ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪৭৪১ জন। দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা এ তথ্য দিয়েছেন।
রোববার ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘ইসরায়েলের হামলার ফলে গাজায় অন্তত ৪,৭৪১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া আরও অন্তত ১৫ হাজার ৮৯৮ জন আহত হয়েছেন।’
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ইসরায়েলের বিমান হামলায় মারা যাওয়া মানুষের অর্ধেকের বেশি নারী ও শিশু। এর মধ্যে শনিবার রাতেই বোমা হামলায় অন্তত ৫৫ জন মারা গেছেন বলে দাবি করছে হামাস।
জাতিসংঘ বলছে, এখন পর্যন্ত গাজার ১৪ লাখের বেশি বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছে, যাদের মধ্যে পাঁচ লাখের বেশি মানুষ জাতিসংঘ নিয়ন্ত্রিত ১৪৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে থাকছেন।
গাজায় উত্তরাঞ্চলের অধিকাংশ ভবন ইসরায়েলি বিমান হামলায় ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় জাতিসংঘের স্কুল ও হাসপাতালগুলোতে আশ্রয়ও নিয়েছেন অসংখ্য মানুষ। তবে সেসব হাসপাতালও এখন খালি করতে বলা হচ্ছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে।
ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, গাজার উত্তরের আল কুদস হাসপাতাল খালি করার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এই হাসপাতালে বর্তমানে ৪০০ রোগী এবং ১২ হাজার বাস্তুচ্যুত বেসামরিক নাগরিক রয়েছেন।
হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো শুরু থেকেই হাসপাতাল খালি করার নির্দেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে আসছে। ডাক্তারদের একটি গ্রুপ, ফিজিশিয়ান্স ফর হিউম্যান রাইটস ইসরায়েল বলছে যে আল কুদস হাসপাতাল খালি করা যাবে না, সে বিষয়টিতে জোর দিয়ে ইসরায়েলের সুপ্রিম কোর্টে তারা একটি আবেদন করবেন।
শিশুদের নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন বলছে, গাজায় দশ লাখেরও বেশি শিশুর জীবন ‘অনিশ্চয়তার মধ্যে’ কাটছে।
অসুস্থ ও আহত শিশুদের গাজা থেকে বের করে নিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
পাশাপাশি চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণের স্বল্পতা ও বিদ্যুৎ সংকট থাকায় সেখানে শিশুদের মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।
সূত্র : বিবিসি, এএফপি
© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | জাগো২৪.নেট