শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৭:১১ অপরাহ্ন

লঘুচাপের প্রভাবে গাইবান্ধায় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি

তোফায়েল হোসেন জাকির
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২

বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের প্রভাব গাইবান্ধায় জেলায় ঝড়ছে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। অব্যাহত এই বৃষ্টির কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন সকল পেশা-শেণির মানুষ। বিশেষ করে চরাঞ্চলসহ শ্রমজীবি মানুষের জীবনযাত্রায় মারাত্নক প্রভাব পড়েছে।

মঙ্গলবার  (১৩ সেপ্টেম্বর) ভোর বেলা থেকে গাইবান্ধার প্রত্যান্ত অঞ্চলে মাঝারী ধরণের বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। এর ফলে মানুষেরা ঘরের বাইরে কম বের হচ্ছে। যারা জীবিকার তাগিদে বের হয়েছেন তারা চরম বেকায়দা পড়েছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বিরামহীন এই বৃষ্টির কারণে স্থবির হয়েছে জনজীবন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। বিরূপ আবহাওয়াকে উপেক্ষা করে অনেকে ছাতা মাথায় নিয়ে প্রয়োজনীয় কাজ সাড়ছেন। এছাড়া রিকশা-ভ্যান চালকরা ভেজা শরীরের রোজগারের উদ্দেশ্য ছুটাছুটি করছে। আবার অনেকে অলস সময় কাটাচ্ছেন। মার্কেটগুলোতে ক্রেতা না থাকায় মাথায় হাত পড়েছে ব্যবসায়ীদের।

শুধু তায় নয়, টানা বৃষ্টির কারণে শাক-সবজির জমিতে পানি জমতে শুরু করছে। এতে করে উৎপাদন ক্ষমতা কমে যেতে পারে। এ নিয়ে কৃষকরা দুশ্চিন্তায় পড়েছে। পরিপক্ক ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছে তারা।

গাইবান্ধার সালিমার সুপার মার্কেটের বস্ত্র ব্যবসায় আজাহার আলী জাগো২৪.নেট-কে জানান, অব্যহত বৃষ্টির কারণে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মাত্র ৩ জন গ্রাহক এসে কিছু কেনাকাটা করেছে। অথচ অন্যান্য দিনে এই সময়ে অসংখ্য কাষ্টমার ভিড় জমে।

কামারজানি চরের খালেক মিয়া নামের এক কৃষক জাগো২৪.নেট-কে বলেন, ২৫ শতক জমিতে মরিচ রয়েছে। ইতিমেধ্য বিক্রিও শুরু করেছি। এরই মধ্যে বৃষ্টির কারণে ফসল বাঁচানোর চিন্তায় আছি।

ডিসি অফিস সংলগ্নস্থানে বসে থাকা খবির উদ্দিন নামের এক রিকশা চালক জাগো২৪.নেট-কে  বলেন, যাত্রী বহন করায় আমার পেশা। একদিন রোজগার না করলে পেটে ভাত জোটেনা। আজ সকালে বৃষ্টিতে ভিজে গাড়ি নিয়ে বের হয়েছি কিন্তু যাত্রী নেই। মাত্র ৪০ টাকা কামাই করে বসে আছি।

গাইবান্ধা জেলা কৃষি বিভাগের উপপরিচালক বেলাল উদ্দিন জাগো২৪.নেট-কে জানান, হালকা বৃষ্টিপাতে কৃষি ফসল ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। শাক-সবজি ক্ষেতে জমে থাকা পানি নিষ্কাশনের কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | জাগো২৪.নেট

কারিগরি সহায়তায় : শাহরিয়ার হোসাইন