা টিকতে পেরেছিল মোটে পাঁচ ওভার। তাইজুলের সাথে নাঈম হাসানের ঘূর্ণিতে ১১৭ রানে গুটিয়ে যায় উইন্ডিজ। চার উইকেট নেন তাইজুল। নাঈমের শিকার তিনটি, রাহীর ঝুলিতে গেছে দুইটি উইকেট।

প্রথম ইনিংসে উইন্ডিজের করা ৪০৯ রানের জবাবে ২৯৬ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।

জনপ্রিয়

ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো টাইগাররা

প্রকাশের সময়: ০৫:৫২:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১

দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে ১৭ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। ক্যারিবীয়দের দেয়া ২৩১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে সবকটি উইকেট হারিয়ে টাইগাররা তুলতে সক্ষম হয় ২১৩ রান।

এতে ২-০ তে টেস্ট সিরিজ জিতলো ক্যারিবীয়রা।

ঝড়ো ব্যাটিংয়ে শুরুটা ভালো করলেও হঠাৎ বিপর্যয়ে পরে টাইগার ব্যাটিং লাইনআপ। শুরু থেকেই মারমুখি ছিলেন তামিম ইকবাল। প্রথম ১০ ওভারে ৪৫ রান নেন তামিম ও সৌম্য। দলীয় ৫৯ রানে সৌম্য (১৩) ড্রেসিংরুমে ফেরার পরেই ধস নামে বাংলাদেশের ইনিংসে। ১২তম ওভারের প্রথম বলে সৌম্যকে ফিরিয়ে দেন ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট। অল্প কিছুক্ষণ পর সাজঘরে ফেরেন তামিম ইকবাল (৫০) ও নাজমুল হোসেন শান্ত (১১)। দ্রুত তিন উইকেট হারানোর পর কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে মুমিনুল-মুশফিক জুটি। কিন্তু বেশি দূর আগাতে পারনেনি তারাও। ১৪ রানে মুশফিককে নিজের শিকার বানান ওয়ারিকান। এরপর স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান মোহাম্মদ মিঠুন। ২৬ রান করে বিদায় নিয়েছেন মুমিনুল। তারপর একে একে লিটন (২২), তাইজুল (৮) ও নাইম (১৪) ফেরেন সাজঘরে। শেষ আশা মেহেদি মিরাজও পারলেন না দলকে বাঁচাতে।

এদিকে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে কর্নওয়াল নেন চার উইকেট, ব্র্যাথওয়েট তিনটি এবং ওয়ারিকেন নেন তিনটি উইকেট।

এর আগে, দ্বিতীয় ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে কোন রকম সুযোগ দেয়নি স্বাগতিক শিবির। টাইগারদের বোলিং তোপে ১১৭ রানেই আটকে যায় ক্যারিবীয়রা।

চতুর্থ দিনে ৩ উইকেটে ৪১ রান নিয়ে মাঠে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দিনের শুরু থেকেই টাইগার বোলারদের দাপটে আসা যাওয়ার মাঝেই ছিলেন উইন্ডিজ ব্যাটসম্যানরা। রাহী আর তাইজুলের জোড়ায় জোড়ায় আঘাতে ইনিংস বেশি দূর নিতে পারেনি তারা। প্রথম সেশনে উইন্ডিজ হারায় তিন উইকেট।

মধ্যাহ্ন বিরতির পর ক্যারিবীয়রা টিকতে পেরেছিল মোটে পাঁচ ওভার। তাইজুলের সাথে নাঈম হাসানের ঘূর্ণিতে ১১৭ রানে গুটিয়ে যায় উইন্ডিজ। চার উইকেট নেন তাইজুল। নাঈমের শিকার তিনটি, রাহীর ঝুলিতে গেছে দুইটি উইকেট।

প্রথম ইনিংসে উইন্ডিজের করা ৪০৯ রানের জবাবে ২৯৬ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।