সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাবেক নারী ফুটবলারের অভিযোগ, অস্ট্রেলিয়ার স্পোর্টসে যৌন হয়রানির সংস্কৃতি

স্পোর্টস বা খেলাধুলায় যৌন হয়রানির সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। এ অভিযোগ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক নারী ফুটবলার ও স্ট্রাইকার লিসা ডি ভান্না (৩৬)। এর প্রেক্ষিতে ফুটবল অস্ট্রেলিয়া অভিযোগ তদন্ত করবে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে বলা হয়, লিসা ডি ভান্না একটি পত্রিকাকে বলেছেন, তিনি যখন একজন টিনেজার ছিলেন তখন তাকে যৌন আচরণের শিকার হতে হয়েছে এবং এ বিষয়ে সতীর্থদের কাছ থেকে নানা প্রস্তাব পেয়েছিলেন। ফুটবল অস্ট্রেলিয়া বলেছে, এর আগে তারা এমন অভিযোগ সম্পর্কে অবহিত ছিল না। তবে তারা মিস ডি ভান্না ও অন্য খেলোয়াড়দের আনা যেকোনো প্রাতিষ্ঠানিক অভিযোগের বিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত করবে। এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, যেকোনো আচরণ যদি তা এই খেলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের স্ট্যান্ডার্ড ও মূল্যবোধের লঙ্ঘন হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে শূণ্য সহনশীলতা প্রদর্শন করবে অস্ট্রেলিয়ার ফুটবল।

স্পোর্টস বা খেলাধুলায় যৌন হয়রানির সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। এ অভিযোগ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক নারী ফুটবলার ও স্ট্রাইকার লিসা ডি ভান্না (৩৬)। এর প্রেক্ষিতে ফুটবল অস্ট্রেলিয়া অভিযোগ তদন্ত করবে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে বলা হয়, লিসা ডি ভান্না একটি পত্রিকাকে বলেছেন, তিনি যখন একজন টিনেজার ছিলেন তখন তাকে যৌন আচরণের শিকার হতে হয়েছে এবং এ বিষয়ে সতীর্থদের কাছ থেকে নানা প্রস্তাব পেয়েছিলেন। ফুটবল অস্ট্রেলিয়া বলেছে, এর আগে তারা এমন অভিযোগ সম্পর্কে অবহিত ছিল না। তবে তারা মিস ডি ভান্না ও অন্য খেলোয়াড়দের আনা যেকোনো প্রাতিষ্ঠানিক অভিযোগের বিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত করবে। এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, যেকোনো আচরণ যদি তা এই খেলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের স্ট্যান্ডার্ড ও মূল্যবোধের লঙ্ঘন হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে শূণ্য সহনশীলতা প্রদর্শন করবে অস্ট্রেলিয়ার ফুটবল।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে ওমেন্স ওয়ার্ল্ড কাপ ফুটবল আয়োজন করবে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। ২০০৫ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়ায় নারীদের ফুটবল খেলা চালু করেছে ফুটবল অস্ট্রেলিয়া।

মিস ডি ভান্না গত মাসে অবসর নিয়েছেন। এর আগে তিনি অস্ট্রেলিয়ার হয়ে কমপক্ষে ১৫০টি ম্যাচ খেলেছেন। সিডনি ডেইলি টেলিগ্রাফকে তিনি বলেছেন, আমাকে কি যৌন হয়রান করা হয়েছিল? জবাব হলো- হ্যাঁ। আমাকে কি যৌন উৎপীড়ন করা হয়েছিল? জবাব হলো- হ্যাঁ। একপেশে করে ফেলা হয়েছিল? জবাব হলো- হ্যাঁ। আমি কি এমন একটি জিনিস, যা আমাকে অস্বস্তিকর অবস্থায় ফেলেছিল? জবাব হচ্ছে- হ্যাঁ। তিনি আরো বলেন, যেকোনো স্পোর্টস সংক্রান্ত সংগঠন এবং যেকোনো পরিবেশে যৌনতায় উদ্বুদ্ধ করা, শিকার করা এবং সেখানে অপেশাদার আচরণ আমাকে পীড়িত করে।
মিস ডি ভান্নার এই বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন সাবেক টিমমেট এলিসিয়া কার্নাভাস ও তার সাবেক ম্যানেজার রোজ গ্যারোফানো। আরেকজন সাবেক খেলোয়াড় রালি ডোবসন বলেছেন, আমিও যখন প্রথম খেলাধুলার জগতে পা রাখি তখন আমাকেও ‘গ্রুমিংয়ের’ অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হয়েছে। এসব বিষয়, যা উচ্চ পর্যায়ে চলছে, যদি আপনি এ নিয়ে কথা বলা শুরু না করেন, তাহলে এই ধারার কোনোই পরিবর্তন হবে না।
ইউএস সকার ফেডারেশন যখন যৌন অসদাচরণ ও হয়রানির অভিযোগ তদন্ত করছে তখন অস্ট্রেলিয়ায় এই অভিযোগ উত্থাপিত হলো। এই মধ্যে মিস ডি ভান্নাকে টুইট করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের আলোচিত খেলোয়াড় মেগান রাপিনো। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে একজন কোচের বিরুদ্ধে একই রকম অভিযোগ এনেছেন। তার টুইটের জবাব দিয়েছেন ডি ভান্না। টুইটে ডি ভান্না লিখেছেন, যৌন নির্যাতনকারীদের সুরক্ষা দিচ্ছে এমন অনেক মানুষকে তিনি দেখেছেন।
সম্প্রতি নারী জিমন্যাস্ট ও হকিতেও একই রকম নির্যাতনের অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে। অলিম্পিককে সামনে রেখে অস্ট্রেলিয়ার একজন নারী সাঁতারা জাতীয় দল থেকে সরে দাঁড়ান। তিনিও একই রকম অভিযোগ করেন। ফলে সুইমিং অস্ট্রেলিয়া এর বিরুদ্ধে তদন্ত করছে। সুত্র: দৈনিক মানবজমিন
জনপ্রিয়

সাবেক নারী ফুটবলারের অভিযোগ, অস্ট্রেলিয়ার স্পোর্টসে যৌন হয়রানির সংস্কৃতি

প্রকাশের সময়: ১০:৪৭:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ অক্টোবর ২০২১
স্পোর্টস বা খেলাধুলায় যৌন হয়রানির সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। এ অভিযোগ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক নারী ফুটবলার ও স্ট্রাইকার লিসা ডি ভান্না (৩৬)। এর প্রেক্ষিতে ফুটবল অস্ট্রেলিয়া অভিযোগ তদন্ত করবে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে বলা হয়, লিসা ডি ভান্না একটি পত্রিকাকে বলেছেন, তিনি যখন একজন টিনেজার ছিলেন তখন তাকে যৌন আচরণের শিকার হতে হয়েছে এবং এ বিষয়ে সতীর্থদের কাছ থেকে নানা প্রস্তাব পেয়েছিলেন। ফুটবল অস্ট্রেলিয়া বলেছে, এর আগে তারা এমন অভিযোগ সম্পর্কে অবহিত ছিল না। তবে তারা মিস ডি ভান্না ও অন্য খেলোয়াড়দের আনা যেকোনো প্রাতিষ্ঠানিক অভিযোগের বিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত করবে। এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, যেকোনো আচরণ যদি তা এই খেলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের স্ট্যান্ডার্ড ও মূল্যবোধের লঙ্ঘন হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে শূণ্য সহনশীলতা প্রদর্শন করবে অস্ট্রেলিয়ার ফুটবল।

স্পোর্টস বা খেলাধুলায় যৌন হয়রানির সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। এ অভিযোগ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক নারী ফুটবলার ও স্ট্রাইকার লিসা ডি ভান্না (৩৬)। এর প্রেক্ষিতে ফুটবল অস্ট্রেলিয়া অভিযোগ তদন্ত করবে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে বলা হয়, লিসা ডি ভান্না একটি পত্রিকাকে বলেছেন, তিনি যখন একজন টিনেজার ছিলেন তখন তাকে যৌন আচরণের শিকার হতে হয়েছে এবং এ বিষয়ে সতীর্থদের কাছ থেকে নানা প্রস্তাব পেয়েছিলেন। ফুটবল অস্ট্রেলিয়া বলেছে, এর আগে তারা এমন অভিযোগ সম্পর্কে অবহিত ছিল না। তবে তারা মিস ডি ভান্না ও অন্য খেলোয়াড়দের আনা যেকোনো প্রাতিষ্ঠানিক অভিযোগের বিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত করবে। এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, যেকোনো আচরণ যদি তা এই খেলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের স্ট্যান্ডার্ড ও মূল্যবোধের লঙ্ঘন হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে শূণ্য সহনশীলতা প্রদর্শন করবে অস্ট্রেলিয়ার ফুটবল।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে ওমেন্স ওয়ার্ল্ড কাপ ফুটবল আয়োজন করবে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। ২০০৫ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়ায় নারীদের ফুটবল খেলা চালু করেছে ফুটবল অস্ট্রেলিয়া।

মিস ডি ভান্না গত মাসে অবসর নিয়েছেন। এর আগে তিনি অস্ট্রেলিয়ার হয়ে কমপক্ষে ১৫০টি ম্যাচ খেলেছেন। সিডনি ডেইলি টেলিগ্রাফকে তিনি বলেছেন, আমাকে কি যৌন হয়রান করা হয়েছিল? জবাব হলো- হ্যাঁ। আমাকে কি যৌন উৎপীড়ন করা হয়েছিল? জবাব হলো- হ্যাঁ। একপেশে করে ফেলা হয়েছিল? জবাব হলো- হ্যাঁ। আমি কি এমন একটি জিনিস, যা আমাকে অস্বস্তিকর অবস্থায় ফেলেছিল? জবাব হচ্ছে- হ্যাঁ। তিনি আরো বলেন, যেকোনো স্পোর্টস সংক্রান্ত সংগঠন এবং যেকোনো পরিবেশে যৌনতায় উদ্বুদ্ধ করা, শিকার করা এবং সেখানে অপেশাদার আচরণ আমাকে পীড়িত করে।
মিস ডি ভান্নার এই বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন সাবেক টিমমেট এলিসিয়া কার্নাভাস ও তার সাবেক ম্যানেজার রোজ গ্যারোফানো। আরেকজন সাবেক খেলোয়াড় রালি ডোবসন বলেছেন, আমিও যখন প্রথম খেলাধুলার জগতে পা রাখি তখন আমাকেও ‘গ্রুমিংয়ের’ অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হয়েছে। এসব বিষয়, যা উচ্চ পর্যায়ে চলছে, যদি আপনি এ নিয়ে কথা বলা শুরু না করেন, তাহলে এই ধারার কোনোই পরিবর্তন হবে না।
ইউএস সকার ফেডারেশন যখন যৌন অসদাচরণ ও হয়রানির অভিযোগ তদন্ত করছে তখন অস্ট্রেলিয়ায় এই অভিযোগ উত্থাপিত হলো। এই মধ্যে মিস ডি ভান্নাকে টুইট করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের আলোচিত খেলোয়াড় মেগান রাপিনো। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে একজন কোচের বিরুদ্ধে একই রকম অভিযোগ এনেছেন। তার টুইটের জবাব দিয়েছেন ডি ভান্না। টুইটে ডি ভান্না লিখেছেন, যৌন নির্যাতনকারীদের সুরক্ষা দিচ্ছে এমন অনেক মানুষকে তিনি দেখেছেন।
সম্প্রতি নারী জিমন্যাস্ট ও হকিতেও একই রকম নির্যাতনের অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে। অলিম্পিককে সামনে রেখে অস্ট্রেলিয়ার একজন নারী সাঁতারা জাতীয় দল থেকে সরে দাঁড়ান। তিনিও একই রকম অভিযোগ করেন। ফলে সুইমিং অস্ট্রেলিয়া এর বিরুদ্ধে তদন্ত করছে। সুত্র: দৈনিক মানবজমিন