খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্যে বিদেশে নেয়ার অনুমতি চেয়ে পরিবারের আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে পৌঁছেছে। আজ আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, এ বিষয়ে আজ কোনো সিদ্ধান্ত হচ্ছে না। নথি যাচাই-বাছাই শেষে আবেদনপত্রটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
এ দিকে পরিবার ও দল থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়ার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন রয়েছে। একজন ডাক্তার ও পরিবারের দুই সদস্য তাকে নিয়ে যেকোনো সময় লন্ডন যাওয়ার জন্য তৈরি হয়ে আছেন।
বাসার অন্য আটজনের সঙ্গে গত ১০ এপ্রিল করোনা পরীক্ষায় খালেদা জিয়ার রিপোর্টও নেগেটিভ আসে। প্রথমে তিনি বাসায় চিকিৎসা নিলেও গত ২৭ এপ্রিল তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১০ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে সেখানে থাকাবস্থায় গত ৩ মে শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাকে সিসিইউতে নেয়া হয়।
এর পর পরিবার ও দল থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নেয়ার চেষ্টা শুরু হয়। গত ৫ মে পরিবারের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেয়ার প্রয়োজনীয়তা জানিয়ে আবেদন করেন ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার। পরে রাত সাড়ে ১১টায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘খালেদা জিয়ার পরিবার তাকে বিদেশে চিকিৎসা করানো দরকার বলে জানিয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এসব বিষয়ে অত্যন্ত মানবিক। আমরা আবেদনটি পজিটিভলি দেখছি। আইনে যে পর্যায়ে আছে, কীভাবে কী করা যেতে পারে, সেসব দেখতে আবেদন আইনমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে। তাদের মতামত আসলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজায় কারাজীবন শুরু করেন খালেদা জিয়া। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও তার সাজার রায় হয়। তার বিরুদ্ধে আরও ৩৪টি মামলা রয়েছে।
দেশে করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে গত বছর ২৫ মার্চ নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। দণ্ডের কার্যকারিতা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হলে তিনি কারামুক্ত হন। ওই মুক্তির মেয়াদ শেষে গত বছর সেপ্টেম্বরে আগের শর্তে তা আরও ছয় মাসের জন্য বাড়ানো হয়। খালেদা জিয়া বর্তমানে গুলশানে তার ভাড়া বাসা ‘ফিরোজায়’ রয়েছেন। তিনি আর্থ্রাইটিসের ব্যথা, ডায়াবেটিস, চোখের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছেন।
জাগো২৪.নেট ডেস্ক 























