মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হুইল চেয়ার কিনমো ক্যামনে

হামরা গরীব মানুষ বাহে। মানসের বাড়িত এ্যানা কাম করি খাই। তামরা যা দেয়, উগলা দিয়্যা প্যাটে শেংকা ভাত যায় না। সেজন্নে ঠিকমতো খাবার যোগার করতে পাই না। বেটাটা পুতিবন্দী। একটা হুইল চেয়াররের দরকার কিন্তু কিনমো ক্যামনে।

বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) বিকেলে এভাবে আঞ্চলিক ভাষায় কথাগুলো বলছিলেন গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর চরাঞ্চলের লকিয়াপাড়া গ্রামের দিনমজুর মোহাম্মদ আলী।

তার ছেলে দুলাল মিয়া (২০) একজন প্রতিবন্ধী। দুলালের জন্মর পর থেকেই দুই পা অচল। ঠিকভাবে কথা বলতে পারে না। হাটতেও পারে না। জন্মর পর থেকেই বাবা-মা’র পিঠে উঠে চলাচল করতে হয় তাকে। তাই চলাচলের জন্য বছর ৬ আগে একটি হুইল চেয়ার থাকলেও এখন আর নেই সেটি। যার কারণে দুলালকে সারাদিন ধরে-বসে থাকতে হয় রাস্তায় পাশে কিংবা ঘরের এক কোণে।

স্থানীয়রা জানান, দুলালের যখন স্কুলের গন্ডি পেরিয়ে কলেজে পড়াশোনা করার কথা, অন্যান্য ছেলেদের সঙ্গে খেলাধুলা করার কথা, এবং বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে আড্ডায় মেতে ওঠার কথা, কিন্তু সেই বয়সে বসে থাকতে হচ্ছে ঘরের এককোণে কিংবা রাস্তায় পাশে। অন্য ছেলেরা যখন খেলাধুলা করে দুলাল তখন চেয়ে চেয়ে দেখে আর বোবা কন্ঠে চিৎকার করে কাঁধে। কেননা তাকে যে চলতে হয় বাবার ঘাড়ে উঠে আবার কখনো মায়ের কোলে উঠে। এ যেনো অসহায়ত্বের বেড়া জালে আবদ্ধ দুলাল। এই প্রতিবন্ধী ছেলেটির জন্য একটি হুইল চেয়ার কেনারও সামর্থ নেই পরিবারটির।

এ বিষয়ে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নবনির্বাচিত  চেয়ারম্যান বলেন, যতটুকু সহযোগিতা করা সম্ভব আমি চেষ্টা করবো।

জনপ্রিয়

হুইল চেয়ার কিনমো ক্যামনে

প্রকাশের সময়: ০৯:৩৮:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জুন ২০২২

হামরা গরীব মানুষ বাহে। মানসের বাড়িত এ্যানা কাম করি খাই। তামরা যা দেয়, উগলা দিয়্যা প্যাটে শেংকা ভাত যায় না। সেজন্নে ঠিকমতো খাবার যোগার করতে পাই না। বেটাটা পুতিবন্দী। একটা হুইল চেয়াররের দরকার কিন্তু কিনমো ক্যামনে।

বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) বিকেলে এভাবে আঞ্চলিক ভাষায় কথাগুলো বলছিলেন গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর চরাঞ্চলের লকিয়াপাড়া গ্রামের দিনমজুর মোহাম্মদ আলী।

তার ছেলে দুলাল মিয়া (২০) একজন প্রতিবন্ধী। দুলালের জন্মর পর থেকেই দুই পা অচল। ঠিকভাবে কথা বলতে পারে না। হাটতেও পারে না। জন্মর পর থেকেই বাবা-মা’র পিঠে উঠে চলাচল করতে হয় তাকে। তাই চলাচলের জন্য বছর ৬ আগে একটি হুইল চেয়ার থাকলেও এখন আর নেই সেটি। যার কারণে দুলালকে সারাদিন ধরে-বসে থাকতে হয় রাস্তায় পাশে কিংবা ঘরের এক কোণে।

স্থানীয়রা জানান, দুলালের যখন স্কুলের গন্ডি পেরিয়ে কলেজে পড়াশোনা করার কথা, অন্যান্য ছেলেদের সঙ্গে খেলাধুলা করার কথা, এবং বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে আড্ডায় মেতে ওঠার কথা, কিন্তু সেই বয়সে বসে থাকতে হচ্ছে ঘরের এককোণে কিংবা রাস্তায় পাশে। অন্য ছেলেরা যখন খেলাধুলা করে দুলাল তখন চেয়ে চেয়ে দেখে আর বোবা কন্ঠে চিৎকার করে কাঁধে। কেননা তাকে যে চলতে হয় বাবার ঘাড়ে উঠে আবার কখনো মায়ের কোলে উঠে। এ যেনো অসহায়ত্বের বেড়া জালে আবদ্ধ দুলাল। এই প্রতিবন্ধী ছেলেটির জন্য একটি হুইল চেয়ার কেনারও সামর্থ নেই পরিবারটির।

এ বিষয়ে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নবনির্বাচিত  চেয়ারম্যান বলেন, যতটুকু সহযোগিতা করা সম্ভব আমি চেষ্টা করবো।