উত্তরের নদীবেষ্টি জেলা গাইবান্ধা। এ জেলার বুক চিরে বয়ে গেছে যমুনা-তিস্তা-বুহ্মপুত্রসহ আরো বেশ কয়েকটি নদ-নদী। জেলার ফুলছড়ি ঘেঁসে ব্রহ্মপত্র নদে রয়েছে বালাসি ঘাট। প্রকৃতির টানে চিরচেনা এ ঘাটজুড়ে ঈদ আনন্দে মেতে উঠছে ভ্রমণ পিপাসু যুবক-যুবতীসহ সকল বয়সীর মানুষেরা।
ঈদের দিন বিকেল থেকে রোববার (১৬ মে) সন্ধ্যা পর্যন্ত ফুলছড়ি উপজেলার ব্রহ্মপুত্রের বুকে দেখা যায় হাজারো দর্শণার্থীর ভির। এসময় শিশু-কিশোর, যুবক-যুবতীসহ নানা বয়সী উৎসুক মানুষেরা বিভিন্ন বালুচর ও নৌকা ভ্রমনে মেতে উঠছিলেন।

স্থানীয়রা জানান, গাইবান্ধা জেলায় কৃত্রিম বিনোদনে কয়েকটি জায়গায় থাকলেও, সেগুলো লকডাউনের কারণে বন্ধ রয়েছে। তাই ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে বালাসি ঘাট নামকস্থানে ছুটছেন ভ্রমন পিপাসুরা। যদিও এখানে কৃত্রিম উপায়ে দেখার কিছু নেই, তবুও প্রকৃতির টানে প্রত্যেক দিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মনের আনন্দে ঘুরাঘুরি করছে হাজারো দর্শণার্থী। আর ঈদকে কেন্দ্র করে নদীতে নামানো হয়েছে বেশ কিছু নৌকা। এসব নৌকা ঘুরছে ভ্রমণ পিপাসুরা। সেই সঙ্গে বালুচরে দাপিয়ে চলছে ঘোড়ার গাড়ি। একই গাড়িতে উঠছে ৪ থেকে ৬ জন ভ্রমণ পিপাসু। তারা ঘুরছেন এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তরে। এভাবে প্রাণভরে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে মেতে উঠেছে। নদের তীরে ও চরাঞ্চলে যেন পদচারণে মুখরিত হয়ে উঠেছে।

প্রকৃতির খেয়ালে জেগে উঠা চর ও কিনার বিহীন নদের দৃশ্যপটে মুগ্ধ হয়ে উঠছে দর্শণার্থীরা। সেই সঙ্গে অনলাইন দুনিয়ায় ঈদ আনন্দ স্মৃতিগুলো ফেসবুকে উৎসর্গ করতে উঠতি বয়সী যুবক-যুবতীরা সেলফি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়ছে। শুধু সেলফি নয়, আগত স্বপরিবারের সদস্যরাও ফটোসেশনে ক্লিক মারছে ক্যামেরায়। সবমিলে ঈদকে ঘিরে ব্রহ্মপুত্র নদের বালাসি ঘাট এলাকাটি এখন মানবানন্দে ভরপুর।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের শিক্ষার্থী সৈয়কত মিয়া ও মুন্নি আক্তার নামের দর্শণার্থী জানান, তাদের বাড়ি গাইবান্ধার পলাশবাড়িতে। ঈদ আনন্দে আসছেন বালাসি ঘাট এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদে। এ নদে নৌকা ও চরের ঘোড়া গাড়িতে ঘুরে অনেকটাই মুগ্ধ তারা। কিছু সময় ধরে এখানে ঘুরে প্রকৃতির সঙ্গে মিশে গেছেন বলে জানান তারা।

ভাড়ায় চালিতে ঘোড়ার গাড়িওয়ালা মইন উদ্দিন বলেন, শুকনো মৌসুমে উৎসুক মানুষদের চরাঞ্চলে বহন করা হয়। সেই সঙ্গে প্রত্যেক ঈদে ভ্রমন পিপাসুদের বহন করে বেশ আয়-রোজাগার হয়ে থাকে।
নৌকার মাঝি খলিলুর রহমান বলেন, ঈদুল ফিতরকে ঘিরে ৫ টি নৌকা নামানো হয়েছে। প্রত্যেক দিনে দর্শণার্থীদের বহন করে প্রায় ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা রোজগার করা হচ্ছে।
তোফায়েল হোসেন জাকির 


















