বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেশব্যাপী টিকাদান কর্মসূচি, বিভিন্ন জেলায় পৌঁছেছে করোনার টিকা

চট্টগ্রাম, রংপুর, সাতক্ষীরা ও গাইবান্ধাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পৌঁছেছে করোনার টিকা।চট্টগ্রামে আজ রবিবার সকালে ৪ লাখ ৫৬ হাজার ডোজ টিকা নিয়ে একটি ফ্রিজার ভ্যান সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পৌঁছায়। পরে তা নিয়ে যাওয়া হয় ইপিআর স্টোরে। সেখান থেকে চাহিদা অনুযায়ী নগরী ও উপজেলাগুলোতে সরবরাহ করা হবে ভ্যাকসিন।

আরেক বিভাগীয় শহর রংপুরে ভোরে বেক্সিমকোর একটি ফ্রিজার ভ্যানে পৌঁছেছে ২ লাখ ৪০ হাজার ভ্যাকসিন। কোল্ড চেইন মেইনটেইন করে আইএলআর ফ্রিজে সংরক্ষণ করা হয়েছে এসব ভ্যাকসিন।

রংপুরের সিভিল সার্জন জানান, জেলার ৭ উপজেলা ও সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন বুথে আগামী ৭ই ফ্রেব্রুয়ারি থেকে টিকা প্রয়োগ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

এদিকে আজ সকালে গাইবান্ধাতেও পৌঁছেছে ৭২ হাজার করোনার টিকা। এর আগে শুক্রবার ৩৬টি জেলায় করোনার টিকা পৌঁছানো হয়।

এছাড়া আজ সকালে সাতক্ষীরায় পৌঁছেছে ৬ হাজার করোনাভাইরাস এর টিকা। যা ৬০ হাজার মানুষকে করোনাভাইরাস প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গুলোতে এসব টিকা প্রদান করা হবে।

রবিবার সকাল ৯ টায় সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ হুসাইন সাফায়েত এই করোনাভ্যাকসিন গ্রহণ করেন। পরে সাতক্ষীরা আধুনিক সদর হাসপাতালের ইপি আই ভবনের কোল্ড স্টোরেজে সংরক্ষণ করা হয়। সেই সাথে কোভিড ১৯ টিকাদান কার্যক্রম সফল করার লক্ষ্যে সিভিল সার্জন অফিসের উদ্যোগে জেলা পর্যায়ে শুরু হবে টিকাদান প্রশিক্ষন।

টিকাদান কর্মসূচি শুরুর আগে সিভিল সার্জনকে প্রধান করে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করার কথা রয়েছে। এছাড়াও থাকবেন মেডিসিন, বক্ষ্য ও হার্ড বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগন।

এর আগে রাজবাড়ি, ফরদিপুর, বগুড়া, চুয়াডাঙ্গা, মুন্সিগঞ্জ, নাটোর, শেরপুর, রাজশাহীসহ ৩০ জেলার সিভিল সার্জন করোনার টিকা গ্রহন করেছেন।

আগামী ৭ই ফেব্রুয়ারি একযোগে সারাদেশে এসব টিকা প্রদান করা হবে। প্রথম মাসে ১৮ ক্যাটাগরির জনগোষ্ঠীকে টিকা দেয়া হবে। এরমধ্যে রয়েছেন কোভিড-১৯ এর সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত স্বাস্থ্যকর্মী, জরুরি পেশায় নিয়োজিত ব্যক্তি, বীর মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, ধর্মীয় প্রতিনিধি, মৃতদেহ সৎকারের কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি, বয়স্ক জনগোষ্ঠী।

সারা দেশে সরকারি হাসপাতালে প্রস্তুত করা হয়েছে ৬’শ ৬২টি টিকা কেন্দ্র। টিকা প্রয়োগে থাকবে প্রায় ৭ হাজার টিম। যারা টিকা নিতে ইচ্ছুক তাদের সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।

তবে ১৮ বছরের নীচে, অন্তঃসত্ত্বা, বর্তমানে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি এবং ক্যান্সারের মতো জটিল রোগে আক্রন্ত ব্যক্তিদের আপাতত টিকা আত্ততার বাইরে রাখা হয়েছে।

জনপ্রিয়

দেশব্যাপী টিকাদান কর্মসূচি, বিভিন্ন জেলায় পৌঁছেছে করোনার টিকা

প্রকাশের সময়: ০৭:৫২:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২১

চট্টগ্রাম, রংপুর, সাতক্ষীরা ও গাইবান্ধাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পৌঁছেছে করোনার টিকা।চট্টগ্রামে আজ রবিবার সকালে ৪ লাখ ৫৬ হাজার ডোজ টিকা নিয়ে একটি ফ্রিজার ভ্যান সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পৌঁছায়। পরে তা নিয়ে যাওয়া হয় ইপিআর স্টোরে। সেখান থেকে চাহিদা অনুযায়ী নগরী ও উপজেলাগুলোতে সরবরাহ করা হবে ভ্যাকসিন।

আরেক বিভাগীয় শহর রংপুরে ভোরে বেক্সিমকোর একটি ফ্রিজার ভ্যানে পৌঁছেছে ২ লাখ ৪০ হাজার ভ্যাকসিন। কোল্ড চেইন মেইনটেইন করে আইএলআর ফ্রিজে সংরক্ষণ করা হয়েছে এসব ভ্যাকসিন।

রংপুরের সিভিল সার্জন জানান, জেলার ৭ উপজেলা ও সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন বুথে আগামী ৭ই ফ্রেব্রুয়ারি থেকে টিকা প্রয়োগ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

এদিকে আজ সকালে গাইবান্ধাতেও পৌঁছেছে ৭২ হাজার করোনার টিকা। এর আগে শুক্রবার ৩৬টি জেলায় করোনার টিকা পৌঁছানো হয়।

এছাড়া আজ সকালে সাতক্ষীরায় পৌঁছেছে ৬ হাজার করোনাভাইরাস এর টিকা। যা ৬০ হাজার মানুষকে করোনাভাইরাস প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গুলোতে এসব টিকা প্রদান করা হবে।

রবিবার সকাল ৯ টায় সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ হুসাইন সাফায়েত এই করোনাভ্যাকসিন গ্রহণ করেন। পরে সাতক্ষীরা আধুনিক সদর হাসপাতালের ইপি আই ভবনের কোল্ড স্টোরেজে সংরক্ষণ করা হয়। সেই সাথে কোভিড ১৯ টিকাদান কার্যক্রম সফল করার লক্ষ্যে সিভিল সার্জন অফিসের উদ্যোগে জেলা পর্যায়ে শুরু হবে টিকাদান প্রশিক্ষন।

টিকাদান কর্মসূচি শুরুর আগে সিভিল সার্জনকে প্রধান করে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করার কথা রয়েছে। এছাড়াও থাকবেন মেডিসিন, বক্ষ্য ও হার্ড বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগন।

এর আগে রাজবাড়ি, ফরদিপুর, বগুড়া, চুয়াডাঙ্গা, মুন্সিগঞ্জ, নাটোর, শেরপুর, রাজশাহীসহ ৩০ জেলার সিভিল সার্জন করোনার টিকা গ্রহন করেছেন।

আগামী ৭ই ফেব্রুয়ারি একযোগে সারাদেশে এসব টিকা প্রদান করা হবে। প্রথম মাসে ১৮ ক্যাটাগরির জনগোষ্ঠীকে টিকা দেয়া হবে। এরমধ্যে রয়েছেন কোভিড-১৯ এর সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত স্বাস্থ্যকর্মী, জরুরি পেশায় নিয়োজিত ব্যক্তি, বীর মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, ধর্মীয় প্রতিনিধি, মৃতদেহ সৎকারের কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি, বয়স্ক জনগোষ্ঠী।

সারা দেশে সরকারি হাসপাতালে প্রস্তুত করা হয়েছে ৬’শ ৬২টি টিকা কেন্দ্র। টিকা প্রয়োগে থাকবে প্রায় ৭ হাজার টিম। যারা টিকা নিতে ইচ্ছুক তাদের সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।

তবে ১৮ বছরের নীচে, অন্তঃসত্ত্বা, বর্তমানে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি এবং ক্যান্সারের মতো জটিল রোগে আক্রন্ত ব্যক্তিদের আপাতত টিকা আত্ততার বাইরে রাখা হয়েছে।