শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অর্থাভাবে আটকে গেছে মায়ের চিকিৎসা, ছেলের আহাজারি!

দিনমজুর মহির উদ্দিন ভূঞাঁ। স্ত্রীসহ দুই মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে ৫ সদস্যের সংসার। একদিন শ্রম বিক্রি না করলে হাড়িতে খাবার উঠে না পরিবারের। এরই মধ্যে স্ত্রী জান্নাতুল তহুরা মনি বেগম (৪৫) দূরাগ্যব্যাধি আক্রান্ত হয়। এই চিকিৎসাসেবায় ইতোমধ্যে গোজার ঠাঁই, গরু-ছাগলসহ অন্যান্য জিনিসিপত্র বিক্রি করে স্বর্বশান্ত হয়েছে। বিদ্যমান পরিস্থিতে আটকে গেছে মনি বেগমের চিকিৎসা।

এদিকে, এই কষ্টের হাল ধরতে প্রাইভেট ও কোচিং সেন্টার বেছে নেয় মহির উদ্দিন ভূঞাঁর ছেলে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাকিবুল হাসান। সেখানেও তার কপাল পুড়ে করোনা সব প্রাইভেট কোচিং সেন্টার বন্ধ হয়ে পড়ে। স্বপ্ন সংসারের হাল স্বপ্নই রয়ে যায়। অর্থাভাবের কারণে তিন মাস ধরে বন্ধ রয়েছে মনি বেগমের চিকিৎসা। এমনি অবস্থায় নান আহাজারি শুরু হয়েছে শিক্ষার্থী রাকিবুলের।

এমনই বেদনাদায়ক ঘটনা চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই উপজেলার সাহের খালী গ্রামে। গত ১ জানুয়ারি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় মনি বেগম। ঠিক একই সময়ে মা অসুস্থ কাল হয়ে দাঁড়ায় রাকিবুলের দুঃস্বপ্ন। হঠাৎ মায়ের দূরাগ্যব্যাধি আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। জানতে পারেন মায়ের দুটো কিডনিই নষ্ট।

দোঁড়-ঝাপ শুরু করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় মেধাবী ছাত্র রাকিবুল হাসান। চোখের সামনে মৃত্যুর যন্ত্রণায় ছটফট করছেন মা। বাঁচার আকুতি করছে একমাত্র ছেলে রাকিবুল হাসানের কাছে। মাকে বাঁচানোর তাগিদে তিন মাসেও যোগাতে পারেনি মায়ের ঔষধ কেনার টাকা। মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে “মা” অথচ একটি কিডনি হলেই মা সুস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

বাঁচার আকুতি নিয়ে বসে আছেন মনি বেগম। রয়েছে ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে। কিন্তু রাকিব হাসানের চোখে-মুখে শুধুই আতঙ্কের ছাপ। কীভাবে মাকে বাঁচাবেন। টাকা যে যোগার করতে পারছেন না। সমাজের বিত্তবান-দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের কাছে সাহায্যের আঁকুতি করছেন হতদরিদ্র পরিবারের বিশ্ববিদ্যালয় মেধাবী ছাত্র রাকিবুল হাসান।

এমতাবস্থায় প্রতি সপ্তাহে ডায়ালাইসিস করতে ৭-৮ হাজার টাকার দরকার হয়। বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কিডনি বিভাগের ডা. এএমএম এহতেশামুল হক তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ইতোমধ্যে, অর্থের অভাবে আটকে গেছে হতদরিদ্র পরিবারের রাকিবুল হাসানের মায়ের চিকিৎসা। মায়ের চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাহায্য চেয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যায়নরত এই মেধাবী ছাত্র রাকিবুল হাসান।

অর্থাভাবে আটকে গেছে মায়ের চিকিৎসা, ছেলের আহাজারি!

প্রকাশের সময়: ০২:৪৪:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ অগাস্ট ২০২১

দিনমজুর মহির উদ্দিন ভূঞাঁ। স্ত্রীসহ দুই মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে ৫ সদস্যের সংসার। একদিন শ্রম বিক্রি না করলে হাড়িতে খাবার উঠে না পরিবারের। এরই মধ্যে স্ত্রী জান্নাতুল তহুরা মনি বেগম (৪৫) দূরাগ্যব্যাধি আক্রান্ত হয়। এই চিকিৎসাসেবায় ইতোমধ্যে গোজার ঠাঁই, গরু-ছাগলসহ অন্যান্য জিনিসিপত্র বিক্রি করে স্বর্বশান্ত হয়েছে। বিদ্যমান পরিস্থিতে আটকে গেছে মনি বেগমের চিকিৎসা।

এদিকে, এই কষ্টের হাল ধরতে প্রাইভেট ও কোচিং সেন্টার বেছে নেয় মহির উদ্দিন ভূঞাঁর ছেলে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাকিবুল হাসান। সেখানেও তার কপাল পুড়ে করোনা সব প্রাইভেট কোচিং সেন্টার বন্ধ হয়ে পড়ে। স্বপ্ন সংসারের হাল স্বপ্নই রয়ে যায়। অর্থাভাবের কারণে তিন মাস ধরে বন্ধ রয়েছে মনি বেগমের চিকিৎসা। এমনি অবস্থায় নান আহাজারি শুরু হয়েছে শিক্ষার্থী রাকিবুলের।

এমনই বেদনাদায়ক ঘটনা চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই উপজেলার সাহের খালী গ্রামে। গত ১ জানুয়ারি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় মনি বেগম। ঠিক একই সময়ে মা অসুস্থ কাল হয়ে দাঁড়ায় রাকিবুলের দুঃস্বপ্ন। হঠাৎ মায়ের দূরাগ্যব্যাধি আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। জানতে পারেন মায়ের দুটো কিডনিই নষ্ট।

দোঁড়-ঝাপ শুরু করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় মেধাবী ছাত্র রাকিবুল হাসান। চোখের সামনে মৃত্যুর যন্ত্রণায় ছটফট করছেন মা। বাঁচার আকুতি করছে একমাত্র ছেলে রাকিবুল হাসানের কাছে। মাকে বাঁচানোর তাগিদে তিন মাসেও যোগাতে পারেনি মায়ের ঔষধ কেনার টাকা। মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে “মা” অথচ একটি কিডনি হলেই মা সুস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

বাঁচার আকুতি নিয়ে বসে আছেন মনি বেগম। রয়েছে ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে। কিন্তু রাকিব হাসানের চোখে-মুখে শুধুই আতঙ্কের ছাপ। কীভাবে মাকে বাঁচাবেন। টাকা যে যোগার করতে পারছেন না। সমাজের বিত্তবান-দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের কাছে সাহায্যের আঁকুতি করছেন হতদরিদ্র পরিবারের বিশ্ববিদ্যালয় মেধাবী ছাত্র রাকিবুল হাসান।

এমতাবস্থায় প্রতি সপ্তাহে ডায়ালাইসিস করতে ৭-৮ হাজার টাকার দরকার হয়। বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কিডনি বিভাগের ডা. এএমএম এহতেশামুল হক তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ইতোমধ্যে, অর্থের অভাবে আটকে গেছে হতদরিদ্র পরিবারের রাকিবুল হাসানের মায়ের চিকিৎসা। মায়ের চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাহায্য চেয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যায়নরত এই মেধাবী ছাত্র রাকিবুল হাসান।