মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তিনবার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো নিউজিল্যান্ড

নিউজিল্যান্ডে ৮ দশমিক ১ মাত্রা সহ পরপর তিনটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ভূমিকম্পের পর জারি করা সুনামি সতর্কতা প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে পূর্ব উপকূলে এখনো জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সবশেষ ৮ দশমিক ১ মাত্রার কারমেডিক আইল্যান্ডে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। তবে, এখন পর্যন্ত হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি। এদিকে, নিরাপদে আছেন নিউজিল্যান্ড সফরে দেশটিতে অবস্থান করা বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা।
এর আগে, উপকূলীয় এলাকা থেকে সবাইকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলো কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে অনেক এলাকা থেকে স্থানীয়দের উচুঁ এলাকায় সরে যেতে দেখা গেছে। দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দীপপুঞ্জ নিউ ক্যালেডোনিয়া এবং ভানুয়াতুরেও জলোচ্ছ্বাসের সতর্কতা জারি করেছে।
এদিকে, দক্ষিণ আমেরিকার পেরু, ইকুয়েডর চিলিসহ কিছু অংশেও ৩ মিটার পর্যন্ত জলোচ্ছাসের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
ভূমিকম্পের উপত্তিস্থল থেকে সুনামি হতে পারে এমন শঙ্কা প্রকাশ করে এক বিবৃতিতে প্রশান্ত মহাসাগরীয় সুনামি সতর্ক কেন্দ্র জানায়, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল থেকে ৩০০ কিলোমিটার পর্যন্ত সুনামি হতে পারে। তাই ওই উপকূলীয় এলাকায় সবাইকে সতর্ক থাকার পাশাপাশি বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এর আগে, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) গভীর রাতে, দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় নর্থ আইল্যান্ডে সাত দশমিক দুই মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলটির নিকটতম প্রধান শহর হলো গিসবার্ন, যার জনসংখ্যা প্রায় ৩৫ হাজার ৫০০ জন। নর্থ আইল্যান্ডের গিসবর্ন শহরের কাছে মাটির ১০ কিলোমিটার নিচে ভূমিকম্পের কেন্দ্র বলে জানা গেছে।
এর আগে ২০১১ সালে ক্রাইস্টচার্চ শহরে ৬.৩ মাত্রার এক ভূমিকম্পের আঘাতে ১৮৫ জনের প্রাণহানি ঘটে। ধ্বংস হয় বহু ঘরবাড়ি।

জনপ্রিয়

তিনবার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো নিউজিল্যান্ড

প্রকাশের সময়: ০৮:৪১:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ মার্চ ২০২১

নিউজিল্যান্ডে ৮ দশমিক ১ মাত্রা সহ পরপর তিনটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ভূমিকম্পের পর জারি করা সুনামি সতর্কতা প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে পূর্ব উপকূলে এখনো জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সবশেষ ৮ দশমিক ১ মাত্রার কারমেডিক আইল্যান্ডে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। তবে, এখন পর্যন্ত হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি। এদিকে, নিরাপদে আছেন নিউজিল্যান্ড সফরে দেশটিতে অবস্থান করা বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা।
এর আগে, উপকূলীয় এলাকা থেকে সবাইকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলো কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে অনেক এলাকা থেকে স্থানীয়দের উচুঁ এলাকায় সরে যেতে দেখা গেছে। দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দীপপুঞ্জ নিউ ক্যালেডোনিয়া এবং ভানুয়াতুরেও জলোচ্ছ্বাসের সতর্কতা জারি করেছে।
এদিকে, দক্ষিণ আমেরিকার পেরু, ইকুয়েডর চিলিসহ কিছু অংশেও ৩ মিটার পর্যন্ত জলোচ্ছাসের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
ভূমিকম্পের উপত্তিস্থল থেকে সুনামি হতে পারে এমন শঙ্কা প্রকাশ করে এক বিবৃতিতে প্রশান্ত মহাসাগরীয় সুনামি সতর্ক কেন্দ্র জানায়, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল থেকে ৩০০ কিলোমিটার পর্যন্ত সুনামি হতে পারে। তাই ওই উপকূলীয় এলাকায় সবাইকে সতর্ক থাকার পাশাপাশি বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এর আগে, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) গভীর রাতে, দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় নর্থ আইল্যান্ডে সাত দশমিক দুই মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলটির নিকটতম প্রধান শহর হলো গিসবার্ন, যার জনসংখ্যা প্রায় ৩৫ হাজার ৫০০ জন। নর্থ আইল্যান্ডের গিসবর্ন শহরের কাছে মাটির ১০ কিলোমিটার নিচে ভূমিকম্পের কেন্দ্র বলে জানা গেছে।
এর আগে ২০১১ সালে ক্রাইস্টচার্চ শহরে ৬.৩ মাত্রার এক ভূমিকম্পের আঘাতে ১৮৫ জনের প্রাণহানি ঘটে। ধ্বংস হয় বহু ঘরবাড়ি।